২০১১ সালে অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের পরে ক্লেইবানোভার ব্লাড ক্যান্সার ধরা পড়ে। তারপর কোর্টের বাইরে চলে গিয়ে দীর্ঘমেয়াদী চিকিৎসা নেন তিনি। এমন কঠিন মুহূর্তে অনেকেই মনের জোর হারিয়ে ফেলেন। কিন্তু ক্লেইবানোভা ছিলেন ভিন্ন। কখনোই ভয় পাননি, উল্টো কোর্টে প্রত্যাবর্তনের স্বপ্নই নাকি দেখেছেন সবসময়।
বছরের শেষ গ্র্যান্ড স্লাম ইউএস ওপেনের দ্বিতীয় রাউন্ডে ওঠার পথে সোমবার ২৪ বছর বয়সী ক্লেইবানোভা ৬-৪, ৩-৬, ৭-৫ গেমে হারিয়েছেন পুয়ের্তো রিকোর মোনিকা পুয়িগকে। এ জয়ে তাই দারুণ খুশি তিনি। তবে মৃত্যুকে যিনি জয় করতে পারেন, তার মুখে জীবনযুদ্ধের গল্প শুনতেই যেন বেশি আগ্রহী সাংবাদিকরা।
তবে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরে টেনিসে ফেরার প্রেরণার কথাই বললেন ক্লেইবানোভা।
“আমি শুধু কোর্টে ফিরতে চেয়েছিলাম।
সেজন্যে যে কোনো কিছু করতে প্রস্তুত ছিলাম। সুস্থ হয়ে টেনিস খেলতে চেয়েছিলাম। আর আমি মনে করি, এটাই আমাকে অনেক শক্তি জুগিয়েছে। ”
অনেকের কাছেই ক্লেইবানোভা এখন 'রোল মডেল'। তবে তাতে আপত্তি করলেন তিনি।
“অনেকের থেকে শুনেছি যে আমি তাদের জন্য অনুপ্রেরণার। অনেকেই আমাকে অনুসরণ করে। কিন্তু আমি কোনো উদাহরণ হতে চাই না। সবকিছুই আমি করেছি নিজের জন্যে। ”
মাত্র ১৪ বছর বয়সে র্যাঙ্কিংয়ে ২০ নম্বরে উঠে এসেছিলেন ক্লেইবানোভা।
বিরতিতে নেমে গেছেন ৩৬৩ নম্বরে।
ক্লেইবানোভা বলেন, "যখন আপনার সামনে বড় লক্ষ্য থাকে আপনি সবকিছুই করবেন তা ছুঁতে। আমার মনে হয় কিছু মানুষ হয়তো হাল ছেড়ে দেয়, কারণ তারা জানে না তারা কি করতে চায়। "
কিন্তু ক্লেইবানোভার ক্ষেত্রে লক্ষ্যই ছিল জীবন যুদ্ধে জেতা।
"এটা একটা ম্যাচ খেলার মতোই।
আপনি সবকিছু করবেন জয়ী হওয়ার জন্য। নেতিবাচক কিছু না ভেবে বা হাল ছেড়ে না দিয়ে আমি টেনিস খেলতে চেয়েছি। এটা আমাকে মনে জোড় বাড়িয়েছে। "
দ্বিতীয় রাউন্ডে নবম বাছাই সার্বিয়ার ইয়েলেনা ইয়ানকোভিচের বিপক্ষে খেলবেন ক্লেইবানোভা।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।