-আমরা তো শ্লোগান দেই "আল্লাহর আইন চাই, সৎ লোকের শাসন চাই", তাহলে সমস্যা কোথায়?
-সমস্যা হলো গোড়াতেই গলদ।
-সেটা কেমন?
-যেমন জামায়াতে ইসলামীর প্রতিষ্ঠাতা মাওলানা মওদূদী রাজনৈতিক দলের নামে একটা ফিরকা সৃষ্টি করে গিয়েছেন, যার সাথে ইসলামের মৌলিক বিষয়গুলির বৈসাদৃশ্যতা লক্ষনীয়। যে কারনে ঊপমহাদেশের স্কলারগন জামায়াতে ইসলামীকে সত্যিকার ইসলামী আন্দোলন বলে কখনোই স্বীকৃতি দেননি।
-বৈসাদৃশ্যতাগুলি কি জানতে পারি?
-হাজারো বৈসাদৃশ্যের মধ্যে কয়েকটি এরকম: তারা মনে করে "নবীগন নিষ্পাপ নন", "সাহাবাগন সত্যের মাপকাঠি নন", "ইসলাম কোন ধর্ম নয়, একটি বিপ্লবী মতবাদ মাত্র", "কোরআন তাফসিরের জন্য কোন যোগ্যতার দরকার নেই ", "পূর্ববর্তী আলিমগন কোরআন-হাদিস ঠিকমত বোঝেননি, একমাত্র মাওলানা মওদূদী ছাড়া", "হিকমত অবলম্বনের জন্য শরীয়ত বিসর্জন দেয়া যায়", ইত্যাদি।
-কিন্তু ১৯৪১ সালে জামায়াতে ইসলামী গঠনের সময়তো আবুল হাসান আলী নদভী (রহঃ), মনজুর নোমানী (রহঃ) এদের মত অনেক যুগশ্রেষ্ঠ স্কলার সংশ্লিষ্ট ছিলেন।
-হ্যা, অবাক হবেন যে, জামায়াতে ইসলামী-ই পৃথিবীতে একমাত্র সংগঠন যার প্রতিষ্ঠাকালীন সকল সদস্যই উক্ত সংগঠন ত্যাগ করেছিলেন। কেন ত্যাগ করেছিলেন তা সহজেই অনুমেয়।
-জামায়াতে ইসলামী সম্পর্কে সমসাময়িক ইসলামী স্কলারদের মত কিরুপ ছিল?
-হাকীমুল উম্মত আশরাফ আলী থানভী (রহঃ), হুসাইন আহমাদ মাদানী (রহঃ), শাব্বীর আহমাদ উসমানী (রহঃ), মুফতী শফী (রহঃ), জাকারিয়া (রহঃ), ক্বারী তৈয়ব (রহঃ) সহ সমসাময়িক প্রায় সকল স্কলারই জামায়াতে ইসলামীকে প্রত্যাখ্যান করেছিলেন।
-আর বর্তমানে?
-বর্তমানের উলামায়ে কিরামতো "জামায়াতে ইসলামী কোন ইসলামী দলই নয়",-এ রায় দিয়েছেন। তাছাড়া দলটি যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে অভিযুক্ত।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।