সবাইকে নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়ে আমার এই লেখাটি শুরু করছি। কয়েকদিন ধরে শুধু চিন্তা করছি কিন্তু সময় পাচ্ছিলাম না । আমরা জানি টেলি-মেডিসিন বাইরের দেশে একটা সাধারন ব্যাপার এবং এর সুফলটা হরহামাশাই বাংলাদেশর বাইরে লোকজন ভোগ করে থাকে। এখন থেকে ৩-৪ বছর আগে যেখানে মোবাইল, ইন্টারনেট, ইমেইল, ওয়েবক্যাম, টেক্সট মেসেজ শব্দগুলোর সাথে আমরা পরিচিত ছিলাম না কিন্তু আজকে আমরা এই জিনিসগুলোর সাথে যেন মিশে আছি সবসময়। আজ আমাদের দেশে অনেক ভাল ভাল হসপিটাল এবং ডায়াগনস্টিক সেন্টার আছে, লোকবল আছে, যন্ত্রপাতি আছে সব আছে কিন্তু আমরা শুধু টেকনোলজিকে সঠিকভাবে কাজে লাগাতে পারছি না।
আজকে আমরা ডায়াগনস্টিক সেন্টার এ গিয়ে রিপোর্ট এর জন্য ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষা করি। অথচ শুধু মাএ একটা ইমেইল এর মাধ্যমে আমরা রিপোর্ট পেতে পারি ঘরে বসে থেকে, অথবা একজন রোগী তার নমুনা ল্যাবে জমা দেয়ার পর তার ডাক্তার রুমে অপেক্ষা করবে এবং ল্যাব থেকে সংশ্লিষ্ট ডাক্তার কাছে ইমেইল অথবা সার্ভার এ রিপোর্ট চলে যাবে। কারন এখন একজন ডাক্তার একজন রোগীকে দেখে টেস্ট দিয়ে দেয় এবং রোগী রিপোর্ট এনে দিলে সে অনুযায়ী ঔষধ দিয়ে থাকে। এইরকম প্রাথমিক ব্যাপারগুলো কিন্তু আমরা অনায়াসে টেলিমেডিসিন এর মাধ্যমে সুফল পেতে পারি। আজকে আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ নিয়ে অনেক কথা শুনছি কিন্তু যে জিনিসগুলো এখনি বাস্তবায়ন সম্ভব এবং আমাদের লোকবল আছে, মেধা আছে অথচ সেগুলি নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছি না।
অথচ টেলিমেডিসিন চালু করে নতুন কাজের ক্ষেত্র তৈরি করতে পারি। ঢাকা বা ঢাকার বাইরে বড় বড় ল্যাবে রিপোর্ট কিন্তু কম্পিউটারাজইড এমনকি আজকাল ডাক্তাররা একজন কম্পউটার অপারেটর রাখছে শুধুমাত্র প্রেসক্রিপশন লেখার জন্য। টেলিমেডিসিন কনসেপ্ট এ সবাই একটা সার্ভার এ সংযুক্ত থাকবে। যেখান থেকে একজন রোগী ডাক্তারদের সিরি্যাল থকে শুরু করে ল্যাব রিপোর্ট এবং ভিডিও কনফারেন্স সহ সব সার্ভিস পাবে। এজন্য আমাদের দেশের সরকার এবং ডাক্তারদের এগিয়ে আসতে হবে কারন তাদের মধ্যে কম্পউটার নলেজ খুবই ক্ষীন।
এখন আর বসে থাকার সময় নেই যুগের সাথে তাল মেলাতে হবে আমাদেরকে, আর সময়টা এখনই উপযুক্ত।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।