অভিলাষী মন চন্দ্রে না পাক, জ্যোৎস্নায় পাক সামান্য ঠাঁই
১.
হিমু আর কাকের মধ্যে অদ্ভুত একটা মিল আছে, ওরা দুজনই ভীষন একা। আর নীল জোছনায় ওদের দুজনের মধ্যেই অদ্ভুত একটা অস্থিরতা কাজ করে।
হিমুর হলুদ পান্জাবীতে একটা পকেট থাকলে আমি হিমুকে বলতাম আমার জন্য পকেট ভর্তি নীল জোছনা নিয়ে আসতে।
আমি জোছনার আলোবিহীন এক অন্ধ দাঁড়কাক যার দুচোখে বাস করে দুটো জোনাক।
২.
ফুল যেমন সৌরভ ছড়িয়ে দেয়, মানুষ ছড়িয়ে দেয় ভালবাসা।
আর আমি ছড়িয়ে দেই কালো মেঘ। আমার আঙুলের ডগায় সারাবেলা চলে মেঘেদের উড়াউড়ি। মেঘেরা জানে না কিভাবে স্নিগ্ধ বৃষ্টি শেষে রংধনু হতে হয়। আমি মেঘের কোলে ঘুমানো শাদা বক।
৩.
ললিতাদের কাঠের সিন্দুকে একটা সাদা ফ্রক পড়া এক পুতুল ঘুমাতো।
পুতুলটাকে আমি ভীষনভাবে চাইতাম। প্রায়ই সে আমার ঘুম ঘরে পরী হয়ে ঘুরে বেড়ায়।
সে আমাকে তার রূপার কাঠির পরশ বুলিয়ে পুতুল বানিয়ে দিলো। আমি মেহগনি কাঠের সিন্দুকে রেশমি কাপড়ে জড়ানো ঘুমন্ত এক পুতুল এখন।
৪.
আমি তাকে মুক্তাহীনা একটা ঝিনুক দিয়েছিলাম।
সে জলতরঙ্গ এক ঢেউয়ের বুকে ঝিনুক ফেলে দিলো। জলের মাঝেই ঝিনুক মানায়!
সে জানবেনা কোনদিন ঝিনুকের বুকে আমার মন লুকানো ছিলো।
৫.
আমার দক্ষিন বারান্দার হলদে আর নীল ফুলগুলো শুধু বললো-বহুদিন বৃষ্টি হয় না!
অথচ গতকাল রাতে আমার শোবার ঘরে অঝর ধারায় বৃষ্টি নেমেছিলো। সে কথা কেউই জানলো না! অন্ধকারের বুকে জড়িয়ে থাকা আমার ছায়াটাও না!
৬.
আমার চোখ দুটো যাকে খুলে দিয়েছিলাম, সে চোখদুটো হাতের মুঠোয় নিয়ে হারিয়ে গেলো! পৃথিবীর সব রং, রূপ, আলো তার হাতের রেখার সাথে মিশে গেলো।
কাঠঠোকরা পাখি ভর দুপুরে আমার চোখের খোলসে ঠুক ঠুক শব্দ করে চলে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।