আমার সম্পর্কে বলার মতো কিছু নেই।
আগামীকাল উদীচী ট্র্যাজেডি দিবসঃ
আগামীকাল শনিবার উদীচী ট্র্যাজেডির ১১তম বর্ষ। ১৯৯৯ সালের ৬ মার্চ রাতে যশোর টাউন হল ময়দানে উদীচীর দ্বাদশ জাতীয় সম্মেলনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে ভয়াবহ দু'টি বোমার বিস্ফোরণে অন্তত ১০ জন নিহত ও শতাধিক নারী পুরুষ আহত হন।
মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের উপর এ ধরণের ধ্বংসযজ্ঞ দেখে যশোরের মানুষ কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে পড়েন। ১৯৯৯ সালে উদীচী হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হওয়ার পর এব্যাপারে পৃথক দু'টি মামলা হয়।
প্রথমে কোতয়ালি পুলিশ মামলার তদন্ত শুরু করলেও পরবর্তীতে তা সিআইডির উপর ন্যস্ত হয়।
তদন্ত শেষে ওই বছরের ১৪ ডিসেম্বর ২৪ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়। চাঞ্চল্যকর এ মামলা আদালতে গড়ানোর ৭ বছর পর ২০০৬ সালের ৩০ মে'র রায়ে সব আসামিকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়।
এদিকে, দেশের আলোচিত জঙ্গী নেতা মুফতি হান্নান আটক হওয়ার পর পুলিশের কাছে প্রদত্ত জবানবন্দিতে সে উদীচীর অনুষ্ঠানে বোমা হামলার কথা স্বীকার করে।
এই জবানবন্দির উপর ভিত্তি করে উদীচী হত্যা মামলা পুনঃতদন্তের উদ্যোগ নেয়া হয়।
ইতিমধ্যে মুফতি হান্নানকে যশোরে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তার কাছ থেকে উদীচী হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে।
ওই তথ্যের ভিত্তিতে তদন্ত প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে। যশোরে দিবসটি পালনের জন্য উদীচী হত্যা মামলা পুনঃতদন্ত ও বিচার আন্দোলন কমিটি আগামীকাল শনিবার দিনব্যাপি কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।