সময় বয়ে চলে তার আপন গতিতে
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল এক বিবৃতিতে বলেছে, হরতালের দিন বাংলাদেশে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর আচরণ ছিল বেপরোয়া। শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিবাদকারীদের সঙ্গে অযাচিতভাবে অতিরিক্ত বলপ্রয়োগ করা হয়েছে। ঢাকা এবং অপরাপর সিটি থেকে প্রাপ্ত তথ্যের উদ্ধৃতি দিয়ে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল আরও উল্লেখ করেছে যে, শান্তিপূর্ণভাবে হরতাল পালনকারীদের ওপর চড়াও হয়েছেন অন্ততঃপক্ষে ডজনখানেক স্থানে র্যাব এবং পুলিশ । এ সময় শতাধিক লোক আহত হয়েছেন। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক গবেষণা কর্মকর্তা আব্বাস ফয়েজ এক দীর্ঘ বিবৃতিতে ৩০ নভেম্বর বলেছেন, হরতালকারীদের ওপর হামলার সঙ্গে জড়িত পুলিশ ও র্যাবের সদস্যদের শনাক্ত করতে দ্রুত তদন্ত করা উচিত এবং তাদের বিচারে সোপর্দ করা জরুরি।
একইসঙ্গে ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ প্রদান করাও দরকার। অ্যামনেস্টি আরও বলেছে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত বাহিনীকে তার কাজের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা উচিত এবং ভবিষ্যতে তারা যাতে শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি পালনকারীদের সঙ্গে এহেন দুর্ব্যবহার না করে সে ব্যাপারেও দিক-নির্দেশনা থাকা প্রয়োজন। হরতালের সময় গ্রেফতারকৃতরা যাতে আত্মপক্ষ সমর্থনের যথাযথ সুযোগ পায় এবং তাদের সঙ্গে আত্মীয়-স্বজনরা সাক্ষাত্ করতে পারেন সে নিশ্চয়তাও সরকারকে প্রদানের আহ্বান জানিয়েছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। এছাড়া যাদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ দায়ের করা হয়নি তাদের দ্রুত মুক্তি প্রদানের আহ্বানও জানানো হয়েছে।
এদিকে অ্যামনেস্টির বিবৃতিকে স্বাগত জানিয়ে লন্ডনে বসবাসরত বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির আন্তর্জাতিক সম্পাদক আলহাজ কমরউদ্দিন বার্তা সংস্থা এনাকে বলেছেন, সত্য কখনও গোপন করা যায় না— তা স্পষ্ট হলো অ্যামনেস্টির বিবৃতিতে।
শেখ হাসিনা সরকারের স্বৈরশাসনের স্বরূপ উন্মোচিত হয়েছে ওই বিবৃতিতে। তিনি সরকারকে হুশিয়ারি করে বলেছেন, প্রবাসে শুরু দুর্বার আন্দোলন থেকে শেখ হাসিনার দমনপীড়নের জবাব দেয়া হবে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।