কাল লিখেছিলাম বাংলাদেশ ভালো খেললে আশু ভক্ত শুভ্র'র জন্য শোক গাঁথা লিখতে চাই। বাংলাদেশ বেশি ভালো খেলেনি। আবার মন্দও খেলেনি। তারপরও শোকগাঁথা কেন ?
সেটাই খোলাসা করি। আর সব প্লেয়ারদের নিজ দায়িত্বে বাদ দিলেও বাংলার মুকুটহীন ক্রিকেট ঈশ্বর আশরাফুলকে বাদ দিতে হয় তার সম্মতিতে।
অন্তত: পেপার পড়ে তাই মনে হলো। স্বভাবত:ই আশুভক্ত শুভ্র মহাব্যথায় কাতর হবেন। তবু একটা সুযোগ ছিলো। তামিমের একক সংগ্রামে আশুর জায়গায় নামা জুনায়েদ ০ রানে আউট। অন্যদের দফাও কাহিল।
তামিমের ১২৫ রানের মহাকাব্য সত্ত্বেও বাংলাদেশ হেরেছে। শুভ্র কথিত সুসমাচার হলো, যেদিন আশরাফুল খেলেন সেদিন বাংলাদেশ জেতে। কাল আশরাফুল খেলেননি। তামিম যাই খেলুন বাংলাদেশতো জেতেনি। শুভ্র কথিত সুসমাচারতো ফললো।
তারপরও শুভ্র'র নতুন সুসমাচার থেকে আমরা বঞ্চিত হলাম। বিশেষত: ক্রিকেট বোর্ডের নির্বাচকরা রেহাই পেলেন। কারণ---
ঘরোয়া লীগে ফাটিয়ে দিয়ে মহান আশরাফুল আমাদের সবাইকে উচিৎ জবাব দিয়ে আবার জাতীয় দলে বীরবিক্রমে ফিরবেন। ফিরেই তাঁর লোকোত্তর প্রতিভা আপন খেয়াল বশে ঘুমিয়ে পড়বে। বাইরের বল জায়গায় দাঁড়িয়ে চালিয়ে দিতে থাকবেন।
কীপার বা স্লিপ ফিল্ডাররা ক্যাচটা বার কয়েক মিস করার পর প্র্যাকটিস শেষ করে যখন ধরে ফেলবেন তখন আশু মাথা ঝাঁকাতে ঝাঁকাতে ফিরে আসবেন। না হয় রেগে গিয়ে ব্যাট হাঁকাবেন। আমাদের ক্রিকেটের ঈশপীয় গল্প চলতে থাকবে।
কিন্তু-
তামিমের মাঠমাতানোর দিনে ঢাকার হয়ে জাতীয় লীগের খেলায় আশরাফুল ৩ বল খেলে ০০ রানে আউট !!!!!!!!!!!!!!!!!!!
ফলে-
আশুকে বাদ দিয়ে যে নির্বাচকরা ডিজিটাল মহাভারত অশুদ্ধ করে ফেলেছেন সেটা আর শুভ্র লিখতে পারলেন না।
বড়োই আফসুস !!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!
কানে কানে বলি-''শুভ্র আজ প্রথম আলোয় তামিমের প্রসংশায় পঞ্চমুখ হয়েছেন!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!
হায় আশু !!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!
হায় শুভ্র !!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।