আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিবিজড়িত হবিগঞ্জের তেলিয়াপাড়া স্মৃতিসৌধ



৩৯ বছর পেরিয়ে গেলেও মুক্তিযোদ্ধের অন্যতম স্মৃতি বিজড়িত হবিগঞ্জের তেলিয়াপাড়া স্মৃতি সৌধ রক্ষণা বেক্ষনের তেমন কোনো উদ্যোগ নেয়া হয়নি। ফলে হারিয়ে যেতে বসেছে স্বাধীন বাংলার মুক্তিকামী সেনাদের সকল স্মৃতি। ১৯৭১সালের ২৫ মার্চ পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী এদেশে যুদ্ধ শুরু করলে এর একদিন পর ২৭ মার্চ বিদ্রোহী বাংলাদেশী সেনা বাহিনীর উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের প্রথম বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়েছিলো তেলিয়াপাড়া ডাক বাংলোতেই। ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন, মুক্তিযোদ্ধের সর্বাধিনায়ক জেনারেল এমএজি ওসমানী, সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান, সাবেক সেনা প্রধান কেএম শফিউল্লাহ এবং খালেদ মোশাররফ। ৪ এপ্রিল তেলিয়াপাড়া ডাক বাংলোয় সেনাবাহিনীর উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে পুরো বাংলাদেশকে ১১টি সেক্টরে ভাগ করা হয়।

গঠন করায় জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে জেড ফোর্স, কে এম শফিউল্লাহর নেতৃত্বে এস ফোর্স এবং খালেদ মোশাররফের নেতৃত্বে কে ফোর্স। স্বাধীন বাংলার প্রবাসী সরকারের ঘোষনা এবং শপথ অনুষ্ঠানের আয়োজনও করা হয়েছিল এই তেলিয়াপাড়া ক্যাম্পেই। এরই মধ্যে পাক সেনারা সেখানে আক্রমণ চালালে প্রবাসী সরকারের শপথ অনুষ্ঠান স্থানান্তর করা হয় মেহেরপুরের আম্রকাননে। তেলিয়াপাড়া ক্যাম্পকে ঘিরে পাকিস্তানী বাহিনীর সাথে মুক্তি বাহিনীর একাধিক সম্মুখ যুদ্ধে কয়েকশ মুক্তি বাহিনীর সদস্য শহীদ হয়েছেন। ২, ৩, ৪ নং সেক্টরের শহীদদের স্মৃতি ধরে রাখতে নির্মাণ করা হয়েছে তেলিয়াপাড়ায় এস্মৃতিসৌধটি।

তেলিয়াপাড়া ডাকবাংলো ও স্মৃতিসৌধকে যাদুঘরে রূপান্তরের দাবী দীর্ঘদিনেও পূরণ না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মুক্তিযোদ্ধারা। বিস্তারিত

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.