আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনটির প্রতিবেদন প্রকাশের পর এ নিয়ে বৃহস্পতিবার বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ বলেছেন, অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের প্রতিবেদনে বর্তমান চিত্রের ‘একটি ক্ষুদ্র প্রতিফলন’ ঘটেছে।
“বাস্তব চিত্র আরো গভীর, আরো ব্যাপক। দেশের বর্তমান মানবাধিকার পরিস্থিতি অতীতের সব রেকর্ড ভঙ্গ করেছে,” বলেন তিনি।
বিশ্বের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে বুধবার প্রকাশিত বার্ষিক প্রতিবেদনে অ্যামনেস্টি বাংলাদেশে বিচারবহির্ভূত হত্যা, নির্যাতন, গুম, নারী-সংখ্যালঘু-পাহাড়ি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীগুলোর ওপর নির্যাতনের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
বাংলাদেশে রাজনৈতিক সংঘাতে প্রাণহানির ঘটনা বেড়ে যাওয়া নিয়েও উদ্বেগ জানিয়েছে মানবাধিকার সংগঠনটি।
মওদুদ জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘হুমকির মুখে গণতন্ত্র ও মৌলিক অধিকার’ শীর্ষ এক আলোচনা সভায় বক্তব্যে মানবাধিকার সংগঠনটির প্রতিবেদনের জন্য ধন্যবাদ জানান।
বিএনপি নেতা বলেন, “গ্রামাঞ্চলে পুলিশ ও স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতা ও মদদে ক্ষমতাসীন দলের ছাত্রলীগ ও যুবলীগের লোকজন যা করছে, তা অবর্ণনীয়। অ্যামনেস্টির প্রকাশিত প্রতিবেদনের চেয়ে তার ব্যাপকতা অনেক লম্বা।
“বিচারবর্হিভূত হত্যাকাণ্ডের যে সংখ্যা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাস্তব সংখ্যা আরো বেশি হবে বলে আমরা মনে করি। ”
মানবাধিকার নিয়ে সরকারের কোনো ভাবনা নেই দাবি করে সাবেক আইনমন্ত্রী মওদুদ বলেন, “অ্যামনেস্টির প্রতিবেদন নিয়ে সরকারকে জিজ্ঞাসা করা হলে তারা হয়ত বলবেন- এটি ভিত্তিহীন, মিথ্যা ও অসত্য।
তারা নিজেদের দোষ স্বীকার করবেন না। ”
সমাবেশে ‘নিষেধাজ্ঞা’ আরোপের নিন্দা জানিয়ে তিনি বলেন, “কোন আইনবলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সভা-সমাবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন, তা স্পষ্টভাবে তাকে বলতে হবে। তার এই ঘোষণার মধ্য দিয়ে দেশে গণতন্ত্রের মৃত্যু হয়েছে। ”
সরকারের বিরুদ্ধে বিচার বিভাগে হস্তক্ষেপের অভিযোগ তুলে মওদুদ বলেন, “বিচার বিভাগের স্বাধীনতা থাকলেও আজ বিচারকরা স্বাধীন নন। ”
আওয়ামী লীগ একদলীয় শাসন চালাচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
‘ডেমোক্রেটিক মুভমেন্ট’ আয়োজিত এই আলোচনা সভায় এলডিপির যুগ্ম মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম, বিএনপির সংসদ সদস্য সৈয়দা আসিফা আশরাফি পাপিয়া, স্বাধীনতা ফোরামের সভাপতি আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহও বক্তব্য রাখেন।
এছাড়া জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘অল কমিউনিটি ফোরাম’ নামে আরেকটি সংগঠনের আলোচনা সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য রফিকুল ইসলাম মিয়া বলেন, “স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মানুষের সভা-সমাবেশের মৌলিক অধিকার কেড়ে নিয়েছে। তার ওই ঘোষণা অসাংবিধানিক ও অগণতান্ত্রিক। ”
প্রকৌশলী আশরাফ উদ্দিনের সভাপতিত্বে ওই আলোচনা সভায় বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ওসমান ফারুক, আহমেদ আজম খান বক্তব্য রাখেন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।