কাপুরুষের শেষ আশ্রয় হল দেশপ্রেম
সরকারি হিসাব সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দুই বছরের কর্মকাণ্ডের জন্য দুর্নীতি দমন কমিশন বা দুদককে ক্ষমা চাইতে বলেছেন।
তিনি বলেছেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে দুর্নীতি দমন কমিশন যেভাবে কাজ করেছে সেভাবে কাজ করলে দুদকের প্রয়োজন নাই। ওই সময় দুদক রাষ্ট্রের সংবিধান লংঘন করে গোষ্ঠী স্বার্থে বিশেষ মহলের তল্পিববাহক হিসেবে কাজ করেছে।
তিনি বলেন, দুদককে নিরঙ্কুশ ক্ষমতা দিলে সেনা প্রধানও নিরঙ্কুশ ক্ষমতা চাইবেন।
মহীউদ্দীন খান আলমগীর বলেন, ফখরুদ্দিন ও মইন উ আহমেদের আমলে দুদক বিনা দোষে রাজনীতিবিদদের হয়রানি করেছে।
সেনাশাসিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমাকে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে বিবৃতি দিতে বলেছিল। আমি বিবৃতি দেইনি বলে গ্রেফতার করেছে। সাজা দিয়েছে। কিন্তু কোন অভিযোগ প্রমাণ করতে পারেনি। বিনা দোষে কাউকে কামড়ানোর ক্ষমতা আমরা কাউকে দিতে চাই না।
দুদক না থাকলে কিভাবে দুর্নীতি দমন করা হবে সে প্রশ্নের জবাবে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, চূড়ান্ত পর্যায়ে দুর্নীতি দমিত হবে জনতার আদালতে।
তিনি বলেন, গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় নিযুক্তিপ্রাপ্ত কর্তৃপক্ষ নির্বাচিত কর্তৃপক্ষের ওপরে স্থান পেতে পারে না। দুর্নীতি দমন কমিশন, নির্বাচন কমিশন, পাবলিক সার্ভিস কমিশন এগুলোর সবই নিযুক্তীয় কর্তৃপক্ষ। এগুলোর স্থান কখনোই সংসদের উপরে নয়। তা যদি কখনো হয় তবে স্বৈরতন্ত্রকে প্রশ্রয় দেয়া হবে।
দুদক আইনের সংশোধন সম্পর্কে অধ্যাপক মোজাফ্ফর আহমদের বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, আইনের ফাঁকফোকর গলিয়ে অনেক দুর্নীতিবাজ সংসদ সদস্য হয়ে গেছেন, এমন কথা বলে অধ্যাপক মোজাফ্ফর আদালত অবমাননা করেছেন। আইনের ফাঁকফোকর নয়, তারা আইনের মাধ্যমেই মুক্ত হয়েছেন। এরপর জনগণের রায়ে নির্বাচিত হয়ে সংসদে এসেছেন। কিন্তু তিনি বিদেশি টাকার বিনিময়ে জনগণের সমর্থন ছাড়াই কথা বলছেন। তার বক্তব্য আদালত এবং জনগণের সমর্থনকে অবমাননার শামিল।
যারা রাষ্ট্রের সংবিধান লঙ্ঘন করে তাদের চেয়ে বড় দুর্নীতিবাজ নেই বলে তিনি দাবি করেন।
সেদিন বেশি দূরে নয়, যেদিন আমাদের জাতীর বিবেক, ফেরেশতাতূল্য মহান নেতারা তাদের প্রাপ্য মূল্যায়ন না করায় পুরো জাতিকে হাতজোড় করে ক্ষমা চাইতে বলবেন।
আর আমরা অধম প্রজারা দুইহাত জোড় করে অশ্রুসজল চোখে ক্ষমা ভিক্ষা চাইব!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।