মহিউদ্দিন খান আলমগীর আব্দার করেছেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দুই বছরের কর্মকাণ্ডের জন্য দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) কে ক্ষমা চাইতে হবে। সরকারি হিসাব সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মহিউদ্দিন খান আলমগীর। সোমবার এ কমিটির একটি মিটিং শেষে তিনি সাংবাদিকদের মাধ্যমে এ আব্দার করেন।
কে না জানে বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দু'বছর ছিলো বাংলাদেশের দূর্নীতিবাজদের জন্য চরম দু:সময়। অল্প দু'চারজন ছাড়া সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার দূর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে যা করেছে বেশ ভালো করেছে।
সরকারি অফিস আদালতে প্রকাশ্যে ঘুষ চাওয়া বন্ধ হয়ে গিয়েছিলো। বড় বড় দূর্ণীতিবাজদের ঘুষ দেয়া হয়তো বন্ধ হয়নি কারন এ ঘুষের সুতা ছিড়ে ফেলা এতো সহজ নয়। কিন্তু থানায় জিডি করতে গেলে, হাসপাতালে ভর্তী হতে গেলে, সব কাগজপত্র থাকার পরেও সীমান্ত পার হতে গেলে, ওয়াসার বিল তৈরী করে আনতে গেলে-এমনি হাজারো রকমের ঘুষ বন্ধ হয়ে গিয়েছিলো। যেগুলির ভূক্তভোগি সাধারন মানুষ।
এসময় অনেক দূর্নীতিবাজ মহান নেতা সাজা পান।
দূর্ণীতির বরপুত্র তারেক রহমান গ্রেফতার হয়। মহিউদ্দিন খান আলমগীরের দুর্নীতির দায়ে ১৩ বছরের সাজা হয়। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর মামলাটি বাতিল হয়ে যায়।
মহিউদ্দিন খান আলমগীর হচ্ছেন সেই নেতা যিনি আওয়ামীলীগের পক্ষে জনতার মঞ্চে বক্তৃতা করে সরকারি কর্মকর্তাদের শৃঙ্খলা ভঙ্গ করেছিলেন।
আজ সেই নেতা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দুই বছরের কর্মকাণ্ডের জন্য দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) কে ক্ষমা চাওয়ার দাবী তুলছেন।
আব্দার আর কাকে বলে। এটাকে সহজ ভাষায় বলে পাইতে পাইতে জিহ্বা লম্বা হওয়া' । দুদককে নয় ক্ষমা চাইতে হবে মহিউদ্দিন খান আলমগীরকেই। তার ঊদ্ধত্যপূর্ন বক্তব্যের জন্য। দেখা যাক আওয়ামীলীগ তার বক্তব্যে কেমন প্রতিক্রিয়া দেখায়।
যদি আওয়ামীলীগ এসব দূর্নীতিবাজকে প্রশ্রয় দেয় তখন জনগন তাদের ক্ষমা করবে না। তখন ক্ষমা চেয়েও পার পাওয়া যাবেনা। যেমন পার পায়নি বিএনপি।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।