সাভারে রানা প্লাজা ধসে আহত হওয়া দুজন গত দুই দিনে হাসপাতালে চিকিত্সাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। আজ শনিবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিত্সাধীন অবস্থায় মারা গেছেন আশরাফুল ইসলাম (১৯) নামের এক যুবক। আর গতকাল শুক্রবার রাতে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে মারা যান আঞ্জুয়ারা (১৮) নামের আহত এক নারী।
ঢাকা জেলা প্রশাসন সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করে জানায়, এ নিয়ে ভবন ধসের ঘটনায় মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল এক হাজার ১২৯ জনে।
আশরাফুলের ভাই মো. খোকন সাংবাদিকদের বলেন, আশরাফুল রানা প্লাজায় নিউ ওয়েভ বটমস নামের পোশাক কারাখানায় চাকরি করতেন।
গত ২৪ এপ্রিল ভবন ধসের দিন ধ্বংসস্তূপ থেকে তাঁকে উদ্ধার করা হয়। পরে তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তিনি বলেন, শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাত পাওয়ায় আশরাফুলের কিডনি সমস্যাসহ বিভিন্ন রোগ দেখা দেয়। গতকাল শুক্রবার তাঁর অস্ত্রোপচারও হয়েছে। আজ শনিবার দুপুর একটার দিকে তিনি মারা যান।
পারিবারিক সূত্র জানায়, আশরাফুলের গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার ঝাউগাই গ্রামে। তাঁর বাবা ইউনুস আলী।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সূত্র জানায়, ধসের ঘটনায় মোট ১৫ জন আহত ব্যক্তিকে ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি করা হয়েছিল। আশরাফুল মারা যাওয়ায় বর্তমানে ১৪ জন চিকিত্সাধীন।
এদিকে গতকাল রাত ১০টার দিকে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে চিকিত্সাধীন অবস্থায় মারা যান আঞ্জুয়ারা।
তাঁর গ্রামের বাড়ি নড়াইলের লোহাগাড়ায়, বাবা সুলতান মোল্লা। গত ২৯ এপ্রিল ধ্বংসস্তূপ থেকে তাঁকে উদ্ধারের পর ওই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল।
ঢাকা জেলা প্রশাসনের ত্রাণ সহকারী জালাল উদ্দিন প্রথম আলো ডটকমকে বলেন, ঢাকা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আশরাফুল ও আঞ্জুয়ারা প্রত্যেকের পরিবারের সদস্যদের ২০ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়েছে।
বিজিএমইএর অফিস সহকারী রাজু আহমেদ বলেন, অ্যাম্বুলেন্সে করে দুজনের লাশ তাঁদের গ্রামের বাড়িতে পাঠানো হয়েছে। বিজিএমইএর পক্ষ থেকে লাশ পরিবহনের খরচ দেওয়া হয়েছে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।