এসো ভাই , তোলো হাই , শুয়ে পড়ো চিত, অনিশ্চিত এ সংসারে এ কথা নিশ্চিত - জগতে সকলই মিথ্যা , সব মায়াময়, স্বপ্ন শুধু সত্য আর সত্য কিছু নয়।
আমাগো বাল সরকারের টাল মন্ত্রীগো ধইরা এক একটারে বাথরুমে ডুকাইয়া পানি এবং বিদ্যুৎ এর লাইন অফ কইরা বাহির থেকে বাথরুমের তালা লাগাইয়া এক সপ্তাহ রাখা হোক। এক সপ্তাহ এইভাবে রাখার পর তাগোরে ছাইড়া দিয়া বলা উচিৎ দুঃখিত গ্যাস নাইক্কা তাই রান্না হয়নি। আর মাত্র ছয়টা দিন অপেক্ষা করুন হের পর যদি গ্যাস আহে তাইলে রান্না করা সাপেক্ষে খাইবার পারবেন......ততক্ষণ আমাদের সাথেই থাকুন।
সারাদেশে গরম ঝঁপাইয়া পড়ছে।
রাস্তায় বাহির হইলে জ্যাম। বাসায় ঢুকলে ইলেকট্রিসিটি নাই, পানি নাই, গ্যাস নাই। ছোট বোনটাকে কলেজ, ইউনিভার্সিটিতে পাঠিয়ে পুরো পরিবার উৎকন্ঠায় থাকে সে কি ক্যাম্পাস থেকে বাসায় ফিরবে নাকি কোন আবাসিক হোটেল কিংবা কোন মন্ত্রী মহোদয়ের বাসা থেকে বীরাঙ্গনা হয়ে ফিরবে। দরজায় নক হলে দরিদ্র বাবা হতচকিত হয়ে দরজা খুলতে যান, না জানি তার একমাত্র সন্তান সরকারের উপটৌকন হিসেবে লাশ হয়ে ঘরে ফিরেছে।
ভাতিজার এইচ এস সি পরিক্ষা।
বিদ্যুত নাই সন্ধা থেকে। মোম বাতি জ্বালিয়ে মাথা নিচু করে পড়ছে। তার পুরো শরীর ভেজা। জিজ্ঞেস করলাম কিরে গোসল করে ভাল করে টাওয়েল দিয়ে গা মুছে নিস নি কেন?
ভাতিজা মাথা তুলে কপট হাসি দিয়ে বলে চাচ্চু লাইনে পানি নাই । তাতে অবশ্য ভালই হলো পানির বিকল্প ঘাম দিয়ে গোসল করা হয়ে গেল।
আমি তাকে আঙুল দিয়ে ইশারা করে চুপ করতে বলি যদি আমাগো পানি মন্ত্রী খবর পান তা হলে হয়তো কালকেই আইন জারি করেবেন রাজ্যের সবাই ঘাম দিয়ে গোসল সারতে হবে।
হাজারো ভাই ভাতিজা রা পরিক্ষা দিবে কালকে। আমাগো শিক্ষামন্ত্রী সাহেব ক্যামেরার সামনে হাসি হাসি মুখ নিয়ে কইবেন কইছিলাম না নকল মুক্ত পরিক্ষা হবে। (যদিও এখনকার পরিক্ষার্থীরা নকল কাকে বলে ভুলে গেছে) কিন্তু ওই পরিক্ষার হলেও যে অনেকে গোসল সারবেন ঘাম দিয়ে সেটা হয়তো আমাগো মন্ত্রী মহোদয় জানবেনই না।
আমাগো দ্যাশ বহুত আগাইয়া যাইতাছে.....আমরা যুদ্ধাপরাধী (নাকি মানবতা বিরোধী) দের বিচার এর জন্য কোটি কোটি টাকা বরাদ্ধ করছি।
মাগার আমাগো সরকার কে শুধু বৃদ্ধাংগুলি নয় একটি বিশেষ অঙ্গ প্রদর্শন করিয়া যুদ্ধাপরাধীরা ভি আই পি লাউন্জ দিয়ে বিদেশ পালাচ্ছে। ভাগ্য ভাল আমাগো সাহারা আপা ওই আবু বকর এর নির্মম মৃর্ত্যুর পর যে ভাবে বলেছিলেন এটা কোন ব্যপার না সে রকম কোন কথা বলেন নাই। অবশ্য বলবেন কি করে উনিতো খবর ই পান নাই মীর কাশেম আলী কোথায় গেছেন কিভাবে গেছেন?? ওই হতচ্ছাড়া ছাংবাদিকরা সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে না হয় তারা কেন আগে আগে সাহারা আপার কানে কানে না কইয়া ক্যামেরা অন কইরা জিগাইতে গেল... আপা কিছু বলেন......।
দেশের মানুষ টাকা পয়সা রাখার জায়গা পাচ্ছেনা । এত টাকা কি করবে।
কোথায় রাখবে। কোন ফকির মিসকিন ও নাই যে দান করবে। তাই সরকার একটা সময়উপযোগী সিদ্ধান্ত নিলেন বিমান বন্দর এর নাম জিয়ার বদলে শাহজালাল করা হইবে। এতে কিছু টাকা অন্তত ব্যয় করা যাইবে। তাও তো বেশী না মাত্র বার শত কোটি টাকা ।
আমাদের আনন্দ রাখার জায়গা নাই। আমরা বাথরুমে গিয়েও আনন্দে হেসে উঠি। সত্যিই বদলে যাচ্ছে দিন । শুধু দিন না নাম ও বদলে যাচ্ছে। এক নাম বদলাতে খরচ বার শত কোটি টাকা।
যদি দেশের সব কিছুর নাম ও পরিবর্তন করা যাইত তা হলে অন্তত দেশের মানুষের টাকা পয়সা ব্যয়ের একটা পথ হইত।
.........ইশ!! কতইনা মজা হত যদি আবার ও মঈন কিংবা ফকির উদ্দিন ক্ষমতায় আসতো আমাগো রাজনীতির ন্যাংটা লোকদের ধইরা ধইরা ইজ্জত আলয়ে (কারাগার) ঢুকিয়ে দিত । কতইনা শান্তি হত
বাল সরকারের পাছায় গদাম।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।