একসময় বাঙালি বিবাহিত নারীকে চেনা যেত নাকফুল দেখে। আবার কেউ বলবেন নারীর নাকের সৌন্দর্যই হলো নাকফুল। ধারণা করা হয়, নারী প্রথম যে অলঙ্কার ব্যবহার করেছিল সেটি ছিল নাকফুল। নাকফুলের কথা লেখা আছে বাইবেলেও। ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলে ছেলের বউ রেবেকাকে স্নেহ আর ভালবাসার চিহ্ন স্বরূপ নাকফুল উপহার দেন আব্রাহাম।
ষোড়শ শতকে ভারতীয় উপমহাদেশে মুঘলদের আগমনের পরই এ অঞ্চলে শুরু হয় মেয়েদের নাক ফোঁড়ানোর রেওয়াজ। আমাদের এই অঞ্চলের প্রথা হলো বিয়ের চিহ্ন হিসেবে নাকফুল পরবে মেয়েরা। আবার কারো বিশ্বাস নাকফুল না পরলে স্বামীর অমঙ্গল হয়। এখন এসবের চল নেই।
এখন নাকফুল একটি ফ্যাশন অনুষঙ্গ ছাড়া আর কিছুই নয়। আর তাই বিয়ে হোক বা না হোক, কেউ নাকফুল পরেন, কেউ পরেন না। আগে নাকফুল বলতে সবাই সোনার নাকফুলই বুঝতো। একালে সে জায়গা দখল করেছে নানা রকম পাথর, পুতি, এমনকি হীরেও। এখন শুধু তরুণীরাই নয়।
বয়স্করাও মেকআপ এবং পোশাকের সঙ্গে মিল রেখে নাকফুল পরে। অনেকে আবার চেহারায় একটু ভিন্নতা আনতেও বেছে নেন ছোট্ট এই গয়না। শাড়ির সঙ্গে নাকফুল বেশ মানিয়ে যায়। তবে এখন সালোয়ার কামিজ, ফতুয়া টি-শার্টের সঙ্গেও নাকফুল পরার চল শুরু হয়েছে। এদিকে, রুপার তৈরি নাকের নথ এবং রিং বেশ চলে কনের পরনে।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।