সুখ চাহি নাই মহারাজ—জয়! জয় চেয়েছিনু, জয়ী আমি আজ। ক্ষুদ্র সুখে ভরে নাকো ক্ষত্রিয়ের ক্ষুধা কুরুপতি! দীপ্তজ্বালা অগ্নিঢালা সুধা জয়রস, ঈর্ষাসিন্ধুমন্থনসঞ্জাত,সদ্য করিয়াছি পান—সুখী নহি তাত, অদ্য আমি জয়ী।
( ম্যায় এয়সে জামঘাট মে খো গ্যায়া হু, যাহা মেরে সিওয়া কোই নেহি হ্যায় )
অতএব বেরোব আমি।
কাল বিকেল থেকেই এ চিন্তা আমার কন্ঠনালী বেয়ে
তার সফেদ গ্রীবা উঁচিয়ে ধরছিল শুধু।
আমি বের হবো যত তাড়াতাড়ি পারি, কেননা
সঠিক জানি না আমি কতখানি ছুঁই ছুঁই ক’রে দূরে
বসে আছে সে, কতখানি উচ্চকন্ঠ হ’লে
তার স্বরে ঝলসে যাবে এ শরীর,
এখন হুট করে বেরিয়ে পড়াই হবে তাই অমোঘ সত্য।
ভয় হয় বেরিয়েই যদি দেখি বেঁটে মতো কোন লোক
পেচ্ছাবে করছে সয়লাব পাশের দেয়াল
যদি দেখি হুড তোলা রিকশায় জবুথবু বসে থাকা
কুঞ্চিত কোন রমণীর দেহ, অথবা রাজপথ রুদ্ধ ক’রে
উলঙ্গ জনজটে বিলাচ্ছে রিলিফ কোন দল!
আমি কি ফিরে যাবো তবে? নাকি দুঃখ পাবো খুব
অথবা চিনাবাদাম চিবোতে চিবোতে উল্লাসে বাজীমাৎ?
কাল বিকেলেই আমার এ শরীর ঘষে মেজে চক্চকে করেছি খুব
টয়লেট সেরে আয়নায় দেখেছি মুখ, খুব পরিচিত মুখ,
চিরুণী চালিয়ে নিরাপদ আশ্রয়ে ঢেকেছি টাক
নখ দিয়ে ব্রণ তুলে মলম ঘষছি তাতে, আর
রঙিন রুমাল দিয়ে মুছেছি কপালের জমে থাকা ঘাম
তবু এমন এ প্রস্তুতিলগ্নে বেরোন হলো না আমার!
মুখ গুঁজে পড়ে রইলাম বিছানায়
শুনলাম হৃৎপিন্ডের সচল ধ্বনি বালিশে কান পেতে সারারাত
তারপর ঊঠে বসলাম এই ভেবে-
দেখি বেরোন যায় কি না ফের, কাল বিকেলের আগেই!
( উৎসর্গঃ আরবান মধ্যবিত্ত শ্রেণীকে )
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।