আমি পূজারী,শুধুই তোমার প্রেমের
(পুর্বকথনঃএই কাহিনীগুলোর সাথে সম্পর্কিত সকল কথা বাস্তবিক। কাহিনী সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বাদে অন্যান্য কারো সাথে মিলে গেলে আমি দায়ী নই)
১.
বৃহস্পতিবার,সকালে প্যারেড শেষ। হঠাত দেখি স্টাফ চিল্লাইতেছে-“আজ সবাই আফটার লাঞ্চের পরে হেয়ার কাট কেটে নেবেন”।
২.
তখন আমরা ক্লাস টেনে। লাইটস আউট এর পর চুপচাপ শুয়ে আছি।
জেপি রাউন্ড দিচ্ছে-কারো কথা বলা যাবে না। যখন মনে হল জেপি চলে গেছে,আমার এক রুমমেট চুপিচুপি কথা বলা শুরু করল। হঠাত ধমক শুনলাম জানালার পাশে, “হু ইজ টক?”আমার রুমমেটের তড়িত উত্তর, “ভাইয়া,আই ইজ টক। ”
যতদূর জানি ভাইয়া এখন ঢাকা ভার্সিটিতে ইংলিশে পড়ে।
৩.
ইলেভেনের এক্সকারশনে আমাদেরকে ব্রেক দেয়া হল মিলিটারি মিউজিয়ামে।
সেখানে সবকিছু ঘুরে দেখানো হল আমাদের। বিদায়ের সময় আমাদের কলেজের পক্ষ থেকে একটা ক্রেস্ট দেয়া হল সেখানকার কমান্ডারের হাতে। ক্রেস্ট দেবার সময় আমাদের ফর্ম মাস্টার অত্যন্ত গর্বের সাথে বলে উঠলেন, “স্যার,দিস ইস এ্যা রেস্পেক্ট অফ টোকেন। ”
৪.
আমরা তখন ক্লাস নাইনে উঠেছি মাত্র। সিনিওর সিনিওর ভাব ধরার কারনে প্রায়ই পাঙ্গা খেতে হয়।
তো একদিন জেপি ডেকে পাঙ্গাচ্ছে আর ঝাড়তেছে। এক পর্যায়ে জেপি, “ডোন্ট লিমিট দ্য ক্রস”।
৫। ক্লাস টেনের কথা মনে হয়। ভুগোল ক্লাসে ম্যাডাম এসে বললেন যে আজ আমার কাজ আছে তোমাদের ক্লাস হবেনা।
আমরা চিল্লাচিল্লি শুরু করলাম। ম্যাডাম চলে গেলে আমাদের চিল্লানোর মাত্রা আরো বেড়ে যায়। প্রিন্সিপাল যে আসতেছিল তা আর কেউ খেয়াল করেনি। তো প্রিন্সিপাল এসে সবাইকে দাড় করালো। জিজ্ঞেস করল কার ক্লাস।
ফর্ম লীডার বলল যে ম্যাডামের ক্লাস ছিল কিন্তু উনি কাজ থাকায় আজ ক্লাস নেবেন না বলে চলে যাওয়াতে …..। “চলে যাওয়াতে কী?কি হয়ছে তাতে? ম্যাডামের কি শাড়ি ঠিক ছিল না নাকি ব্লাউজের বোতাম খোলা ছিল যে এত জোরে চিতকার করতে হবে। ”
প্রিন্সিপালকে দেখে ম্যাডাম ততক্ষণে ফর্মের পিছনে এসে দাঁড়িয়ে গেছে।
৬.
পরিসংখ্যান স্যারের বাড়ি ছিল কুমিল্লায়। তিনি ‘প’ উচ্চারন করতে পারতেন না, ‘ফ’ উচ্চারন করতেন।
যেমন পানি বলতে পারতেন না,বলতে ফানি। কোন একদিন ক্লাসে এসে কথা প্রসঙ্গে তিনি বলে ফেললেন, “আমার জন্য তোমাদের ম্যাডামকে দিনে তিনবার ফাক করতে হয়। ”তিনি কি বুঝাতে চেয়েছিলেন সবাই বুঝেছেন নিশ্চই।
৭.
সামির আর আসিফ নামে আমাদের দুইজন ছিল যাদের কাজই ছিল মারামারি করা। টাইম পেলেই মারতামারি করত তারা।
একদিন স্যার তাদের দেখে ফেলে মারামারি করতে। ওদেরকে কানে ধরিয়ে দাড় করালেন আর আমাদেরকে শুনিয়ে বললেন, “তোমরা এখানে সবাই এসেছ একসাথে থাকতে,মারামারি করতে নয়। তোমাদের সকলের উচিত একসাথে সুন্দরভাবে সহবাস করা। ”
৮.
জু’লজির নতুন একটা স্যার আসলেন তখন আমরা ইলেভেন এ। স্যারটা খুব মোটা ছিলেন।
দেখা মাত্রই তার নাম হয়ে গেল হাতীর বাচ্চা। অবশ্য তার চেয়েও মোটা ছিল আমাদের সাদিক। প্রথম দিন তিনি যখন আমাদের ক্লাসে আসছিলেন কে যেন বলল হাতীর বাচ্চা আসতেছে। স্যার মনে হয় শুনতে পেরেছিলেন। তিনি ক্লাসে ঢুকেই সাদিককে দেখিয়ে বলে উঠলেন, “আমি যদি হাতীর বাচ্চা হই তবে ও সেই হাতীর বাপ!”আমরা আর কিছু বলি নাই তখন,স্যারের মুখটা এমনিতেই দেখি লাল হয়ে গেছে।
আজ অনেক হল। জানিনা কেমন লাগল সবার কাছে। যদি ভাল লাগে জানাবেন-চেষ্টা করব বাকি গুলোও জানানোর।
(আমি কাউকে আঘাত করার উদ্দেশ্য নিয়ে এগুলো লিখি নাই,কাউকে সামান্যতম কষ্ট দিয়ে থাকলে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। আর এই পোস্ট আমার অন্যব্লগেও একইসাথে প্রকাশিত)
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।