"জানালার ওপাশের অন্ধকার থেকে আমার সঙ্গীরা আমায় ডাকে..একদিন যাদের সঙ্গ পেয়ে আজ নিসঙ্গ্তায় ডুবেছি"-(শঙ্খনীল কারাগার)হুমায়ূন আহমেদ বাড়ি যাবার তাগাদা, তারপরও পারিনি প্রিয় লেখকের জন্মদিন উপলক্ষ্যে ভালো কিছু লিখতে, মাত্র রাত(১। ০০-৫। ০০) ৪ ঘন্টায় টায় কি তার সম্পর্কে সব লেখা সম্ভব । ভুলভ্রান্তিগুলো নিজ গুনে ক্ষমা করবেন সবাই
লেখাটি ই বুকে প্রকাশিত লিঙ্ক স্বপ্নলোকের কারিগর
হুমায়ুন আহমেদ ,যার লেখনির কথা ভাবলেই মধ্যবিত্ত সমাজের একটা সাধারণ
প্রতিচ্ছবি আমাদের সামনে ভেসে উঠে। যেখানে এক ঝাকে চলে আসে কত গুলো
পরিচিত চেহারা ।
এরা যেন আমাদের নিত্য দিনের জীবনের ই কোন এক কোণায়
বসবাসরত একেকজন বাস্তব চরিত্র ,হুম আসলেই তো তাই । কারণ তার লেখা পড়লেই
আমরা যেন আমাদের সামনে বাস্তব চিত্র টাই দেখতে পাই ।
তার বই পড়া শুরু করার কথা বলতে গেলে অনেকটাই নাটকীয় ,সেই ষষ্ঠ শ্রেনীতে
নিন্ম মাধ্যমিক বই কিনার সময় খালামণির কিনে দেয়া “হিমুর দ্বিতীয়
প্রহর” এরপর থেকেই শুরু তার একের পর এক বই পড়া । এই বইটা পড়ার পর মনে
হয়েছিল যেন আমার আগ্রহ যেন শেষ হয়নি আরেকটু রয়ে গেছে । কারণ এরপর হিমু
কি করলো রুপার ই বা কি হল এই হিমুর শেষ গতি কোথায় ।
তার এই অজানা চলার
পথের কি আসলেই কোন শেষ আছে নাকি বোহেমিয়ান এর মত সে সারাজীবন চলতেই
থাকবে। এখানেই হুমায়ুন আহমেদ এর লেখার আসল আকর্ষণ । “শেষ হয়েও হইলো না
শেষ”এরকম একটা আকাঙ্খা ও দুঃখ বোধ থাকলেও পাঠক কিন্তু এই শেষ না হওয়া তা
তেই যেন বেশি তৃপ্তি পায় ।
সেই প্রথম লেখা “নন্দিত নরকে” দিয়ে শুরু । এটা পড়ে শেষ করার পর কতক্ষন
স্তব্ধ হয়ে বসে ছিলাম ।
ব্যাপার টা এরকম ছিল যেন আমি মোহাগ্রস্ত হয়ে
চারদিক দেখছিলাম। যেন ঘটনা টা আমার চারপাশে কোথায় ঘটলো । মধ্যবিত্তের
চাওয়া পাওয়া তাদের আকুলতা ব্যাকুলতা স্বভাবতই তার লেখাকে নিয়ে গিয়েছে
অন্য একমাত্রায় । এরপর এলো “শঙ্খনীল কারাগার” একই ……… এই দুই বই যেন
আমার ভিতর থেকে কিছু ভাবার মত সত্তা টাকে বের করে নিয়ে আসলো । এই দুই বই
পড়েছে অথচ তার অন্তরে লেখার প্রতিটি অক্ষর অক্ষরে প্রতিটা শব্দে বাক্য
কে নিয়ে আমি বার বার করে পড়েছি ।
তবে আমি তো আর সেই গবেষক নেই যে এর
তাৎপয বের করাও আমার পক্ষে সম্ভব নয় । তবে আমার
অসম্ভব প্রিয় একটা লাইন “"জানালার ওপাশের অন্ধকার থেকে আমার সঙ্গীরা
আমায় ডাকে..একদিন যাদের সঙ্গ পেয়ে আজ নিসঙ্গ্তায় ডুবেছি” জানি না কেন
বা কো মুহূর্তে এই লাইন টা আমার পড়া হয়েছিল তবে অনেক জায়গাতই আমি আমার
এই প্রিয় লাইন টা না দেখলে আসলে শান্তি পাই না। যেমন নিজের ব্লগ । সেই
সাথে পড়ন্ত বেলার চিন্তা ভাবনায় ।
শুভ্র ,আমার মনে হয় আমার নিজের জীবনে শুভ্রর মত অনেকটা ছায়া হিসেবে
পেতে চায় ।
এখানে অনেকেই হয়ত অবাক হবেন যে , কেনো এতো জন থাকতে শুভ্র
কেন । সবাই চায় হিমু হবে। এমন কি হুমায়ুন আহমেদ নিজেও প্রায় ই বলেন
বিশ্বের বিভিন্ন দেশেই নাকি দিন দিন হিমুগামীদের সংখ্যা বাড়ছে । তবে আমি
কেন এই দিকে। আমার ব্যক্তিগত ধারনা হল বাস্তব কে নিয়ে ।
যদিও হিমুর
ব্যপার টাও আবার কাল্পনিক নয় । সবটাই তার একান্ত “হিমুতালীয় ” ব্যাপার
স্যাপার । তবুও আমি কেন যেন নিজেকে শুভ্র ভেবে ভেবে মজা পাই । দারুচিনি
দ্বীপের শুভ্রর মত কারো হাত ধরে হাটতেই পছন্দ আমার হিমুর মত রুপাকে এতো
কষ্ট দেবার দলে আমি নেই । অন্যদিকে আমরা দেখি এক পুতুল রাজপুত্রের মত
শান্ত শুভ্র কে ।
যে সবজান্তা েক সন্তান বাবা মায়ের কাছে আর বন্ধুর কাছে
তথাকথিত আতেল!! ।
তবে সে নিজের শিখা ও মেনে নেয়া নীতিতে অটল । যার ফলে
বাবার ব্যবসার অন্ধকার দিক গুলো জেনে সে অনেক অবাক হয়। সবদিক থেকে ধনীর
আদরের দুলাল হিসেবে তকে উপস্থিত করা হলেও ,তর স্পষ্টবাদীতা আমাকে তার
চারিত্রিক দিক গুলো আকর্ষণ করে।
মিসির আলি দ্যা মিস্ট্রি সলভার , তার চিন্তা ধারার গতিপথ টা কেমন যেন
অদ্ভুত ।
সব ব্যাপারে তার চিন্তা ধারার গতিপথ টা যাকে সাসপেন্স বা
অনুমান করা হয় বলে মনে করা হয় । তবে যুক্তি তর্কের বহুদুর গিয়ে । নিজেও
মাঝে মাঝে অবাক হই হুমায়ুন আহমেদ এর এই কাল্পনিক সৃষ্ট চরিত্র টি নিয়ে
। তবে “দেবী” তার ব্যর্থতা আমি মেনে নিতে পারি নি ।
কাল্পনিক গল্প সল্প নিয়ে ভাবলে আমার প্রথম পছন্দ “তারা তিন জন ”মাকড়সা
নামক প্রাণীটার প্রতি আমার আজও ভীতি থাকলেও ,এই গল্পের ওয়ি তিন প্রানীর
প্রতি একরকম মায়াই জন্মে গিয়েছিল ।
যেন আজও শুনি সেই নিওলিথিক সভ্যতার
সেই পাগল করা সুর । এখানেও আবেগ এর কোন ঘাটতি নেই ।
সেই সাথে আরো কিছুর কথা না বললেই নয় “পারুল ও তিনটি কুকুর ”এর পারুল এর
প্রতীক্ষা , “নী”তে শিক্ষকের আদর্শ আমার ছোটো বেলার সরলমনে দাগ কাটার
মত একেকটা উপন্যাস
ছিল ।
আমার এই প্রিয় লেখক আজ অসুস্থ,দেশের বাইরে চিকিৎসায় রত ,জানি না এই
লেখা তার চোখে পড়বে কিনা , তবে পড়লেও জানতে পারতেন যে হিমু নয় একজন
শুভ্র তার শুভকামনা করছে । আমার প্রিয় লেখক সুস্থ হয়ে উঠুক এই আমার
একান্ত কামনা ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।