Never argue with idiots. They bring you down to their level and then beat you with experience
পুরো পৃথিবীর আয়ু আছে আর মাত্র একদিন! এরপরই কেয়ামতÑ ধ্বংস হয়ে যাবে আমাদের এই সবুজ শ্যামল বসুন্ধরা! সব হিসাব (পড়–ন মায়ান বর্ষপঞ্জি মোতাবেক) ঠিক থাকলে আগামীকাল ২১ ডিসেম্বর ধ্বংস হতে যাচ্ছে পৃথিবী! আর এ নিয়ে বিশ্ববাসীর উদ্বেগ-উৎকণ্ঠাও কিন্তু কম নয়। পৃথিবী ধ্বংসের দৃশ্যের সঙ্গে আগে থেকে পরিচয় করিয়ে দিতে এরই মধ্যে হলিউডে সিনেমা পর্যন্ত নির্মিত হয়েছে। নাম ‘ডুমসডে ২০১২’। আর তা ব্যাপক সাড়াও ফেলেছে। শুধু তা-ই নয়, এ নিয়ে তৈরি হচ্ছে হাজারো প্রামাণ্যচিত্র, লেখা হচ্ছে হরেক রকমের বই।
অনলাইন ব্লগেও চলছে নানা মন্তব্য। কেউ ভীষন উদ্বিগ্ন, কেউ একেবারেই পাত্তা দিচ্ছেন না, কেউবা আবার এই দুইয়ের মাঝামাঝি। এছাড়া নানা কল্পকাহিনী, গুজব তো আছেই। কিন্তু কেন বলা হচ্ছে, পৃথিবী ধ্বংসের কথা? আসুন জেনে নেওয়া যাক-
গুজবের সূত্র মায়ান বর্ষপঞ্জি :
মায়ানরা নাকি যা-ই অনুমান করেছে যখনই, তাদের সেই অনুমান অরে অরে মিলে গেছে। বারবার ভবিষ্যৎবাণী বাস্তবে ফলে যাওয়ায় তাদের ভেতর অন্যরকম এক আÍবিশ্বাস তৈরি হয়।
এই যেমন তাদের দিন-বছর গণনার যে ক্যালেন্ডার, তার শেষ দিন ২১ ডিসেম্বর। এরপরে ক্যালেন্ডারে সময় বলতে আর কিছু নেই। তারা বিশ্বাস করে, যেহেতু আর কোনও দিন নেই, এই দিনেই পৃথিবীর কপালে লেখা আছে তার কেয়ামত-কালিমা। ব্যস, শুরু হল গুঞ্জন। গুজব ছড়িয়ে পড়ল গগণজুড়েÑ ২১ ডিসেম্বর পৃথিবী ধ্বংস হচ্ছে।
মূলত ৫ হাজার ১২৫ বছরের পুরনো মায়ান বর্ষপঞ্জি শেষ হচ্ছে আগামীকাল! তবে মায়ান সভ্যতার বিশেষজ্ঞদের মতে, মূলত শুক্রবার মায়ান বর্ষপঞ্জি শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে শেষ হবে ৪০০ বছরব্যাপী একটি যুগ যা ১৩তম ‘বাকতুন’ নামে পরিচিত। কিন্তু ফের শুরু হবে নতুন বাকতুন, ১৪তম বাকতুন।
গুজব দেশে দেশে :
মেক্সিকোর দক্ষিণাঞ্চলে ইউকাতান উপদ্বীপ ও গুয়াতেমালার পাহাড়ি এলাকায় মায়ান সভ্যতার বিভিন্ন উপকথা থেকে প্রাপ্ত এ ‘ভবিষ্যদ্বাণী’কে পুঁজি করে নানা ধরনের প্রচারণা, আয়োজন, বাণিজ্য ও ধর্মীয় মতবাদ নিয়ে এক হয়েছেন এ সময়ের অনেক আধ্যাত্বিক গুরু ও চতুর ব্যবসায়ী। ইতোমধ্যে এ দিনটিকে কেন্দ্র করে নানা ধরনের কাহিনী নিয়ে বিভিন্ন ভিডিও গেম ও সিনেমা তৈরি হয়েছে, যেগুলো ব্যাপক জনপ্রিয়তাও পেয়েছে। তবে সাম্প্রতিক সময়ে রাশিয়ার এক কারাগারে গণহিস্টিরিয়া, পৃথিবী ধ্বংস হলে তা থেকে বাঁচার জন্য এক চীনা ব্যক্তির ‘সারভাইভাল পড’ তৈরি, ধ্বংসলীলা শুরু হলে বেঁচে থাকার বিভিন্ন উপায় নিয়ে নিউজিল্যান্ডের এক ব্যক্তির বই লেখা, এমনকি ভিনগ্রহবাসীদের ডেকে এনে তাদের গ্রহে যাওয়ার উদ্দেশ্যে ফ্রান্সের একটি গ্রামে বহু মানুষের সমাবেশ এই ভবিষ্যদ্বানী বিষয়ে বিশ্ববাসীকেও ভাবাচ্ছে বেশ।
চীনে গণগ্রেপ্তার :
পৃথিবী ধ্বংসের গুজব ছড়ানো নিয়ে চীনে গত তিনদিনে পাঁচ শতাধিক লোককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শুধু শিনঘাই প্রদেশে ৪০০ লোককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গুজবের পরিপ্রেক্ষিতে নিরাপত্তাও জোরদার করা হয়েছে দেশটিতে। ৮টি প্রদেশ ও অন্যান্য অঞ্চলে অভিযান চালিয়ে মায়ান অ্যাপোকলিপস সংশ্লিষ্ট ভিডিও, লিফলেট ও বই ইত্যাদি জব্ধ করেছে পুলিশ। ২১ ডিসেম্বরের আগে এ গ্রেপ্তার অভিযান চালাচ্ছে চীনা কর্তৃপক্ষ।
যাদের আটক করা হয়েছে তাদের প্রায় অর্ধেক ‘অলমাইটি গড’ (স্রষ্টা সর্বশক্তিমান) নামের একটি গোষ্ঠীর সদস্য। বাইবেলের একটি শব্দগুচ্ছের ভিত্তিতে এ নামকরণ করা হয়েছে। ২০ বছর আগে আÍপ্রকাশ ঘটেছিল ইস্টার্ন লাইটনিংয়ের। সম্প্রতি গোষ্ঠীটির সদস্যরা প্রচার শুরু করে-২১ ডিসেম্বরের তিন দিন আগ থেকে সূর্য আলো দেবে না এবং বিদ্যুৎ কাজ করবে না। উল্লেখ্য, চীনের অনেক জনগণ ‘মায়ান অ্যাপোকলিপস’ এ বিশ্বাসী।
তথ্যসূত্র : ফক্স নিউজ
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।