আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বিশ্বের সবচেয়ে অপরিণত বয়সের শিশু টম থাম্ব


মোহাম্মদ আবুল হোসেন: জার্মানিতে জন্ম নিয়েছে বিশ্বে সবচেয়ে অপরিণত বয়সের একটি ছেলে শিশু। মায়ের গর্ভে মাত্র ২৫ সপ্তাহ তার অবস্থান। জন্ম নেয়ার সময় তার ওজন মাত্র ২৭৫ গ্রাম। আর মাথা থেকে পায়ের তালু পর্যনত্ম তার দৈর্ঘ্য মাত্র ১১ ইঞ্চি। চিকিৎসকরা বলেছেন, বিশ্বে সেই সবচেয়ে অপরিণত বয়সে জন্ম নেয়া শিশু।

এখনও সে সুস্থ আছে। এত কম সময় মায়ের পেটে অবস্থানের পর জন্ম নেয়ার কারণে চিকিৎসকরা তাকে ‘টম থাম্ব’ নাম দিয়েছেন। অপরিণত বয়সে জন্ম নেয়া শিশুদের নানা জটিলতায় পড়তে হয়। তার মধ্যে অন্যতম হলো তাদেরকে খাওয়ানো এবং তাদের দেহের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রনে রাখা। ২০০৯ সালের জুনে জার্মানির গোটেঙ্গেনে অবস্থিত ইউনিভার্সিটি অব মেডিসিন-এ সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে ভূমিষ্ঠ করানো হয় টম থাম্বকে।

কিন্তু অপরিণত বয়সে জন্ম নেয়ায় তাকে তখনই তার মা-বাবার কাছে তুলে দেন নি ডাক্তাররা। তারা এতদিন তাকে তাদের তত্ত্বাবধানে রেখেছিলেন। এতাকে রাখা হয় ২৪ ঘণ্টা পর্যবেড়্গণে। তাকে খাওয়ানো হয়েছে ফিডিং টিউব দিয়ে। শ্বাস-প্রশ্বাস চালানো হয় টিউবের সাহায্যে।

হৃদপিণ্ডে বসানো হয় মনিটর। দেয়া হয় ক্যাথেটার। প্রতি সেকেণ্ডে তার শারীরিক পরিবর্তন লড়্গ্য রাখা হয়। অবশেষে তার অবস্থা স্থিতিশীল হলে এই সপ্তাহে তাকে তার মা-বাবার হাতে তুলে দেয়া হয। এ খবর দিয়েছে লণ্ডনের ডেইলি মেইল।

তাতে আরও বলা হয়েছে, এসব বাচ্ছার শারীরিক গঠন পরিপূর্ণ করতে মায়ের পেটে থাকার সময় পায় কম। ফলে তাদের শ্বাস-প্রশ্বাসের জটিলতা বেশি হয়। তারা নিম্ন রক্তচাপে ভোগে। তারা নানা রকম সংক্রমণকে কাটিয়ে উঠতে পারে না। এর আগে মায়ের পেটে সবচেয়ে কম বয়সে থাকার পর ভূমিষ্ঠ হয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রের নিউ জার্সিতে জন্ম নেয়া টেলার মার্টিন।

২০০৪ সালে জন্ম নেয়া এই শিশুর ওজন ছিল ৩২০ গ্রাম। চিকিৎসকরা মনে করেন, ৩৫০ গ্রামের নিজে ওজন নিয়ে যেসব শিশু জন্ম গ্রহণ করে তারা বাঁচে না। বৃটেনে প্রতি বছর এরকম অপরিণত বয়সে জন্ম গ্রহণ করে ৮০ হাজারেরও বেশি শিমু। তাদের বেশির ভাগকেই ইনটেনসিভ কেয়ারে রাখা হয়। এ জন্য স্বাস্থ্য বিভাগকে প্রতি বছর ১শ’ কোটি পাউন্ড খরচ করতে হয়।


 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.