শুক্রবারও স্টকহোমে কয়েকটি গাড়িতে ও একটি পুনঃপ্রক্রিয়াজাতকরণ স্টেশনে অগ্নিসংযোগ করে ক্ষুব্ধ যুবকরা।
চলতি মাসের প্রথম দিকে পুলিশের গুলিতে ৬৯ বছর বয়সী এক পর্তুগিজ অভিবাসী নিহত হওয়ার জের ধরে দাঙ্গার সূত্রপাত হয়। এরপর গতকাল পর্যন্ত ছয়রাত ধরে স্টকহোমের অভিবাসীদের এলাকায় দাঙ্গা অব্যাহত থাকে। এসব এলাকায় সাধারণ দরিদ্র অভিবাসীরা বসবাস করে।
সহনশীলতা, উদারতা ও আদর্শ কল্যাণমূলক রাষ্ট্র হিসেবে সুইডেন পরিচিত হলেও এই দাঙ্গা সুইডেনের সংখ্যাগুরু উচ্চবিত্ত ও সংখ্যালঘু দরিদ্রদের মধ্যে বিদ্যমান ব্যবধানের গভীরতা তুলে ধরেছে।
অভিবাসী বংশোদ্ভূত যুবকদের অধিকাংশ পড়াশোনার নিম্নমান, চাকরি না পাওয়া ও সমাজের প্রান্তীয় অবস্থানে ঠেলে দেওয়ার অনুভূতিতে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। তারা মুখোশ পরে গাড়ি, স্কুল, পাঠাগার, দোকানপাট, থানা ইত্যাদিতে আগুন ধরিয়ে ব্যাপক দাঙ্গা-হাঙ্গামার সূত্রপাত করে।
দাঙ্গার সূত্রপাত হওয়ার পর থেকে শুক্রবার স্টকহোম অনেকটা শান্ত থাকলেও এদিনও দুটি গাড়িতে অগ্নিসংযোগ করা হয়।
স্টকহোম পুলিশের মুখপাত্র টোউ হ্যাগ বলেন, “কোথাও কোথাও আগুন জ্বললেও পরিস্থিতি আজ অনেকটা শান্ত। ”
রাজধানী অনেকটা শান্ত হয়ে আসলেও ক্ষুব্ধতার আগুন এবার রাজধানীর বাইরে ছড়িয়ে পড়েছে।
শুক্রবার সুইডেনের মধ্যাঞ্চলীয় শহর অরিব্রোতে মুখোশ পড়া প্রায় ২৫ জন তরুণ তিনটি গাড়িতে, একটি স্কুলে অগ্নিসংযোগ করে। তারা একটি থানায়ও আগুন দেওয়ার চেষ্টা করে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
রাজধানী থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরের সোদেরতালজে শহরে একটি ফাঁকা ভবনে আগুন দেয় বিক্ষুব্ধরা।
স্টকহোমের শহরতলীর কিস্তা এলাকায় একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় পুড়িয়ে দেয় বিক্ষুব্ধ যুবকদের অপর একটি দল। এই কিস্তা এলাকা সুইডেনের প্রযুক্তি শিল্পের প্রাণকেন্দ্র, এরিকসন ও মাইক্রোসফসের সুইডিশ অফিসের অবস্থান এই এলাকায়।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে মালমো ও গোথেনবার্গ থেকে অতিরিক্ত পুলিশ ডেকে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পরিস্থিতি নিয়ে শুক্রবার এক জরুরি বৈঠক করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী ফ্রেডরিক রেইনফেল্ট।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।