আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

লেখিকা তসলিমা নাসরিনকে দেশে ফিরিয়ে আনার দাবিতে ঢাকায় মানববন্ধন

আমার আমি ....

বাংলাদেশের লেখিকা তসলিমা নাসরিনকে দেশে ফিরিয়ে আনা এবং তার মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার দাবীতে ঢাকায় এক মানব বন্ধন হয়েছে। দীর্ঘ দুদশক আগে তিনি তার লেখার জন্য হুমকির মুখে দেশ ছাড়ে...ন। এদিকে এই লেখিকা বলছেন দেশে ফেরার জন্য ২০ বছর ধরে তিনি চেষ্টা করেছেন কিন্তু তার পাসপোর্ট নবায়ন করতে সরকারি বাধার ফলে তিনি দেশে ফিরতে পারছেন না। লেখিকা তসলিমা নাসরিনের দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য ঢাকায় মানববন্ধন করেন তার বন্ধু ও ভক্তরা। আয়োজকদের একজন নাহিদ সুলতানা, এই লেখিকার দেশে ফেরার সব রকম আইনি বাধা তুলে তাকে দেশে ফিরিয়ে আনার দাবি জানান।

তসলিমা নাসরিন তার গল্প, উপন্যাস ও কবিতায় নারী অধিকার, সাম্প্রদায়িক মূল্যবোধ,রাজনীতিসহ বিভিন্ন বিষয়ে লেখালেখি করেন। নব্বইয়ের দশকে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়ার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে একটি মামলাও হয়। "আমার যে বাংলাদেশি পাসপোর্ট রয়েছে সেটা নবায়ন করার ব্যাপারে কোন বাংলাদেশ অ্যামবাসি রিনিউ করে না। আমি ইউরোপ, আমেরিকার প্রায় প্রত্যেকটি অ্যামবাসি ও ভারতের অ্যামবাসিতেও গিয়েছি কিন্তু তারাও রিনিউ করে না। " ১৯৯৪ সালে তিনি তার লেখার কারণে হুমকির মুখে দেশ ত্যাগ করেন।

মানব বন্ধনের অংশ নেওয়া একজন বলছিলেন তার বিরুদ্ধে করা মামলার বিষয়টি নিষ্পত্তি করে তাকে দেশে ফিরিয়ে আনার পথ সহজ করতে হবে। তসলিমা নাসরিন বাংলাদেশ ত্যাগের পর ভারত সহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশে অবস্থান করেছেন। এর মধ্যে তিনি সুইডেনের নাগরিকত্ব গ্রহণ করেছেন। তবে দীর্ঘ সময় ধরে তিনি ভারতের দিল্লীতে বাস করছেন। বাংলাদেশে আজকের এই মানব বন্ধন ও তার দেশে ফিরে আসার প্রসঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তসলিমা নাসরিন বিবিসিকে বলেন তিনি সব সময় দেশে ফিরে আসতে চেয়েছেন তবে তার পাসপোর্ট নবায়ন করতে সরকারি বাধার ফলে তিনি দেশে ফিরতে পারছেন না।

তিনি বলেন, “আমার যে বাংলাদেশি পাসপোর্ট রয়েছে সেটা নবায়ন করার ব্যাপারে কোন বাংলাদেশ অ্যামবাসি রিনিউ করে না। আমি ইউরোপ, আমেরিকার প্রায় প্রত্যেকটি অ্যামবাসি ও ভারতের অ্যামবাসিতেও গিয়েছি কিন্তু তারাও রিনিউ করে না। এবং আমার যে ইউরোপের পাসপোর্ট আছে সেটাতেও বাংলাদেশের ভিসা দেয়া হয় না”। তসলিমা নাসরিন বলেন তার লেখা বই নিষিদ্ধ করা এবং তার ভাষায় দেশ ত্যাগে বাধ্য করায় তার বাক স্বাধীনতাকে খর্ব করায় হয়েছে। কোন গণতান্ত্রিক দেশের কাছে এমন আচরণ কাম্য নয় বলে তিনি মন্তব্য করেন।

তিনি এর সাথে আরও যোগ করেন, “বাংলাদেশ সরকার যদি মনে করে থাকে মুসলিম মৌলবাদীরা পছন্দ করবে না, আমি জানতে চাই বাংলাদেশ সরকার মুসলিম মৌলবাদীদের এত খুশি করার চেষ্টা করছেন কেন, ভোটের কারণে? তাহলে তো এটাকে ডেমোক্রেসি বলা যায় না। বাংলাদেশ সরকার কেন আমার গণতান্ত্রিক অধিকার খর্ব করছে”? তসলিমা নাসরিনের বিরুদ্ধে করা দুটি মামলার মধ্যে একটিতে তার অনুপস্থিতিতে এক বছরের সাজা হয়। তবে সে সময়কার তার আইনজীবী ইদরিসুর রহমান জানান দেশে ফিরলে আগাম জামিন নিয়ে তিনি উচ্চ আদালতে তার বিরুদ্ধে করা মামলার কার্যকারিতা সম্পর্কে চ্যালেঞ্জ করতে পারেন।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.