সাইফুল বারী ডাবলু: শেরপুর একটি নাম। মহাকালজয়ী ঐতিহাসিক প্রাচীন অধ্যয়। এ নামটি আজ থেকে প্রায় চারশ বছর পুর্বে ইতিহাসের পাতায় স্থান লাভ করে। এর আগে এ স্থানকে যে নামে অভিহিত করা হতো তা আমাদের জানা নেই। তবে শেরপুরকে এক সময় উত্তরবঙ্গের দিল্লী নামে অভিহিত করা হতো।
মুলতঃ শেরপুরের প্রাচীনত্ব পুরাতন দিল্লী অপেক্ষা কোন অংশেই কম নয়। তবে তত্ত্বগতভাবে এর সঠিক প্রাচীনত্ব নিরূপন করা এখন খুবই কঠিন ব্যাপার। খ্রীষ্টীয় সপ্তম শতাব্দীতে চীন দেশী পর্যটক হিউয়েন সাং প্রাচীন পৌন্ড বর্ধন এ কালাতো নামের এক সুবিশাল নদী অতিক্রম করে আসাম রাজ্যে প্রবেশ করে বলে উল্লেখ আছে। হিউয়েন সাং কর্তৃক উল্লেখিত নদীই যে আজকের করতোয়া এতে কোন সন্দেহ নাই। বিভিন্ন সুত্র থেকে জানা যায় এক সময় করতোয়া নদী দ্বারা বঙ্গ ও আসাম পৃথক ছিল।
এ থেকে অনুমান করা যায় প্রাচীণ বৌদ্ধ আমল থেকেই শেরপুরের ঐতিহাসিক পরিচয় ছিল।
সুজলা সুফলা বাংলার এ অংশে সম্পদ আহরন ও সমপ্রসারন কল্পে যারাই এ অঞ্চলে পর্দাপন করেছেন তারা কমপক্ষে একবার হলেও শেরপুরে পর্দাপন করার চেষ্টা করেছেন। গোটা উত্তরবঙ্গ যখন ঘোড়াঘাট থেকে শাসিত হতো তখনও শেরপুর ছিল সবচেয়ে উল্লেখযোগ স্থান। অনেক ব্যক্তি বা গোষ্ঠী শেরপুরকে তিলে তিলে শোষন করেছেন কিন্তু কেউ একে ইতিহাসের পাতায় ধরে রাখার জন্য কোন চেষ্টাই করেননি। দিল্লীর সুলতানী আমলে বগুড়া তথা গোটা উত্তরবঙ্গই সুলতানদের কবলে ছিল।
অভিযানকালে কেউ কেউ শেরপুর ও মহাস্থানকে উপ রাজধানী ও সেনা ছাউনী হিসাবে ব্যবহার করেছেন। আসাম ও কুচবিচার অভিযানকালে এ স্থানটি এক শক্তিশালী ঘাটি হিসাবে ব্যবহৃত হতো। কথিত আছে ১৫৬১ সালে আগমনকালে সেনাপতি মীরজুমলা বেশ কিছুদিন শেরপুর ও ভবানীপুরে বিশ্রাম গ্রহন করেছেন। আজকের শেরপুর এক মহানগরীর স্মৃতি বিজরিত একটি পরিত্যক্ত খন্ড উপশহর মাত্র। পুর্বে এটি ছিল ধনে জনে পরিপুর্ন এক বিশাল নগরী।
অতীতে এ জনপদের প্রশংসায় মুখর ছিল সারা বাংলাদেশ। এ নগরীর যশ, নাম ছড়িয়ে পড়েছিল বাংলার পশ্চিমাঞ্চলে পাক ভারত, ব্রক্ষ্মদেশ সহ দুর দুরানে-র অনেক দেশে। আজকের শেরপুরের পাশ দিয়ে চলছে ক্ষীণস্রোতা করতোয়া। এক সময় এটি ছিল খরস্রোতা। কথিত আছে যে অধুনা বারদুয়ারী ঘাট এককালে আনর্-জাতিক মহা নদী বন্দর হিসাবে ব্যবহৃত হতো।
সেকালে এই নদীর বিস্তৃতি ছিল শেরপুর বারদুয়ারী ঘাট হতে ময়মনশাহী শেরপুর পর্যন- প্রসারিত। এই নদী দিয়েই বাণিজ্যতরী মালয়, সিংহল, সুমাত্রার দিকে যাত্রা করতো তেমনি ভাবে শেরপুর বারদুয়ারী ঘাটে এসে ভীড়তো ভিনদেশী রকমারী বাণিজ্যতরী। যে কোন ঐতিহাসিক স্থানের নামকরনও আর একটি অভিন্ন ইতিহাস। নামকরনের এই কথাটি শেরপুরের ক্ষেত্রেও একইভাবে প্রযোজ্য। শেরপুর নামকরনের পেছনে রয়েছে ঐতিহাসিক ভিত্তি।
বাস্তবে নামকরন অপেক্ষা এর ঐতিহ্য যে অধিকতর গুরুত্বপুর্ন এবং সুপ্রাচীন তাতে কোন সন্দেহ নেই। তবে সেই প্রাচীনত্ব খুজে বের করা কেবল দুঃসাধ্যই নয় বরং রীতিমত এক অসম্ভব ব্যাপার। অধুনা শেলপুর অপেক্ষা প্রাগৌতিহাসিক শেরপুর ছিল সর্বাধিক সুপ্রসিদ্ধ। এই স্থানটির ভিন্ন কোন নাম ছিল কি না তা বলা কঠিন। তবে সেই যুগে এই স্থানকে উত্তরবঙ্গের প্রবেশদ্বার বা বরেন্দ্র তিলক নামে অভিহিত করা হতো তাহলে বেমানান হতো না।
একসময় বাংলাদেশের দক্ষিণাংশ ছিল বঙ্গোপসাগরের অন্যতম গর্তে নিমজ্জিত, বঙ্গোপসাগরের মোহনা তখন শেরপুর পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল। কিন্তু তাই বলে এর সর্বাংশ গ্রাস করতে পারেনি সাগর মোহনা। কথিত আছে, যে সমুদ্র মোহনা পরবর্তীকালে পিছু হটতে হটতে চট্টলা ও খুলনা পর্যন- সীমিত হয়ে পড়ে এবং সেই সুবাদে নাটোর জেলার সিংড়া হতে শুরূ করে পাবন পর্যন্ত অংশটুকু ঐতিহাসিক চলনবিল নামে অবশিষ্ট থেকে যায়। অখন্ড উত্তরবঙ্গ বলতে একসময় শেরপুর ঘোড়াঘাট আর রাজশাহীকে বুঝাতো। তাছাড়া শেরপুর তখন উত্তরবঙ্গের একমাত্র প্রবেশদ্বার বলে বিবেচিত হতো এবং উত্তরবঙ্গের সীমান- পর্যন- উপনীত হতে হলে তখনকার দিনে শেরপুরের রাস্তা দিয়েই অগ্রসর হতে হতো।
বরেন্দ্র ভুমির অন্যতম অংশ হিসাবে শেরপুরের স্বতন্ত্র পরিচয় ছিল। অধুনা বারদুয়ারী হাট সে সময় মহানদীবন্দর হিসাবে প্রসিদ্ধ ছিল। প্রাচণী শেরপুর নগরী তখন বিশ্ব মানচিত্রে স্থান লাভ করেছিল। অবস্থানগতভাবে শেরপুরের আরও একটি বিশাল দিক এই যে, করতোয়া নদীর পুর্বপার্শ্বস্থ পল্লী অঞ্চলে প্রাচীনকালের কোন র্কীতির সন্ধান পাওয়া যায় না। অবস্থাদৃষ্টে মনে হয় তৎকালে পল্লী অঞ্চলটি জলাভুমিতে পরিণত থাকায় কেবলমাত্র করতোয়া নদীর পশ্চিম অংশ লালমাটি অঞ্চল বা বরেন্দ্র অঞ্চল শেলপুরের মুল অংশ হিসাবে বিবেচিত হত।
আর বরেন্দ্র অঞ্চলকে ঘিরেই প্রাচীন কীর্তির সন্ধান পাওয়া যায়। বৌদ্ধ আমল ও তারও পুর্বে শেরপুরের প্রশাসনিক অবস্থান বর্তমান স্থলের পরিবর্তে ছয়মাইল পশ্চিমে জামুর নামক স্থানে ছিল বলে কিছু কিছু প্রমান পাওয়া যায়। প্রমানস্বরূপ জামুর ধাপ ও দার”গ্রামে অবস্থিত পুরার্কীতি সমুহের উল্লেখ করা যায়। তাছাড়া বিশালপুরের অদুরে অবস্থিত পুরার্কীতিগুলো এর সাক্ষ্যবহন করে। সম্ভবত সেকালে শেরপুরে শুধু নদীবন্দর এবং দুরবর্তী অংশে প্রশাসনিক কর্মস্থল গড়ে উঠেছিল।
আমাদের এই উপমহাদেশের অনেক উল্লেখযোগ্য স্থানই শেরপুর নামে ইতিহাসে স্থান লাভ করেছে বহু যুগ পুর্বে। উত্তরবঙ্গের বগুড়া জেলায় অবস্থিত ঐতিহাসিক শেরপুর শহর যে সম্রাট শেরশাহের নামেই প্রর্বতিত হয়েছিল এতে দ্বি মতের কোন অবকাশ নাই। পাঠান নৃপতি শেরশাহ ছিলেন এক অবিসংবাদিত ও জনপ্রিয় সম্রাট। বাংলার জনগন তার প্রশংসায় পঞ্চমুখ ছিল। সীমিত সময়ের মধ্যেই তিনি এখানার জনগনের কল্যার্থে অনেক উল্লেখযোগ্য কাজ করেছেন।
এজন্যই তার সুশাসনের নজরানা হিসাবে বগুড়া জেলার এই স্থানটি শেরপুর নামে পরিচিত হয়েছে। তৎকালীণ পুর্তগীজ গর্ভনর ভনভেন ব্রজ কর্তৃক সম্পাদিক বঙ্গভুমির মানচিত্রে শেরপুরকে উল্লেখ করা হয়েছে। তাছাড়া ঐতিহাসিকগনও এই স্থানটিকে শেরপুর নামেই অভিহিত করেছেন। ঐতিহাসিকগনের অনুমান ১৫৪০ থেকে ১৫৮০ খৃষ্টাব্দের মধ্যে শেরশাহ নিজে বা তার সেনাপতি শেরপুর নামের প্রবর্তন করেছেন। কেউ কেউ অনুমনা করেন যে শির শব্দ থেকে শেরপুর নামে উৎপত্তি।
মধ্যযুগীয় অনেক গ্রন্থে শেরপুরের স্থলে শিরপুর উল্লেখ ছিল। সম্ভবত তারা শির শব্দকেই অনুসরন করেছেন। কারন হযরত শাহ তুরকান শহীদের শির বা মস্তক এখানেই সমাধিস্থ হয়েছে। শেরপুরের মুসলিম ইতিহাসে এ ঘটনা খুবই গুরত্বপুর্ন। পরবর্তী নামকরনের কথা আদৌ গ্রহনযোগ্য নয়।
কারন শির শব্দটির রুপান্তর সিরমোকাম ও সেরুয়া গ্রামেই সীমাবদ্ধ এর বাইরে নয়। মুহম্মদ রোস্তম আলীর লেখা শেরপুরের ইতিহাস থেকে জানা যায়, ময়মনশাহী জেলায় অবস্থিত শেরপুর (বর্তমানে জেলা) হতে আলোচ্য শেরপুরক পৃথক করে দেখানোর জন্য প্রথমোক্তটিকে দশকাহনিয়া শেরপুরি ও দ্বিতীয়টি মোর্চ শেরপুর নামে নামকরন করা হয়। আফগানদের এক রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ সংগঠিত হয়েছিল। মুর্শিদাবাদের ইতিহাসের ভাষায় উড়িষ্যা হতে মোগলদের বিতাড়িত করে আফগানরা বাংলা পর্যন্ত ধাবিত হয়। সেই সময় জনৈক ওসমানের পতাকাতলে প্রায় ২০ হাজার আফগান সমবেত হয়।
শেরপুর মোর্চার পশ্চিম প্রান্তরে উভয়পক্ষের ঘোরতর যুদ্ধ হয়। আফগানদের সাথে বহুসংখ্য রণহস্থি ছিল। মোগল ও রাজপুতগন রাজহস্তিদের প্রতি গোলাবৃষ্টি বর্ষণ করলে রণহস্তিগুলো ছত্রভংগ হয়ে যায় এবং আফগানরা উপুর্যপরি আক্রান্ত হয়ে পলায়ন করতে বাধ্য হয়।
মোর্চা শেরপুর নামের বহুল প্রচলন ছিল। এককালে মোর্চ ব্যতীত শেরপুর নাম অবোধগম্য ছিল।
এই শেরপুরে আরও তিনটি মোর্চার উল্লেখ দেখতে পাওয়া যায়। যথা গ্রাম মোরচা, বনমোরা ও পান মোরচা। শেরপুরের দক্ষিন পুর্বাংশে গ্রাম মোরচা, মধ্যাংশে পানমোরচা ও উত্তর পশ্চিম প্রান্তে বনমোরচা অবস্থিত। মোগল আমলের বিভিন্ন পর্যায়ে এবং স্যার এইচ ইলিয়ট রচিত হিষ্টোরী অব ইন্ডিয়া গ্রন্থে শেরপুর মোর্চার কথা উল্লেখ পাওয়া যায়।
অধুনা শেরপুর শহরটি ধ্বংসাবশেষের অবশিষ্ট অংশ মাত্র।
এককালে শহরটি বিস্তত ছিল দৈঘ্য ও প্রস্থে যথাক্রমে বার ও ছয় মাইল। প্রাচনী মুল শহরের সর্বাংশই ছিল সমতল ভুমিতে। মুল শহরটি কখন কিভাবে ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়েছে তর বিশদ বিবরন পাওয়া যায় না। তবে অনুমান করা যায় যে, এককালে প্রাচীন টোলা, মিঞা টোলা, পাঠানটোলা ও ধড়মোকাম প্রভৃতি শেরপুর শহরের উল্লেখ্যযোগ্য মহল্লা ছিল। এখানে অবস্থিত সুপ্রসিদ্ধ টোলার মসজিদ, খেরূয়া মসজিদ ও বিবির মসজিদ প্রায় একই সময়ে প্রতিষ্ঠা হয়েছিল বলে প্রমান পওয়া যায়।
একই এলাকার একাধিক বৃহদাকার মসজিদের অস্তিত্ব দেখে সহজেই অনুমান করা যায় যে সেকালে এ স্থানটি ছিল মুসলিম জনবহুল এলাকা। ১৮২৯ খৃষ্টাব্দের পুর্বে শেরপুর ও মহাস্থান ছিল সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য স্থান। লুটেরা তস্করদের নৈরাজ্য রোধের জন্য তদানীন্তন ইংরেজ বেনিয়া সরকার বগুড়া নামে একটি পৃথক জেলা সৃষ্টি করতে বাধ্য হয়। বলা হয়ে থাকে সুলতান গিয়াস উদ্দিন বলবনের পুত্র বাংলার শাসনকর্তা নাসির উদ্দিন বগড়া খানের নামানুসারে নবগঠিত জেলার নাম হয়েছিল বগুড়া। বগুড়ার পরিবর্তে যদি শেরপুরে জেলা সদর প্রতিষ্ঠত হতো তাহলে তার ঐতিহ্য চিরকাল অক্ষুন্ন থেকে যেতো।
জেলা গঠনের পর স্বাভাবিকভাবেই শেরপুর প্রশাসনিক মর্যাদায় দ্বিতীয় স্থানীয় হয়ে পড়ে। ১৭৬৫ সালে মোগল সম্রাটদের নিকট থেকে ইংরেজ ইষ্ট ইন্ডিয়া কোম্পানী বিহার উড়িস্যা সহ এই অঞ্চল করলগত করে ফেলে। উত্তরবঙ্গের অমর প্রতীক হিসাবে শেরপুরের মর্যাদা ছিল সম্মানিত। কিন্তু ঢাকায় মুসলমান শাসনাধিকার প্রতিষ্ঠিত হলে এর প্রাধান্য বহুলাংশে কমে যায়।
মোঘল আমলে শেরপুর বিদ্রোহীদের এক মহামিলনকেন্দ্রে পরিণত হয়েছিল।
কারণ সম্রাট আকবর কর্তৃক বঙ্গ বিজয়ের পর বিদ্রোহী কাফশাল গোতের লোকের এখানে শক্তিশালী আস্থানা গড়ে তুলেছিল। প্রসিদ্ধ টোলা চৌহদ্দির অন্তরগত বিভিন্ন স্থানে মাটি খননকালে অনেক প্রাচীণ ঘর বাড়ির ধ্বংসাবশেষ আবিস্কৃত কয়েকটি স্থানে খননকালে বেশকিছু শেরশাহী আমলের রৌপ্যমুদ্রা পাওয়া যায়। টোলা মহল্লার পুর্বাংশে অবস্থিত হামছায়াপুর গ্রামটি অপেক্ষাকৃত অধিক প্রাচীন বলে মনে হয়। মোঘল আমলে এই গ্রামটি পাঠানটোলা নামে পরিচিত ছিল। জনশ্রতি রয়েছে যে সেকালে এই পাঠানটোলা গ্রামে সরকারী তহশীল কাছারী প্রতিষ্ঠিত ছিল।
পরবর্তীকালে প্রলয়ংকারী ভুমিকম্পে পাঠানটোলার ঘর বাড়ি ধ্বংসপ্রাপ্ত হলে স্থানটি গভীর অরন্যে পরিচিত হয়। এরপর ১৯৫২ সালে আসাম হতে আগত লোকেরা এখানে পুর্নবাসন লাভ করলে পাঠানটোলার অরন উচ্ছেদ হয়ে যায়। টোলা ও পাঠানটোলার এখানে, ওখানে অনেক প্রাচীন র্কীতি যথা দালানকোঠার ধ্বংসাবশেষ, মৃত শিল্পের নমুনা, তসবিহখানা, ঘটি বাটি, কড়িমুদ্রা, বৌদ্ধমুর্তি পাওয়া যায়।
আজকের শেরপুর দুর অতীতের স্মৃতি বক্ষে জুড়ে ক্ষুদ্রতর পরিসলে মহাকালের স্বাক্ষর রূপে দাড়িয়ে আছে। শেরপুর ছিল মর্যাদাশীল এক ঐতিহাসিক শহর।
এর ঐতিহাসিক গুরুত্ব এখনো অনুধাবনযোগ্য। শেরপুর একসম দালান ও কোটাবাড়ীর শহর হিসাবেও পরিচিত ছিল। জমিদারী আমলে এখনে অসংখ্য দ্বিতল প্রসাদ তৈরী হয়েছিল যে ঐগুলি নির্মানকল্পে অসংখ্য রাজমিস্ত্রীক এখানে স্থায়ী ভাবে বসবাস করতে হতো এবং উক্ত মহল্লাটি পরবর্তীতে মিস্ত্রিপাড়া নামে অভিহিত হয়। কিন্তু পরিতাপের বিষয় ঐ প্রাসাদমালা দীর্ঘস্থায়ী হতে পারেনি।
১৮৯২ সালের ৩১ শেষ আষাঢ় পুর্বাহ্ন ৬টায় সংগঠিত এক সর্বনাশা ভুমিকম্পে এ শহরের বর্ণানাতীত ক্ষতি হয়।
এর ফলে এ জনপদের বিশাল বিশাল দ্বিতল ভবন ধ্বংসস্তপে পরিনত হয় এবং দালান চাপা করে বহু লোক মারা
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।