আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

জনগণের মামলা নিচ্ছে না আদালত : সালাহউদ্দিন কাদের



বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরী বলেছেন, দেশে এখন আইনের শাসন নেই। ইদানীং আদালত জনগণের মামলা নিচ্ছে না। তারা আইনের শাসনের নমুনা দেখাচ্ছে জনগণকে। এ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য জনগণের রাজপথে নামার বিকল্প নেই। জাতীয় প্রেসক্লাবে গতকাল দুপুরে সেন্টার ফর ডেমোক্রেসি অ্যান্ড পিস স্টাডিজ আয়োজিত ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ কি বস্তু?’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন।

দৈনিক নয়া দিগন্ত সম্পাদক আলমগীর মহিউদ্দিনের সভাপতিত্বে বৈঠকে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ব্যারিস্টার আকবর আমিন বাবুল। সংগঠনের নির্বাহী পরিচালক সাদেক রহমানের পরিচালনায় নির্ধারিত বিষয়ের ওপর আলোচনায় অংশ নেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক শিরিন সুলতানা, ডিইউজে’র সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ বাকের হোসাইন প্রমুখ। গত রোববার উচ্চ আদালতে আইনের শাসনের নমুনা দেখা গেছে উল্লেখ করে সালাহউদ্দিন কাদের বলেন, বিচারকরা দুই বছর আগের সিএসবি’র মামলাটি শুনানি করতে অনাগ্রহ দেখালেও খালেদা জিয়ার বাড়ি নিয়ে মামলার শুনানিতে তাদের ব্যাপক আগ্রহ। এছাড়া ইদানীং রাস্তায় রাস্তায় লালসালু দিয়ে মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের দাবি দেখা যাচ্ছে। কিন্তু ইডেন কলেজে মানবতা লঙ্ঘনের বিচারের জন্য একটি লালসালুও দেখা যাচ্ছে না।

সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরী বলেন, আমরা প্রধানমন্ত্রীর মতো ভাগ্যবান নই। আমরা তার মতো পাকিস্তানি বাহিনীর নিরাপত্তা হেফাজতেও থাকতে পারিনি, ভারতেও পালিয়ে যেতে পারিনি। ফলে বর্তমান সরকার সম্প্রতি আইন সমপ্রসারণ করে দেশের সাড়ে ৬ কোটি মানুষকে বিচারের মুখোমুখি দাঁড় করিয়েছেন। প্রশ্ন দেখা দিয়েছে, কার বিচার কে করবে। তবে সময় এসেছে, ডিজিটাল সরকারের বিচার ডিজিটাল পদ্ধতিতেই হবে।

এ থেকে কোনো পরিত্রান নেই। এ সরকারের ডিজিটাল পতন ঘটবে। বিএনপি’র এ সিনিয়র নেতা বলেন, এখনও অনেক কথাই বলিনি, আদালতেই বলব সব কথা। মুক্তিযুদ্ধের সময় আমার বাবার কাছ থেকে কে কত টাকা নিয়েছিল, আমি কার অলঙ্কার নিরাপদে বাসায় পৌঁছে দিয়েছিলাম, আওয়ামী লীগের কোন কোন নেতাকে মুসলিম লীগের প্যাড সরবরাহ করেছিলাম। বাংলাদেশ দণ্ডবিধির ৩২ ধারার উল্লেখ করে সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরী বলেন, সরকার আইন সংশোধন করে দেশের সাড়ে ৬য় কোটি মানুষকে বিচারের মুখোমুখি করেছে, অথচ পিলখানায় বিপদগ্রস্ত সেনাকর্মকর্তারা বার বার বাঁচানোর আকুতি জানানোর পরও সেদিন প্রধানমন্ত্রী ও সেনাপ্রধান সাহায্য করেননি।

এ দায়িত্ব অবহেলার জন্য তাদের বিরুদ্ধে ৩২ ধারায় অভিযোগ আনা যেতে পারে। সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরী বলেন, আজকেও আমার কাছে মোবাইলে মেসেজ এসেছে, ‘বিদ্যুত্ সাশ্রয় ও পাট চাষ করতে’। তবে সরকারকে বলতে চাই, এখন সাশ্রয় কি করব, জনগণ তো এসব পায়ই না। এখন বিদ্যুত্-গ্যাস-পানিই তো আসে মিস কলের মতো। তাহলে কীভাবে এসব সাশ্রয় করব? তিনি বলেন, দেশের মানুষ প্রতারণার শিকার হয়ে ১৫ মাস আগে অন্ধের হাতে মশাল তুলে দিয়েছিল।

ফলে এখন দেশপুড়ে ছারখার হয়ে যাচ্ছে। সূত্র : দৈনিক আমার দেশ ১৩ এপ্রিল২০১০

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.