থেমে যাবো বলে তো পথ চলা শুরু করিনি।
মোটামুটি এইটা ঠিক হয়ে আছে যে ১৯৭২ সালে সম্পাদিত চুক্তি মোতাবেক এবং ২০০৯ সালে নতুন করে সম্পাদিত চুক্তি মোতাবেক বাংলাদেশের উপর দিয়ে ভারতীয় পণ্য ভারতের এক অংশ থেকে অন্য অংশে যাবে। এর জন্য কোন খরচপাতি লাগবে না।
এত দিন কিন্তু আমাদের বলা হচ্ছিল, বোঝানো হচ্ছিল যে ট্রানজিট দিয়ে বাংলাদেশ এক বছরের ভেতরে এত টাকা, পাঁচ বছরের ভেতরে অত মিলিয়ন ডলার, আর দশ বছরের ভেতরে বিলিয়ন ডলারের কাছে আয় করবে। যদি উপরের কথাই সত্যি হয়, তা হলে আমাদের বোকা বানানো সেই সব ভন্ডরা কোথায় গেল?
প্রকাশিত সংবাদ মোতাবেক জানা যাচ্ছে, বাস্তবে যা ঘটে চলেছে তা কথিত চিত্রের থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন।
দেখা যাচ্ছে, ট্রানজিট/ট্রান্সশিপমেন্ট কার্গোর ওপর জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সম্প্রতি আরোপিত শুল্ক প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরকালীন যৌথ ইশতেহারের পরিপন্থী।
১৬ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা ড. মশিউর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আন্তমন্ত্রণালয় সভায় ট্রানজিট শুল্ক স্থগিত করতে বলা হয়েছিল। কিন্তু ওই সভার পরও এনবিআর ভারতীয় দুটি জাহাজকে ট্রান্সশিপমেন্ট ফি পরিশোধ না করায় বাংলাদেশে প্রবেশে বাধা দেয়।
পরে ৩১ অক্টোবরের সভায় ট্রানজিট কার্গোর ওপর শুল্ক আরোপে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলা হয়, ১৯৭২ সালের বাংলাদেশ-ভারত নৌ প্রটোকলের সঙ্গে বিষয়টি মোটেই সংগতিপূর্ণ নয়।
২০০৯ সালে নবায়নকৃত ওই প্রটোকলের ১৭ ধারায় বলা হয়েছে, ট্রানজিট কার্গো পরিবহনকারী দেশ অন্য দেশের ভেতর দিয়ে ট্রানজিট পরিবহনের সময় বাণিজ্যে সম্পৃক্ত হবে না।
সঙ্গত কারণেই ট্রানজিট কার্গোর ওপর শুল্ক আরোপ ওই প্রটোকল চুক্তির সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়।
সভায় আরো বলা হয়, বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডবি্লউটিও) চুক্তি (ধারা-৫) অনুযায়ী ট্রানজিট কার্গোর ওপর ফি বা শুল্ক আরোপযোগ্য নয়। এ ছাড়া ভুটান ও নেপালের সঙ্গে ভারতের ট্রানজিট ও বাণিজ্য চুক্তিতে ট্রানজিট কার্গোর ওপর আমদানি শুল্ক/ফি আরোপ করা হয়নি। তা ছাড়া নাকি ২০১০-১১ অর্থবছরের বাজেটে এনবিআর ভারত, ভুটান ও নেপালের সঙ্গে ট্রানজিট ফি আদায়ের কোনো প্রাক্কলন করেনি। তাই এই বছর কোন ফি আদায় করা যাবে না।
এখন শুনুন অর্থমন্ত্রী কি বলেছেন। তিনি বলেছেন যে ভারতকে ফি দিয়েই ট্রানজিট নিতে হবে। তিনি বিম্পি নেতা এম কে আনোয়ারের কথার সাথে এক মত হয়ে বলেন যে আমাদের অবকাঠামো ব্যবহার করার জন্য ভারতকে মাশূল দিতে হবে।
এখন দেখা যাক কার ক্ষমতা বেশি - প্রধানমন্ত্রীর অর্থনীতি বিষয়ক উপদেষ্টার নাকি সংসদ সদস্য, মন্ত্রীসভার সদস্য অর্থমন্ত্রীর।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।