সবুজের বুকে লাল, সেতো উড়বেই চিরকাল (এই লেখাটি উৎসর্গ করলাম ঢাকার নাম করা উদয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকাকে। যার পথ অনুসরণ করে, আগামির নারীরা হয়ে উঠবে সত্যিকারের "প্রগতিশীল এবং আধুনিক মানসিকতার অধিকারি"। )
আর শিরোনামের কৃতজ্ঞতা স্বীকার প্রগতিশীলতার পরম পুজনীয় গুরু কবি সৈয়দ শামসুল হককে। যিনি একটি বেসরকারি চ্যানেল আর একটি মাল্টি ন্যাশনাল কোম্পানির যৌথ প্রযোজনায় অনুষ্ঠির সুন্দরি প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহনকারি এক প্রতিযোগিকে এই মহান বানী দিয়েছিলেন।
চিরচারিত এক বাংলাদেশি তরুনী
মার্জিত সুন্দর রুচির।
কিন্ত তাতে প্রগতিশীল আধুনিকতা কি রক্ষা হয়?
তাই চলুন আমাদের প্রগতিশীল এবং আধুনিক বুদ্ধিজীবিদের মতাদর্শে আমাদের নারীদের সাজাই।
এইটা কিছু হইলো? আরো আধুনিক চাই।
নাহ যতটা আশা করা গিয়েছিলো তেমন না। চলে আর কি !
তাহলে এটা?
উহু? আরো? আচ্ছা দেখা যাক।
ভালোই? কিন্ত আরো ভালো চান?
এই রকমই? তবে আরো একটু?
এর বেশি চাইলে, প্রগতিশীলরা নিজেরাই যেন তাদের কন্যা জায়া জননীকে উন্মুক্ত করেন।
কারণ অন্যদের উদোম হতে বলবেন আর নিজেদের কন্যা জায়া জননীকে "অবরুদ্ধ" করে রাখবেন সেটা হওয়া উচিত না।
পোস্টের পেছনের খবর।
উদয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা, যিনি কিনা একজন প্রতিমন্ত্রির স্ত্রীও বটে, তিনি শ্রেফ ফুল হাতা জামা পড়ে স্কুলে আসাতে প্রায় ৫০ জন স্কুল ছাত্রির জামার হাতা কেটে দিয়েছেন। আধুনিকতার নামে এ কোন ধরণের উন্মুক্ত করার উন্মাদ মানসিকতা? তিনি তার মেয়েকে যে কোন ধরণের পোষাক পড়াতে পারেন, সেটা তার ব্যাক্তিগত ইচ্ছা। কিন্ত শালিন পোষাক পড়ে আসাতে এই কোমলমতি স্কুল বালিকা কিশোরিদের উপর এই ধরণের আচরণ মেনে নেবার প্রশ্নই আসে না।
যদি পেটে বিদ্যাবুদ্ধি কিছু থেকে থাকে, তাহলে তো তার জানার কথা যে, দেশে জোর করে হিজাব পড়ানোর বিরুদ্ধে আইন আছে। তার মানে এই না, সে জোর করে ল্যাংটা করা বৈধ !
দেশে কোন মেয়ের উপর বিশেষ করে ইসলামের নামে কিছু করা হলে, নারীবাদি বহলে হৈ চৈ পড়ে যায়। অথচ খোদ রাজধানির বুকে একটি নামি স্কুলে এই ধরণের ঘটনা ঘটলেও প্রতিক্রিয়ার পরিবর্তে তারা বালুতে মুখ গুজে বসে আছেন।
তাহলে ধরেই নিতে হচ্ছে যে, নারীবাদি সংস্থাগুলি আসলে, নারীর কল্যাণ বা উন্নয়ন নয়, নারীকে পণ্য বানিয়ে মুনাফা লাভের একটি হাতিয়ার মাত্র। ধিক এই সব লোক দেখানো সংগঠনকে।
বাংলাদেশের চিরচারিত ভাষা ঐতিহ্য এবং সংস্কৃতিকে এই সব নোংরা মানসিকতার তথাকথিত প্রগতিশীল বুদ্ধিজীবি এবং তাদের দোসর স্বামী খেদানো সংসার বিচ্ছিন্ন সমাজ পরিত্যাক্ত মহিলাদের হাত থেকে বাচাতেই হবে।
আমাদের কন্যা জায়া জননি, আমাদের চোখের মণি হয়েই থাক। কারো বিকৃত যৌন রুচি মেটানো মাধ্যম নয়।
শেষ কথাঃ নারীদের প্রতি পুর্ণ শ্রদ্ধা রেখেই বলছি, কেউকে যৌন সুরসুরি দেবার জন্য এই পোস্ট নয়। বরং তথাকথিত আধুনিকতার দোহাই দিয়ে নর্দমাসম কুরুচিপুর্ণ জীবন ব্যাবস্থার প্রতি আকর্ষণ করার ফাদ থেকে সাবধানে থাকার জন্যই দেয়া হয়েছে।
আধুনিকতা আর প্রগতিশীলতার সাথে নোংরামির যে বিশাল পার্থক্য আছে, সেটা জানুন এবং সচেতন হোন। কোন নোংরা লোকের মিস্টি কথায় ভুলবেন না।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।