আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

রাজধানীর গার্লস স্কুলের সামনে সাদা পোষাকের পুলিশ মোতায়ন



এইটুকুই কি যথেষ্ট? যেখানে স্কুলের ভিতরে ছাত্র, শিক্ষক, কর্মচারী সবাই মেয়েদের উক্তোক্ত(ইভটিজিং) করছে সেখানে কি করে এটুকুই যথেষ্ট হয়? অনেকের মতে এতে করে বখাটেদের হাত থেকে অন্তত মেয়েরা রক্ষা পাবে। কিন্তু কতদিনের জন্য? পরিস্থিতি ঠাণ্ডা হওয়া পর্যন্ত। এ পদক্ষেপ মানুষকে চুপ করার জন্য নেয়া ছাড়া আর কিছুই নয়। মানুষ স্থায়ী সমাধান দেখতে চেয়েছিল। কিন্তু তাদের হাতে ধরিয়ে দেয়া হয়েছে সান্ত্বনা।

আমি কোন রাজনীতির সার্থে এসব কথা বলছি না। আমার সে বয়সও হয় নাই। আমি এসব বলছি কারণ আমি অতিষ্ট হয়ে গেছি। আর যারা এসব সহ্য করছে তাদের অবস্থা চিন্তাও করা অনেক কষ্টের। অনেকে হয় তো ভাবতে পারেন আমার লজ্জা নেই কারণ আমি ছেলে হয়েও মেয়েদের পক্ষে কথা বলছি।

কিন্তু এখানে ব্যপারটা পক্ষ-বিপক্ষের না। ব্যপারটা ভাল এবং খারাপের। খারাপ মানুষ ইভটিজিং করে আর ভাল মানুষ এর বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়। আমি ভালদের দলে থাকতে চাই, খারাপদের দলে না। রুখতে হলে খারাপ মানুষদের রুখতে হবে।

শুধু বখাটেদের নয়। নাহলে ব্যপারটা তো এরকম দাঁড়াল যে, খবরের শিরোনাম পড়েই বুঝে গেলাম ঘটনা কি। পুরো খবর পড়ে কি লাভ? কিন্তু পুরো খবরে শুধু বখাটেদের কথা থাকে না। তাদের সবার কথা থাকে যারা ছাত্রীদের আত্মহত্যা ও লেখপড়া বন্ধের জন্য দায়ী। ব্যবস্থা সবার বিরুদ্ধেই নিতে হবে।

নাহলে আবার মানুষের আরেকটি সৎ আন্দোলন আগের মতই অতলে তলিয়ে যাবে।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।