আগামীর স্বপ্নে বিভোর...
সবাই বলেন মানুষকে কাঁদানো সহজ কিন্তু হাসানো কঠিন। আর কঠিন কাজ গুলো আমাকে দিয়ে কখনোই হয়নি আর হবে বলেও মনে হয়না। তারপরও একটা সুযোগ নিলাম দেখি হাসাতে পারি কিনা। জোকসগুলো পড়ে আমি এখনো খুব হাসি।
১.
মিসরীয় কৌতুকের একটি বড় অংশ সাইদীদেরকে নিয়ে।
দক্ষিণ মিসর বা আপার ইজিপ্টের অধিবাসীদের সাইদী বলে। তারা লম্বা আলখেল্লা (ওরা বলে গ্যালাবাইয়া, শুদ্ধ আবরীতে জাল্লাবিইয়া) আর মাথায় পাগড়ী পরে। তাদের গায়ের রং কিছুটা কালোর দিকে। তাদের আরবী উচ্চারণও কায়রোর অধিবাসীদের থেকে কিছুটা ভিন্ন।
একজন সাইদী একটি দোকানে গিয়ে সেলসগার্লকে বললো, 'এই টিভিটার দাম কতো ?'
সুন্দরী সেলসগার্ল গালে টোল ফেলে হেসে বললো, 'আমরা সাইদীর কাছে কিছু বিক্রি করি না।
'
সাইদীর রোখ চেপে গেলো। সে ঠিক করলো এই দোকান থেকে টিভি সে কিনেই ছাড়বে।
কয়েকদিন পর সে আবার এলো দোকানে। লম্বা আলখেল্লা আর মাথার পাগড়ী ছেড়ে এবার সে নিয়েছে পুরোদস্তুর শহুরে বেশ। ভারিক্কি গলায় শহুরে স্টাইলে বললো, 'এই টিভিটার দাম কতো ?'
মেয়েটি আগের মতই বললো, 'আমরা সাইদীর কাছে কিছু বিক্রি করি না।
'
সাইদীর যেমন রাগ হলো, তেমনি রোখও চেপে গেলো। এই দোকান থেকে টিভি সে কিনেই ছাড়বে।
এবার আরো কিছুদিন পরে সে আবার গেলো দোকানটিতে। এবার সে নিয়েছে মহিলার বেশ। আপাদ-মস্তক বোরকায় ঢাকা থাকায় ছদ্মবেশ নিতে তার কোন সমস্যা হলো না।
রক্ষণশীল মহিলাদের মত হাতে পায়ে পরেছে কালো মোজা। ছদ্মবেশে সাইদী কোন ত্রুটি রাখে নি। আগের মেয়েটির কাছে না গিয়ে এবার সে গেলো এক তরুণ সেলসম্যানের কাছে। মেয়েলি গলায় ও ঢঙ্গে বললো, 'মিন ফাদলাক (প্লিজ), এই টিভিটার দাম কত ? আমি এটি কিনতে চাই। '
সেলসম্যান হেসে বললো, 'আমরা সাইদীর কাছে কিছু বিক্রি করি না।
'
এবার সাইদীর রাগের বদলে কৌতুহল হল অনেক বেশী। সে যে সাইদী তা গোপন করার জন্য কতকিছু করলো, কিন্তু দোকানী ঠিকই ধরে ফেললো। কিভাবে সম্ভব ?
কৌতুহল চাপতে না পেরে সে ছদ্মবেশ খুলে বললো, �এই টিভিটা কেনার জন্য আমি প্রায় মাসখানেক ধরে কতভাবে চেষ্টা করছি। প্রতিবার আপনারা বলছেন, আপনারা সাইদীর কাছে টিভি বিক্রি করেন না। আমি যে সাইদী তা আপনারা প্রতিবারই কিভাবে ধরে ফেললেন ?�
সেলসম্যান জবাব দিলো, 'আপনি যেটাকে টিভি বলছেন, আসলে সেটি টিভি নয়, মাইক্রোওভেন।
২.
জিরাফ মাত্র গাজার কল্কেতে একটান দিয়েছে, এমন সময় খরগোশ হাজির।
ছিঃ জিরাফ। এইটা কি করছো ?
জিরাফ কিছু বলে না।
খরগোশ বলে, এরচে চলো বনের ভিতর একটু দৌড়াদৌড়ি করি, স্বাস্থ্য ভালো থাকবে।
জিরাফ গাজার কল্কে রেখে দিয়ে খরগোশের সাথে দৌড়াতে শুরু করল।
তারা দুইজন দৌড়াতে দৌড়াতে একজায়গায় এসে ভালুকের সাথে দেখা। ভালুক শিরায় সুই ফুটাচ্ছে।
ছিঃ ভালুক।
ভালুক চুপ করে থাকে।
তোমার শরীরের জন্য ড্রাগ খারাপ।
এরচে বরং চলো বনের ভিতর একটু দৌড়াই। রক্ত চলাচল বাড়ুক।
তিনজন দৌড়াচ্ছে...
বাঘের সাথে দেখা। বাঘ মাত্র আফিম নেয়ার জোগাড় যন্ত্র রেডি করছে।
ছিঃ বাঘ ।
বাঘ কিছু বলে না।
এইসব ছাইপাশ না নিয়ে, বরং একটু দৌড়াই চলো...
বাঘ এই কথা শুনেই খরগোশকে ধরে মারতে লাগল। ভালুক আর জিরাফ এসে তাকে থামাল। শেষবারের মত খরগোশকে একটা লাথি মেরে সে বলল, তুই আজকে জাস্ট বাইচ্যা গেলি।
ভালুক বলল, ছিঃ বাঘ।
খরগোশ ত ভালো কথা বলছে।
হ !! হারামজাদা যখনই ইয়াবা খায়, আমারে ফুসলাইয়া নিয়া আদ্ধেক বন দৌড়ায়।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।