সুন্দর আগামীর প্রত্যাশায়......
বাংলাদেশ-ভারত যৌথ ইশতেহার বাস্তবায়ন নিয়ে আলোচনার জন্য প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা মসিউর রহমান মঙ্গলবার নয়া দিল্লি গেছেন।
এই উপদেষ্টা এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন উর্ধ্বতন কর্মকর্তা তিস্তার পানি বন্টন নিয়ে সম্ভাব্য একটি চুক্তি সই ও ভারত থেকে বিদ্যুত আমদানির বিষয়ে আলোচনা করার কথা রয়েছে।
স�প্রতি থিম্পুতে সার্ক শীর্ষ সম্মেলনের পাশাপাশি এক বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতীয় প্রধানমনত্রী মনমোহন সিং বাংলাদেশ-ভারত যৌথ ইশতেহার বাস্তবায়নের অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা করেন। গত জানুয়ারিতে শেখ হাসিনার নয়া দিল্লি সফরের সময় এই যৌথ ইশতেহার ঘোষণা করা হয়।
দুই নেতা যৌথ ইশতেহার বাস্তবায়ন ত্বরান্বিত করার ওপরও গুরুত্ব আরোপ করেন।
কর্মকর্তারা জানান, প্রধানমন্ত্রীর অর্থ উপদেষ্টা মসিউর রহমানের সফরসঙ্গী হিসেবে রয়েছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক (দক্ষিণ এশিয়া ডেস্ক) মোহাম্মদ ইমরান।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক (বহিঃপ্রচার) মুনা তাসনীম মঙ্গলবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, "তারা বাংলাদেশ-ভারত যৌথ ইশতেহারে বর্ণিত সহযোগিতার অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা করবেন। ইশতেহারে বিদ্যুত ও অন্যান্য খাতে সহযোগিতার কথা বলা হয়েছে। "
উপদেষ্টা ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক আগামী ৮ মে দেশে ফিরবেন বলে জানান তিনি।
৫০-দফা যৌথ ইশতেহারে অপরাধ দমন, বিদ্যুত, পানি, ব্যবসা, কানেকটিভিটি ও উন্নয়ন খাতে বাংলাদেশ-ভারত সহযোগিতার কথা বলা হয়েছে।
এছাড়া তিস্তার পানি বন্টন নিয়ে আলোচনা দ্রুততার সঙ্গে শেষ করার ওপর জোর দেওয়া হয়।
শেখ হাসিনার ভারত সফরের সময় দুদেশের মধ্যে বিভিন্ন অপরাধ দমন বিষয়ক তিনটি চুক্তি এবং বিদ্যুৎ খাতে সহযোগিতা ও সাংস্কৃতিক বিনিময় সংক্রান্ত দু'টি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়।
ওই সময় ভারত তার কেন্দ্রীয় গ্রিড থেকে বাংলাদেশকে আড়াইশ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহের অঙ্গীকার করে।
সড়ক ও রেলপথে ভারত থেকে পণ্য আনা-নেওয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ মংলা ও চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দর ব্যবহার করতে দিতে সম্মত হয়। নেপাল এবং ভুটানকে মংলা ও চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহারের সুযোগ দেওয়ার আগ্রহের কথাও ভারতকে জানিয়েছিল বাংলাদেশ।
যৌথ ইশতেহারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং সহযোগিতা ও পারস্পরিক সমঝোতার ভিত্তিতে দু'দেশের সব অমীমাংসিত ইস্যুর নিষ্পত্তিতে একযোগে কাজ করারও অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।