মঙ্গলবার বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন কাদেরের রায়ের পর এক বিবৃতিতে এ সংস্থার বাংলাদেশ গবেষক আব্বাস ফয়েজ বলেন, “বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধকালে ভয়াবহ নির্যাতনে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো দীর্ঘদিন ধরে বিচার অপেক্ষায়। তবে মৃত্যুদণ্ড কোনো সমাধান নয়। কেনো মানবাধিকার লংঘনের ঘটনার মধ্য দিয়ে একই ধরনের অন্য একটি ঘটনার ক্ষতিপূরণ হয় না। ”
“সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীসহ অন্যদের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ প্রত্যাহার করা উচিত বাংলাদেশের। মৃত্যুদণ্ড নিষ্ঠুরতা ও অমানবিক শাস্তি।
তা ন্যায়বিচারের একটি উপায় হতে পারে না। ”
বিএনপি নেতা ও ছয়বারের সাংসদ সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর বিরুদ্ধে একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের নয়টি অভিযোগ সন্দেহাতীত প্রমাণিত হয়েছে, যার মধ্যে হত্যা, গণহত্যা ও নির্যাতনের মতো অপরাধ রয়েছে।
এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার কথা জানিয়েছে তার পরিবার।
আব্বাস ফায়েজ বলেন, “স্বচ্ছ বিচারের স্বার্থে এবং মৃত্যুদণ্ডের পুনরাবৃত্তি এড়াতে সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর আপিল আন্তর্জাতিক মানদণ্ড বজায় রেখে বিবেচনার জন্য আমরা বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।
“এছাড়া মৃত্যুদণ্ড বাতিলের প্রথম ধাপ হিসেবে বাংলাদেশ সরকারকে তা বাস্তবায়নের ওপর স্থগিতাদেশ দিতে হবে।
”
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল সব ধরনের অপরাধের ক্ষেত্রেই মৃত্যুদণ্ডের বিরোধী বলেও বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়।
এর আগেও আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে যুদ্ধাপরাধে মৃত্যুদণ্ডের রায়ের প্রতিবাদ জানিয়েছে আন্তর্জাতিক এই মানবাধিকার সংস্থা।
আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর একাত্তরে যুদ্ধাপরাধের বিচারে ২০১০ সালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল (আইসিটি) গঠন করা হয়। এরপর মোট সাতটি মামলার রায় হয়েছে।
এসব রায়ে সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীসহ পাঁচজনকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়।
যাবজ্জীবন দণ্ডের আদেশ পাওয়া আরেকজনকে পরে ফাঁসির আদেশ দেয়া হয় আপিল বিভাগে।
দণ্ডিতরা রায়ের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্টে আপিল করার সুযোগ পাচ্ছেন। আপিল করার সুযোগ রয়েছে প্রসিকিউশনেরও।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।