আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কর্তৃপক্ষ কী ভাবছে?

কেশচর্চা, কেশ নিয়ে গান, কবিতা সবই হয়ত বন্ধ হয়ে যাবে! নজরুলের মতো করে হয়তো আর গাওয়া হবে না, ‘আলগা করো গো খোঁপার বাঁধন, দিল ওইয়ি মেরা ফাস গেয়ি...’। কারণ, চুল নিয়ে শুরু হয়ে গেছে রাজনীতি। আর কোনো কিছু নিয়ে যখন রাজনীতি শুরু হয়, তখন তার কী দশা হয়, তা আমরা আগেই দেখেছি। রাজনীতি এবার টান দিয়েছে চুল ধরে। চুলের তেল, শ্যাম্পু প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য সামনে খুব খারাপ সময় অপেক্ষা করছে।

আবার বলা যায় না, হিতে বিপরীতও হতে পারে। দেখা যাবে, চুলের রাজনৈতিক শ্যাম্পুর উৎপাদন শুরু হয়ে যাবে অচিরেই এবং কাটতিও হবে বেশ ভালো। দেখা যাবে, সেই শ্যাম্পু মাখলে চুল নিয়ে রাজনৈতিক টানাটানি আরও ভালোভাবে করা যাবে। বাতাসে তো দূরে থাকুক, জোটবন্ধ হয়ে টানলেও চুল উঠবে না। তখন অবশ্য টাকমাথাওয়ালা রাজনীতিবিদদের জন্য ‘পলিটিকস’ করা একটু সংকটময় হয়ে পড়বে।

 ভাতের মধ্যে চুল পাওয়া গেলে অনেকেই পাতের ভাত রেখে উঠে যান; ঘেন্নায়। এখন রাজনীতিতে চুল পাওয়া গেছে, এবার দেখি কতজন রাজনীতি থেকে ঘেন্নায় মুখ ফিরিয়ে নেন। তবে হেয়ার স্পেশালিস্টদের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ দেখা যাচ্ছে। তাঁদের কদর আরও বেড়ে যাবে বলেই আমাদের ধারণা। নিত্যনতুন রাজনৈতিক চুলের কাট বের হবে।

অমুক কাট, তমুক কাট! চুল নিয়ে টানাটানি খারাপ কিছু নয়। জনগণের জান-মাল নিয়ে টানাটানির থেকে এটা বরং ভালো। এই খেলা দেখার মতো দর্শকেরও অভাব নেই। সংসারের ঘানি টানাটানির চেয়ে কিছুক্ষণ চুল টানাটানি দেখার মাঝে অনেক বিনোদন। কর্তৃপক্ষ কি এই চুল টানাটানিকে একটি পূর্ণাঙ্গ খেলার সম্মান জানাতে পারে না?।

সোর্স: http://www.prothom-alo.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।