আমি চাই শক্তিশালী স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ
ব্লগার ও শাহবাগ আন্দোলনের কর্মী আহমেদ রাজিব হায়দার (শোভন) হত্যার ঘটনায় আলকায়দার সংশ্লিষ্টতা রয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সিনিয়র সহকারি কমিশনার তৌহিদুল ইসলাম।
সম্প্রতি তৌহিদুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করলে মুঠোফোনে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, ‘গ্রেপ্তারকৃত আসামিরা পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদকালে আল কায়দার সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার কথা স্বীকার করেছেন। ’
উল্লেখ্য, এর আগে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার মনিরুল ইসলাম এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছিলেন, রাজিব হত্যার রহস্য উদঘাটিত হয়েছে।
ওই সময় তিনি বলেন, ‘রাজিব হত্যাকা-ের ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃত ৫ জন নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র।
ছাত্রশিবিরের এক ‘বড় ভাইয়ের’ নির্দেশে তারা এ হত্যাকা- ঘটিয়েছে বলে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন। ’
তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ‘ব্লগে রাজিবের ইসলামবিরোধী লেখা পড়ে ঈমানি দায়িত্ব পালন করতে গিয়েই রাজিবকে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন গ্রেপ্তারকৃত পাঁচ আসামি। তাদের এক ‘বড় ভাই’ এমন নৃশংস হত্যাকা-ের নির্দেশ দিয়েছেন। তাকে (বড় ভাই) এবং হত্যাকা-ের সঙ্গে আরও যারা জড়িত ছিলেন তাদের গ্রেপ্তার করতে পারলে পুরো রহস্য উদঘাটন করা সম্ভব হবে। ’
তিনি বলেন, ‘গ্রেপ্তারকৃত আসামিরা জানিয়েছেন, ইন্ধনদাতা ‘বড় ভাই’ আল কায়দার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট।
তাকে গ্রেপ্তার করতে পারলে দ্রুততম সময়ের মধ্যে মামলার অভিযোগপত্র দাখিল করা সম্ভব হবে। ’
তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ‘জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা জানিয়েছেন, তারা নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে নামাজ পড়ার কক্ষে নামাজ পড়তে গিয়ে একে অপরের সঙ্গে পরিচিত ও ঘনিষ্ঠ হন। সে সূত্রে তারা ইসলামের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করতেন ও বিভিন্ন তথ্য শেয়ার করতেন। ওই ‘বড় ভাই’ তাদের ইন্টারনেটের বিভিন্ন ব্লগের ঠিকানা দেন ও ব্লগ থেকে তথ্য ডাউনলোড করে দেন। ’
তিনি বলেন, ‘এভাবে তারা থাবা বাবাসহ বিভিন্ন ব্লগারের লেখার সঙ্গে পরিচিত হন।
এক পর্যায়ে বাবা নামধারী ব্লগারকে শনাক্ত করে তাকে উচিত শিক্ষা দেয়ার জন্য পরিকল্পনা করেন। এরই ধারাবাহিকতায় পল্লবীর পলাশ নগর এলাকার নিজ বাসার সামনে রাস্তায় ব্লগার রাজীব হায়দারকে তারা হত্যা করেন। ’
উল্লেখ্য, গত ১৫ ফেব্র“য়ারি পল্লবীর পলাশ নগরে নিজ বাসার সামনে ব্লগার রাজিব হায়দার অজ্ঞাত সন্ত্রাসীদের হাতে নিহত হন। এ ঘটনায় পল্লবী থানায় রাজিবের বাবা বাদী হয়ে মামলা করেন। দ্য টাইমস
Click This Link
************
এর আগেও ১৯৯৯-২০০০ সালে কবি শামসুর রহমানের বাসায় হামলার চেষ্টার অভিযোগে গ্রেফতারকৃতদের উদ্ধৃতি দিয়ে পুলিশ বলেছিল স্বয়ং ওসামা বিন লাদেন তাদের নির্দেশে নাকি এই নির্দেশ দিয়েছে।
আজকে আবার সেই আল-কায়েদা। বিনোদোনের দেখি শেষ নাই ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।