ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েল চারুকলা অনুষদের তিন শিক্ষককের আচরণ অশিক্ষকসুলভ অবিহিত করে সতর্ক করে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট। বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এ তিন শিক্ষক হলেন চারুকলা অনুষদের শিল্পকলার ইতিহাস বিভাগের চেয়ারম্যান নাহীদ আখতার, বিভাগের সহকারী অধ্যাপক শেখ মনির উদ্দিন ও প্রভাষক সাবরিনা শাহনাজ। তবে শেখ মনির এ সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে নিজেকে নির্দোষ দাবি করেছেন।
বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে সিন্ডিকেট মিটিং শেষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, তদন্ত কমিটি ঘটনাটি বিস্তারিত উৎঘাটন করেছে।
যার ভিত্তিতে সিন্ডিকেট ঘটনার সাথে সংশ্লিষ্ট তিন শিককেই অশিকসুলভ আচরণের জন্য সতর্ক করে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
তদন্ত কমিটির প্রধান বিশ্ববিদ্যালয় প্রো-ভিসি অধ্যাপক হারুন-অর-রশীদ বলেন, তদন্ত কমিটির নিকট নাহীদ আখতার থাপ্পড় মারার ঘটনা স্বীকার করেছেন। তবে কমিটি এ ঘটনার পিছনের ঘটনা বিবেচনায় নিয়ে তিনজনেরই অশিক্ষক সুলভ আচরণের প্রমাণ পেয়েছে।
এদিকে গতকাল বৃহস্পতিবার এক সংবাদিক সম্মেলনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের শিল্পকলার ইতিহাস বিভাগের চেয়ারম্যান নাহীদ আখতার দাবি করেন তিনি আত্ম-রার্থে সহকর্মীর গালে চড় মেরেছেন। নিজ কার্যালয়ে এই সংবাদিক সম্মেলনে তিনি বলেন, আমাকে চেয়ারম্যান পদ থেকে সরিয়ে নিজে এ পদটি দখল করতে দীর্ঘদিন যাবত বিভাগের সহকারী অধ্যাপক শেখ মনির নানা উস্কানিমূলক কাজ করে আসছেন।
এ ঘটনাও তারই অংশ। ঘটনার দিন আমাকে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং তেড়ে আসে। তখন নিতান্ত আত্ম রার্থে আমি তাকে থাপ্পড় মারি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের শিল্পকলার ইতিহাস বিভাগের চেয়ারম্যান নাহীদ আখতার গত শনিবার দুপুরে সহকারী অধ্যাপক শেখ মনির উদ্দিনকে চড় মারেন বলে তিনি অভিযোগ করেন। এ অভিযোগের ভিত্তিতে অধ্যাপক হারুন-অর-রশীদকে প্রধান করে এক সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয় এবং ৭২ ঘন্টার মধ্যে রিপোর্ট দিতে বলা হয়।
সে অনুযায়ী শনিবার সন্ধায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটে এ রিপোর্ট উপস্থাপন করা হয়।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।