ইইসমাইল মহান আল্লাহ্ পাক তাঁর কালাম পাকে ইরশাদ করেন,
“সাবধান! নিশ্চয়ই যারা আল্লাহ পাক-এর ওলী তাদের কোন ভয় নেই এবং চিন্তা-পেরেশানীও নেই। ” (সূরা ইউনছ/৬২)
“নিশ্চয়ই বান্দাদের মধ্য হতে একমাত্র আলিমগণই আল্লাহ্ পাককে ভয় করেন। ” (সূরা ফাতির/২৮)
“আল্লাহ্ পাক মু’মিন (আল্লাহ্ওয়ালা)দের অভিভাবক। তিনি তাদেরকে গোমরাহী থেকে হিদায়েতের দিকে নিয়ে যান। ” (সূরা বাক্বারা/২৫৭)
“যারা কাফির, তাদের অভিভাবক শয়তান।
সে তাদেরকে হিদায়েত থেকে গোমরাহীর দিকে নিয়ে যায়। ” (সূরা বাক্বারা/২৫৭)
আখিরী রসূল, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন্ নাবিয়্যীন, হাবীবুল্লাহ্ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন,
“আলিম কে?’ উত্তরে তিনি বলেন, ‘যে ইলম অনুযায়ী আমল করে সেই আলিম। ’ হযরত উমর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু আবার জিজ্ঞাসা করলেন, ‘কোন জিনিস আলিমের অন্তর থেকে ইলমকে বের করে দেয়?’
কা’ব রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বলেন, ‘দুনিয়ার মোহ (লোভ)। ” (মিশকাত)
“নিশ্চয়ই ফক্বীহ (হাক্বীক্বী আলিম) ঐ ব্যক্তি যিনি দুনিয়া থেকে বিরাগ, আখিরাতের দিকে ঝুকে রয়েছেন,গুণাহ থেকে সতর্ক, সর্বদা ইবাদত-বন্দেগীতে মশগুল, পরহিযগার, মুসলমানদের মান-সম্ভ্রম নষ্ট করেন না, তাদের সম্পদের প্রতি লোভ করেন না এবং অধীনস্থ লোকদেরকে নছীহত করেন। ”
হযরত আব্দুল্লাহ বিন উমর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বলেন,
“অধিক হাদীস বর্ণনাকারীই আলিম নয় বরং আলিম হচ্ছেন ঐ ব্যক্তি যিনি আল্লাহ পাককে ভয় করেন।
”
“উত্তম আমীর বা শাসক ঐ ব্যক্তি যে হাক্কানী-রব্বানী পীর-মাশায়িখ বা আলিমগণের দরবারে যাতায়াত করেন আর নিকৃষ্ট আলিম-উলামা বা পীর-মাশায়িখ ঐ ব্যক্তি, যে আমীর বা শাসকদের দরবারে যাতায়াত করে। ”
“হক্কানী-রব্বানী আলিমের ফযীলত একজন আবেদের উপরে এত বেশী, যেমন আমার ফযীলত তোমাদের সাধারণ উম্মতের মাঝে। ”
“যে একজন হক্কানী-রব্বানী আলিমের পিছনে নামায আদায় করলো, সে যেন নবীর পিছনে নামায আদায় করলো। আর যে নবীর পিছনে নামায আদায় করলো, তাকে অবশ্যই ক্ষমা করা হবে। ”
“যে ব্যক্তি কোন হক্কানী আলিমের জিয়ারত করলো, সে যেন আমারই যিয়ারত (সাক্ষাৎ) করলো।
আর যে আমার যিয়ারত করলো, সে অবশ্যই ক্ষমাপ্রাপ্ত হবে। ”
“রাত্রির সামান্য সময় ইলম অর্জনে মশগুল থাকা সারা রাত্র জাগ্রত থেকে ইবাদত-বন্দেগী করার চেয়ে শ্রেষ্ঠ। ”
“কোন মু’মিনের একটি মাসয়ালা শিক্ষা করা এক বছর নফল ইবাদতের চেয়ে উত্তম এবং ইসমাঈল বংশীয় একজন গোলাম আযাদ করা অপেক্ষা উত্তম আর নিশ্চয়ই ইলম অর্জনকারী ব্যক্তি, স্বামীর অনুগতা স্ত্রী এবং পিতা-মাতার অনুগত সন্তান নবীগণের সাথে বিনা হিসাবে জান্নাতে প্রবেশ করবে। ”
“যে ব্যক্তি বাল্যকালে ইলম অর্জন করেনি অতঃপর বয়স্ক হওয়ার পর ইলম অর্জন করতে লাগলো এবং এ অবস্থায় সে মারা গেলে শহীদ হিসেবেই মারা যাবে। ”
“নিশ্চয়ই সর্বনিকৃষ্ট জীব হলো, উলামায়ে ‘ছূ’ বা দুনিয়াদার আলিম আর সর্বোৎকৃষ্ট হলেন উলামায়ে হক্ব।
”
“(কিয়ামতের পূর্বে) কিছু সংখক নামধারী আলিম এমন হবে যারা আসমানের নীচে (যমীনের উপরে) সবচেয়ে নিকৃষ্ট জীব। তাদের দ্বারা ফিৎনা তৈরী হবে এবং তারাই ফিৎনায় পতিত হবে। ”
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।