Someone become successful and someone not but man loves and will love
টেলিফিল্ম : রঙ্গীন স্বপ্নের মৃত্যু : চরিত্র বিন্যাস
টেলিফিল্ম : রঙ্গিন স্বপ্নের মৃত্যু-১
টেলিফিল্ম : রঙ্গিন স্বপ্নের মৃত্যু-২
দৃশ্য-৩
আলীম : মা সুমা, বেলা অনেক হয়েছে তাড়াতাড়ি বই-পুস্তক রেখে হাত-মুখ ধুয়ে এসে ভাত খেয়ে নে।
সুমা তার বইণ্ডলো এবং ঘুড়ির লাটাই টেবিলের উপর রেখে মন খারাপ করে দাঁড়িয়ে আছে। একটু থেমে আলীম সাহেব বলবে,
আলীম : দাঁড়িয়ে আছিস কেন, যা জলদি হাত-মুখ ধুয়ে ইয়। সুমা নিঃশব্দে কাঁদছে। আলীম সাহেব হঠাৎ সুমার দিকে চেয়ে।
আলীম : কাঁদছিস কেন মা? কি হয়েছে তোর?
সুমা : (রাগতস্বরে) বাবা, ছেলে আমাকে দেখতে আসবে এ কথাটাতো আমাকে জানানোর প্রয়োজন ছিল, তাই না?
আলীম : মা, হঠাৎ এরা প্রস্তাব নিয়ে এসেছে, তাই তোকে জানানোর সময় হয়নি। খুব ভাল প্রস্তাব। ছেলেটা ইঞ্জিনিয়ার, ওদের ফ্যামিলিত ষ্ট্যাটাসও মন্দ নয়।
সুমা : বাবা, তুমি ওদের বলে দাও এ মুহূর্তে বিয়ে করার ইচ্ছে নেই আমার।
আলীম : (সুমার মাথায় হাত বুলিয়ে) মা, এত ভাল সম্বন্ধটা তুই ফিরিয়ে দিবি? মা, সত্যি করে বলতো তোর কি হয়েছে?
সুমা : (ইতস্তত গলায়) বাবা আমি একটা ছেলেকে পছন্দ করি।
আলীম সাহেব সুমার কথা শুনে বেশ অবাক হলেন। আলীম খানিক চুপ থেকে
আলীম : (গম্ভীর গলায়) তা তোর পছন্দের ছেলেটির পরিচয়টা জানতে পারি ?
সুমা : অভি।
আলীম : অভি! (বেশ অবাক গলায় নামটি উচ্চারণ করবে আলীম সাহেব)
সুমা : হ্যাঁ বাবা অভি। আমি বিয়ে করলে অভিকে বিয়ে করব, বাবা।
আলীম : (আলীম সাহেব একটু চিন্তা করে) ঠিক আছে মা, আমি ছেলে পরে কাছে দুদিন সময় চাইব।
এ দুদিনের মধ্যে অভি যদি তোকে বিয়ে করতে রাজী হয় তবে ভালো। আর বিয়ে করতে রাজী না হলে তোর বিয়ে মমিন সাহেবের ছেলে সুমনের সাথে হবে। তখন তুই আমাকে কোন দোষ দিতে পারবি না।
কথাণ্ডলো বলেই আলীম সাহেব ঘর থেকে বেরিয়ে গেলো। সুমা খানিকক্ষণ বসে একটু দুঃচিন্তায় মগ্ন হয়ে তারপর ঘর থেকে বেরিয়ে অভিদের বাড়িতে যাবার উদ্দেশ্যে রওনা হলো।
সুমা অভিদের বাড়িতে প্রবেশ করতেই
কণিকা দোতলা থেকে চেঁচিয়ে,
কণিকা : আরে সুমা যে! (বলেই আনন্দচিত্তে কণিকা সিঁড়ি বেঁয়ে নিচে নেমে এসে) হঠাৎ এ গরীবদের কথা মনে পড়েছে তাহলে ?
সুমা : কণিকা, তোরা গরীব তা ঠিক আছে। কিন্তু আমি যে ভিখারিনী। তা না হলে এ অসময়ে আমি ভিক্ষা চাইতে আসতাম না। ভিক্ষে পাব কিনা পাব সে কথাটাই ভাবছি।
কণিকা : এসব কি বলছ তুমি ? তোমার কি মাথা খারাপ হয়েছে ?
সুমা : মাথা খারাপ হয়নি, কণিকা।
আজ আমার দুঃসময়, সে জন্য অভির কাছে এসেছি। অভি বাসায় আছে ? সুমার কথা শুনে ভীষণ অবাক হলো কনিকা। কিন্তু তার দুঃসময়টা কি তা জানার আগ্রহ প্রকাশ না করে বলবে -----
কণিকা : হ্যাঁ আছে। ডেকে দেব তাকে ?
সুমা : না থাক। আমিই তার সাথে ছেখা করব ---বলে সুমা সিঁড়ি বেঁয়ে দোতলায় উঠতে লাগল।
আর সুমার পেছন পেছন কণিকাও উঠছে। একটু থেমে সুমা বলবে------
সুমা : আন্টি কোথায় কণিকা? অভির রুমের সামনে এসে কণিকা আর
সুমা আসতেই-
কণিকা : (আস্তে) উনি নামাজ পড়ছেন ।
কণিকা : তুমি ভেতরে যাবে না ডেকে দেব দাদা ভাইকে?
সুমা : ডাক। (অভির দরজাটা খোলাই ছিল, দরজায় দাঁড়িয়েই কনিকা ডাকবে)
কণিকা : দাদা ভাই। অভি পড়ার টেবিলে বসে সামনে একটা বই মেলে খুব মনোযোগের সাথে পড়ছিল।
অভি বইটা বন্ধ করল।
অভি : (বিরক্তি মাখা দৃষ্টিতে কনিকার দিকে চেয়ে) পড়ার সময় তুই শুধু শুধু ডিষ্টার্ব করিস। কি বলবি বল।
কণিকা : (গম্ভীর গলায়) দাদা ভাই, সুমা এসেছে। ও তোর সাথে দেখা করতে চাচ্ছে।
অভি : এ অসময়ে সুমা এসেছে। ব্যাপার কি বলতো?
কণিকা : ব্যাপার কি তা তুমি বাইরে এসে তাকে জিজ্ঞেস করো। অভি পড়ার টেবিল থেকে উঠে এসে বাইরে এসে সুমার দিকে তাকিয়ে ......
চলবে.................
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।