একজন ইউনুস খান বেঁচে থাকতে চান গণ মানুষের মৌলিক চাহিদা পূরণের আন্তরিক প্রচেষ্টা এবং উদ্যেগ গ্রহণের মাঝে।
২৫ তারিখ ২০০১ সালের সেপ্টেম্বর মাস। আমার জীবনের দুঃখ স্মৃতি ভরা একটি দিন। আজকে হঠাৎ সেই দিনটার কথা মনে পড়ে গেলো।
ঐ দিন আমার ইন্টার সেকেন্ড সেমিস্টার পরীক্ষা শেষ হলো।
আমি ময়মনসিংহ থেকে বাসার উদ্দেশ্যে রওনা হলাম। রাত্র হয়ে যাওয়ায় বাসায় না গিয়ে মামার বাড়িতে থেকে গেলাম।
২৬ তারিখ সকালে আমার ছোট ভাই খবর নিয়ে আসে আমাদের শ্রদ্ধেয়, প্রাণ প্রিয় চাচাত বোন নাহার ২৫ তারিখ রাত্রে আমাদের সবার মায়া ত্যাগ করে চলে গেছে। নাহারের মৃত্যুর কথা শুনে থমকে গেলাম। চিৎকার করছিলাম কিন্তু গলা দিয়ে কোন শব্দ আসছিলোনা।
বিশ্বাস অথবা কল্পনাও করতে পারছিলাম না। সাথেই সাথেই আমার গ্রামের বাড়ীতে রওনা দিলাম।
ততক্ষণে আমার বোনকে গোসল দিয়ে সাদা কাফন দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়েছে। আমি দেখতে চাইলাম। কিন্তু আমাকে দেখতে দেওয়া হলোনা।
কারন এতে নাকি মৃত ব্যাক্তির আযাব হয়। কারন আমি যে তার চাচাত ভাই। কিন্তু আমিত তা চাইনা। ফলে যে বোনকে দুইমাস আগে হাসি মুখে দেখে এসেছিলাম তাকে আর কখনই দেখা হলোনা।
আমরা এক ক্লাসে পড়তাম।
তাই সে আমার চেয়ে এক বছরের বড় হলেও কোনদিন আপা ডাকিনি। আমি তাকে প্রায়ই ক্ষেপাতাম, ঝগড়া করতাম। সে আম্মাকে বলেছিলো চাচীআম্মা ইউনুসের চেয়ে আমি বড় অথচ সে আমাকে আপা ডাকেনা। এইবার আসলে তাকে আমার সামনে কান ধরে উঠবস করাবেন। আমি জানি এটা কোন বিচার ছিলনা, এতে ছিল শধু ছোট ভাইয়ের প্রতি ভালোবাসার নিদর্শন।
নাহার আজ তুমি অনেক দূরে। এভাবে তুমি আমাদের ছেড়ে চলে যাবে তা কখনই আমরা ভাবতে পারিনি। এখনও তোমার জন্য আমার, আমাদের নীরব কান্না তা কি তুমি দেখতে পাও? কি আর এমন হয়েছিলো- জন্ডিস। তুমিতো ভালোও হয়েগিয়েছিলে। তাহলে হঠাৎ করে কেন মনে হলো আমাদেরকে ফাঁকি দেওয়া দরকার?
নাহার তোমাকে ভুলতে পারবোনা.....তোমাকে ভুলা যায় না.....
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।