বড়াইগ্রাম(নাটোর) উপজেলার সমস্যা সম্ভাবনা নিয়ে এই ব্লগে আলোচনা করা হবে। বেশী করে নিমগাছ লাগান, আপনার পরিবেশ ভাল থাকবে।
নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার কয়েকটি এলাকায় ব্যাপকভাবে ছেলে ধরা আতংক ছড়িয়ে পড়েছে। ফলে বিভিন্ন স্কুলে দিন দিন শিার্থী সংখ্যা কমে যাচ্ছে বলে জানা গেছে।
জানা যায়, স¤প্রতি বড়াইগ্রাম উপজেলার জোনাইল, চান্দাই, মাঝগাঁও ও বড়াইগ্রাম পৌরসভার বিভিন্ন এলাকায় ছেলে ধরা আতংক ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে।
গতকাল শনিবার পারকোল বেসরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নাজমুল ও রিক্তা নামের দ্বিতীয় শ্রেণীতে পড়–য়া দুজন ছাত্রছাত্রী স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে পারকোল বাজারের নিকট থেকে কয়েকজন অচেনা ব্যক্তি তুলে নিয়ে যায়। পরে বিভিন্ন এলাকায় দ্রুত খবর ছড়িয়ে পড়লেপ্রায় দশ কিলোমিটার দুরে বাগডোব থেকে তাদেরকে উদ্ধার করা হয়। পারকোল প্রাইমারী স্কুলের শিক এরপূর্বে গত রোববার উপজেলার দাসগ্রামে রাস্তা দিয়ে স্কুলে যাবার সময় দুটি ছোট বাচ্চা ছেলেকে মাইক্রোবাসে উঠিয়ে নিয়ে যাবার চেষ্টা করলে তাদের চিৎকারে পাশ্ববর্তী লোকজন ছুটে আসায় তাদেরকে ছেড়ে দিয়ে কুচক্রি মহল দ্রুত স্থান ত্যাগ করে। অন্যদিকে বড়াইগ্রাম সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণীর ছাত্রী রুমা ও সোনিয়া কে স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে জনৈকা মহিলা বিস্কুট দেয়ার কথা বলে সাথে করে নিয়ে যায়। পরে বিভিন্ন মসজিদের মাইকে ঘোষণা দেয়ায় ঘটনাস্থল থেকে প্রায় দুই কিলোমিটার দূরে ধামানিয়াপাড়া গ্রামের রাস্তায় বাচ্চা দুটিকে রেখে মহিলাটি পালিয়ে যায়।
একের পর এক এসব ঘটনায় এলাকার মানুষ তাদের সন্তানদের নিয়ে ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে পড়েছেন। তাই অনেক বাবা-মা বর্তমানে তাদের সন্তানদের বাড়ির সীমানাতেই রাখছেন। এমনকি কেউ কেউ বিদ্যালয়েও পাঠাচ্ছেন না। এতে তাদের লেখাপাড়া মারাত্বকভাবে ব্যাহত হচ্ছে।
বড়াইগ্রাম উপজেলার কুশমাইল গ্রামের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী নুরুল ইসলাম জানান, কিছুদিন পূর্বে একটি চক্র আমার ৭ম শ্রেণীতে পড়া ছেলেকে স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে সিনেমা দেখার প্রলোভন দিয়ে ঢাকায় নিয়ে গিয়ে মুক্তিপণ দাবী করে।
পরে আমি প্রশাসনের সহায়তায় তাকে উদ্ধার করে বর্তমানে অন্যত্র রেখে লেখাপড়া করাচ্ছি। রাজাপুর এলাকার মালেকা বেগম (৪৫) বলেন, চারদিকি ছেরিধরা ছেলিধরা শুনিচ্ছি। তাই মিয়েক আর ইস্কুলে পাটাচ্চিনে। আগে মিয়ের (মেয়ের) জানডা বাঁচুক। পরে লেকাপড়ার কথা ভাবা যাবিনি।
এ ব্যাপারে জোনাইল এমএল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক আয়নুল হক অভিভাবক ও শিার্থীদের মুখে ছেলেধরাদের কথা শুনেছেন বলে স্বীকার করলেও এটি গুজব হতে পারে বলে জানান। তবে স¤প্রতি নিম্ন শ্রেণীতে ছাত্রছাত্রী সংখ্যা কিছুটা কমেছে বলে তিনি স্বীকার করেন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।