নাইন ইলেভেন আর বুশ এর বুশিয় যামানা শেষ এর সাথে সাথে কি ওয়ার অন টেরর ও শেষের পথে?
আজকে বিবিসির ওয়েব সাইটে দেখলাম Click This Link বৃটিশ এম পি রা এন্টি টেররিজম ল রিভিউ এর প্রস্তাব দিয়েছে।
খুব সোন্দর প্রস্তাব সন্দেহ নাই কিন্তু তারপরও আমার বাংগাল মনে কিছু প্রশ্ন জাগছে
এইটা কি সাম্প্রতিক সময়ে ইসরায়েল এর মোসাদ এর বৃটিশ পাসপোর্ট নকল করার অপরাধে একটা কুটনৈতিক ধমকি না তো আবার!
ইংল্যান্ড আমেরিকা অস্ট্রেলিয়া তাদের পালক ইসরায়েল এর মোসাদ এর এজেন্ট দের হাতে হামাস এর মাহমুদ আল মাবহুহ এর হত্যাকান্ড নিয়ে যেই ধরনের কথা বলছে তাতে বাংলাদেশের অতি পুরাতন একটা কথা মনে পরছে
"জ্যাডায় মরছে ব্যাপার না কিন্তু যমে যে ঘর চিনলো এইডার কি হইবো"
একটা মানুষ মেরে ফেললো ব্যাপার না কিন্তু পাসপোর্ট নকল করলো ক্যান?
কি সোন্দর মানবতা!
ইসরায়েল অবশ্য পশ্চিমা বিশ্বে তাদের বুদ্ধিজিবী সাংবাদিক লেখকদের দিয়ে বলানোর চেষ্টা করছে এই ওয়ার অন টেররের নামে সব মুসলমান কাইন্যা আংগুলে চিপ দিয়া মাইরা ফালানো জায়েজ আর সেই যায়গায় মাহমুদ আল মাবহুহ ত ইসরায়েল রাস্ট্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধের রসদ আনতে গিয়েছিলো।
তবে মোসাদ একটা যায়গাতে তাদের ক্যালকুশনে ভুল করেছে অথবা বলা যায় একধরনের ঝুকি নিয়েছে যে আমেরিকা ইংল্যান্ড এর সরকারে ইসরায়েলী লবি আগের মত শক্ত অবস্থানে নেই যেটা নাইন ইলেভেন এর পর পর ছিলো।
তবে লন্ডন থেকে ইসরায়েলী ডিপ্লোম্যাটকে উষ্ঠা দেয়ার মধ্যেই সম্ভবত এই পাসপোর্ট নকলের অপরাধ আর আমেরিকান জো এর অপমানের প্রতিশোধ সিমাবদ্ধ থাকবে।
তারপর আবার ইসরায়েলী রা ফিলিস্তিনিদের কর্ম সংস্থান করতে ফিলিস্তিনীদের জমির উপরেই বসতি বানাবে যেখানে সারা দুনিয়া থেকে অত্যাচারিত! নিপিড়িত! ইহুদিরা যেয়ে একটু শান্তিতে মরতে পারে।
লেখা শুরু করছিলাম ওয়ার অন টেরর নিয়ে,
এইটা বাস্তবে ওয়ার অন মুসলিম।
বহু নাস্তিক ভাই ও এই ওয়ারে নাস্তানাবুদ হইছেন শুধু মুসলিম নাম থাকার অপরাধে।
নাইন ইলেভেন এর পরবর্তীতে মুসলমানদের বিরুদ্ধে আমেরিকার পদক্ষেপগুলি নিয়ে একসময় আমেরিকানরা নিজেরাই লজ্জিত হবে আর মুসলমান হিসেবে আমরাও হয়তো ওসামা বিন লাদেন তথা আল-কায়েদাকে সামাজিকভাবে বয়কট করবো কিন্তু এই গ্যাড়াকলে পড়ে যেসব পরিবার (উভয়পক্ষের )ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাদের ক্ষয়ক্ষতি কি কোনোদিনো পোষাবে?
আরেকটা কারনে ওয়ার অন টেরর শেষ হবে বলে ভাবছিলাম
আফগানিস্তানে তালেবান রা বলছে তারা আমেরিকান সেনা প্রত্যাহারের বিনিময়ে সন্ধি করতে আগ্রহী।
এখন আমেরিকানরা ঠিক যেই কারনে সেখানে গিয়েছিলো ওসামা বিন লাদেন তথা আল-কায়েদা ধরতে সেই খবর সি আই এ বা এম আই ফাইভ না জানলেও তালেবানরা খুব ভালোভাবেই জানে সেই হিসেবে সাদ্দাম হোসেনের মত ওসামা বিন লাদেন আর আয়মান আল জাওয়াহারী কে যদি আগামী মাসখানেকের মাথায় পাত্থরের নিচ থেকে টেনে বের করতে দেখি অথবা ভয়াবহ ফায়ার ফাইটে নিহত হতে দেখি খুব বেশী একটা আশ্চর্য হবো না।
তবে সবকিছু মিলিয়ে সামনের দিনগুলিতে ইহুদিরা আরেকটা প্যাচ না লাগালে মুসলমানদের বেশ ভালো সুদিন আসতেছে।
দেখা যাক কি হয়।
এতক্ষন কষ্ট করে যারা আমার এই প্যাচাল পড়লেন তাদের জন্য একটা জোকস।
একদা তিন ইসরায়েলি ফ্রান্সে হলিডে উদযাপনের জন্য অবতরন করলো
ইমিগ্রেশন অফিসার তদের নাম ঠিকানার পর জিজ্ঞেস করলো
অকুপেশন(Occupation)?
এইবার তিনজন একসাথে জবাব দিলো নো নো উই আর হিয়ার ফর হলিডে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।