আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

একবার মোটা মানে চিরকালই মোটা!

আমি স্বাধীনতায় বিশ্বাস করি। আমি বিশ্বাস করি মনুষত্বে

খুব বেশি মোটা মানুষ যত চেষ্টাই করুন না কেন, ওজন তারা কমাতে পারেন না। একথা মনে করেন কিছুসংখ্যক গবেষক। আর তাদের সঙ্গে একমত হয়েছেন স্থূলকায় বেশ কিছু মানুষ, যারা কিনা মেদ কমানোর নানারকম চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছেন। জার্মানির ফার্মেসি মহল থেকে নিয়মিত প্রকাশিত সাময়িকীর সাম্প্রতিক সংখ্যাতে লেখা হয়েছে, মানুষ বেশি খেলে বা খাবার উপভোগ করলেই মোটা হয় না।

অন্যদিকে যিনি সব সময়ই কম খান তার ওজন কিন্তু সব সময় কমে না। শরীর তখন কম খাওয়াতেই অভ্যস্ত হয়ে যায়। সে মানুষটিই যখন আবার বেশি খেতে শুরু করেন তখন সঙ্গে সঙ্গেই আবার ওজন বেড়ে যায় এমনকি আগের চেয়েও বেশি হতে পারে ওজন। ব্রিটিশ গবেষকরা বলেছেন, মানুষের শরীরে যা যা প্রয়োজন সে খাবার যদি পরিমাণে সামান্য বেশিও হয় তাতে অসুবিধা তো নেই-ই বরং পুষ্টিকর খাবার খেলে শরীর-মন দুটোই ভালো থাকে। মোটা হওয়ার প্রবণতা বাড়ছে সব বয়সীদের পাশাপাশি কিশোর-কিশোরীদের মধ্যে মোটা হওয়ার প্রবণতা আজকাল আগের চেয়ে অনেক বেড়েছে।

এক সমীক্ষায় জানা গেছে, জার্মানিতে স্কুলছাত্রছাত্রীদের মধ্যে শতকরা ১০ থেকে ২০ জনই মোটা। এর প্রধান কারণ হিসেবে বলা হয়ে থাকে কম্পিউটার আর ফাস্টফুড। এসব ছেলেমেয়েদের আগে থেকেই সচেতন হয়ে যথেষ্ট খেলাধুলা করার পরামর্শ দেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। কমবয়সী ছেলেমেয়েরা অনেকে অতিরিক্ত মোটা হওয়ার কারণে বিষণ্নতায় ভোগে। মোটা মানুষদের যা করা উচিত —মোটা মানুষদের প্রথমেই খাদ্যাভ্যাসের পরিবর্তন করা উচিত।

তিন বেলা বেশি পরিমাণ খাবার না খেয়ে তিনবারের খাবারটাকেই পাঁচভাগে ভাগ করে খাওয়া উচিত। এতে শরীর কখনও ভারি লাগবে না, হালকা শরীরে চলাফেরা করতে সুবিধা হবে। — ওজন কমানোর জন্য শুধু খাওয়ার অভ্যাস পরিবর্তনই যথেষ্ট নয়, পাশাপাশি ব্যায়াম এবং যথেষ্ট হাঁটাচলা করাও প্রয়োজন। মোটা নন এমন একজন পূর্ণ বয়স্ক মানুষের দিনে দুই থেকে তিন কিলোমিটার হাঁটা উচিত বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন। — যে পথটুকু ইচ্ছে করলেই হেঁটে যাওয়া যায় সেখানে কোনো যানবাহনের সাহায্য না নিয়ে হেঁটেই যাওয়া উচিত।

সময়ের তাড়া না থাকলে লিফট ব্যবহার না করে সিঁড়ি দিয়ে ওঠানামা করাও ভালো। সোজা কথায় বলা যায়, শরীরকে যতটা সম্ভব সচল রাখতে হবে। — অতিরিক্ত ওজন অনেকের জন্যই ঝুঁকিস্বরূপ। বেশি ওজন শুধু সৌন্দর্যেরই হানি ঘটায় না, তা নানা অসুখ-বিসুখের কারণও হয়ে দাঁড়ায়। উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ বা ডায়াবেটিসে আক্রান্ত মোটা রোগীরা যখন ডাক্তারের কাছে যান তখন ডাক্তাররা প্রথমেই তাদের ওজন কমানোর পরামর্শ দিয়ে থাকেন।

— আজকাল ওজন কমানো বা শরীর ঠিক রাখার জন্য চারদিকে গড়ে উঠেছে আকর্ষণীয় বেশ কিছু ফিটনেস সেন্টার, যা অনেকের জন্যই বেশ ব্যয়বহুল। অনেকে সেখানে ভর্তি হয়ে কিছুদিন পরই তা ছেড়ে দেন সময়ের অভাবে বা যাওয়া-আসার বিড়ম্বনা ইত্যাদি কারণে। কারও কারও জন্য এসব ফিটনেস সেন্টার কাজের, কিন্তু সবার জন্য নয়। কারণ সেখানে বিভিন্ন যন্ত্রের সঠিক ব্যবহার না জানায় বা ভুল ব্যবহারে উপকারের চেয়ে ক্ষতির সম্ভাবনাও কম নয়। — মাত্রাধিক ওজন কমানোর জন্য কঠোর ডায়েট না করে বরং একটু সময় নিয়ে দিনে তিনবার খাওয়া ভালো।

বিশেষ করে টেলিভিশন দেখার সময় এটা সেটা সারাক্ষণ খাওয়া ভালো নয়। অনিয়মিতভাবে যখন তখন চিপস, বাদাম বা এ ধরনের স্নেহপদার্থযুক্ত খাবারই বাড়তি ওজনের প্রধান কারণ বলে মনে করেন গবেষকরা। — কঠোরভাবে বেশিদিন ডায়েটিং করা অনেকের পক্ষেই সম্ভব নয়। তাই সময় কিছুটা বেশি লাগলেও নিজের মতো করে ডায়েটিং করা উচিত, যে পন্থায় একসময় ওজন কমানোর লক্ষ্যে পৌঁছানও সম্ভব। — আজকের এ যান্ত্রিক জীবনে বড়রাও ফাস্টফুড বা রেডিমেড খাবারের দিকে ঝুঁকছেন।

রেডিমেড খাবারের সঙ্গে যথেষ্ট পরিমাণে ফলমূল ও শাক-সবজি খাওয়া প্রয়োজন বলে জানান বিশেষজ্ঞরা। — সুস্থ থাকার জন্য চাই সব কিছুতেই পরিমিতিবোধ, খাওয়া থেকে শুরু করে পুরো জীবনযাত্রায়। আর তখন মোটা হওয়ার সম্ভাবনাও থাকবে না আর ওজন কমানোর প্রশ্নও আসবে না। (ইন্টারনেট অবলম্বনে)


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.