আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কিভাবে ফেসবুকে ভুয়া প্রোফাইল চিনবেন



শুরুতেই বলে নিই, এই পোস্টটা দুই ধরনের মানুষের কাজে লাগতে পারে। এক. যারা ভুয়া ফেসবুক প্রোফাইলের খপ্পর থেকে বাঁচতে চান, আর দুই. যারা নিজেরা ভুয়া প্রোফাইল বানাতে চান! ভুয়া প্রোফাইলের মাধ্যমে ব্যক্তিগত তথ্য ও ছবি অবাঞ্ছিত মানুষের হাতে যাতে না পড়ে সে জন্যই এ ব্যাপারে সচেতন থাকা দরকার। ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট এক্সেপ্ট করার সময় একটু খেয়াল করলেই বুঝতে পারবেন প্রোফাইলটা ভুয়া কি না। নিচের পয়েন্টগুলোর কমপক্ষে তিনটা মিলে গেলে সেই ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট সোজা ইগ্নোর করে দেওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ। যদিও আমরা অনেকেই এগুলো জানি, তারপরেও একটু চেকলিস্টের মত মনে করিয়ে দেয়া আর কি।

• প্রোফাইল ছবিটা যদি কোনো আকর্ষণীয় চেহারার মেয়ের ছবি হয়। কোনো অপরিচিত ডানাকাটা পরী খামাখা আপনাকে রিকোয়েস্ট পাঠাবে না (যদি না আপনি জন আব্রাহাম বা ব্র্যাড পিট জাতীয় কেউ হন)। • যদি ১টা-২টার বেশী প্রোফাইল ছবি না থাকে এবং থাকলেও সেগুলো একই ব্যক্তির ছবি না হয়। যে কোন জায়গা থেকে কারো দুয়েকটা ছবি মেরে দেওয়া কোন ব্যাপারই না। কিন্তু ভিন্ন ভিন্ন জায়গায়/সময়ে তোলা ছবি অন্য কারো পক্ষে জোগাড় করা একটু কঠিন বৈকি! • নিজে ছাড়া অন্য কেউ তার ছবি ট্যাগ বা add করে নাই, বা করলেও তা অপ্রাসঙ্গিক ছবি।

• ওয়াল-এ কোনো ব্যক্তিগত আলাপ নেই। শুধু "thanks for the add"-জাতীয় কথা-বার্তা লেখা। • প্রোফাইলের Interested In এবং Looking For-এ Women, Men, ডেটিং, ফ্রেন্ডশিপ সব কিছুতেই টিক মারা। • তার ফ্রেন্ড-এর সংখ্যা শত শত, কিংবা হাজারেরো বেশি। সাধারণত তিনশ'র বেশি ফ্রেন্ড থাকাটা সন্দেহজনক, যদিও ফ্রেন্ড সঙ্ক্রান্ত পলিসি সবার এক রকম হয় না, কেউ কেউ রিকোয়েস্ট গ্রহণ/প্রেরণের ব্যাপারে একটু রক্ষণশীল, আবার কেউ কেউ খুবই উদার।

কোথায় যেন এক পরিসংখানে দেখেছিলাম যে ফেসবুকে একজনের গড়ে ১২৫ জন ফ্রেন্ড থাকে। (আমার নিজের অবশ্য তার থেকে বেশ কম ফ্রেন্ড!) • কোনো নির্দিষ্ট গন্ডি বা ঘরানার মধ্যে তার বন্ধুর বৃত্ত সীমাবদ্ধ নাই, সব জায়গার সবাইই নির্বিচারে তার ফ্রেন্ড। • ফ্রেন্ড হওয়া ছাড়া যার অন্য তেমন কোন কাজ নাই। Feed section-এ খালি লেখা: ওমুক & তমুক are now friends. • মেয়েদের নামে প্রোফাইল এবং তা দুই শব্দবিশিষ্ট কমন নাম। যেমন সারা ইসলাম, তানিয়া রহমান এইসব নামে ফেসবুকে সার্চ দিয়ে পরীক্ষা করে দেখতে পারেন।

নামের শব্দ সংখ্যা যত বেশি, প্রোফাইলটা আসল হওয়ার সম্ভাবনাও তত বেশি। কারণ এমন নাম চট করে নিজে বানিয়ে দেয়া খুব সহজ না। • স্ট্যাটাস আপডেট নেই, বা খুবই অনিয়মিত। • ছবি, গ্রুপ, মন্তব্য বা যেকোন কিছুতে অশালিনতা কিংবা pervert কিছু থাকলে প্রোফাইলটা ভুয়া হওয়ার ব্যাপারে তেমন কোন সন্দেহ থাকে না। ______ সবচেয়ে ভালো হয় অপরিচিত কারো রিকোয়েস্ট গ্রহণ না করা।

তারপরেও গ্রহণ করতে চাইলে আগে অচেনাদের জন্য একটা আলাদা লিস্ট বানিয়ে নিন (নাম দিতে পারেন Unknown). এর জন্য যান Friends>Create a List. এখন Account>Privacy Settings-এ গিয়ে Customise ক্লিক করে Hide this from ঘরে ঐ List-টার নাম বসিয়ে দিন। কারো ব্যাপারে সন্দেহ থাকলে তাকে ঐ লিস্টে অন্তর্ভূক্ত করে দিলে সে ফ্রেন্ড হয়েও আপনার তথ্য দেখতে পারবে না। আর আপনি যদি নিজেই দুই নম্বরি করে ভুয়া প্রোফাইল বানানোর মতলবে থাকেন, তাইলে পোস্টে বর্ণিত বিষয়গুলো যাতে ঐ প্রোফাইলে না থাকে সেই দিকে বিশেষভাবে দৃষ্টি রাইখেন!

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.