মানুষ আর প্রাণীর মধ্যে পার্থক্য হলো-চেতনাগত ও সংস্কৃতিগত।
জর্জ হ্যারিসনের ৬৭তম জন্মদিন
আজ ২৪ফেব্রুয়ারি জর্জ হ্যারিসনের ৬৭তম জন্মদিন। শুভ জন্মদিন জর্জ হ্যারিসন। আমরা তোমাকে ভুলিনি। কোনো দিনও ভুলব না।
ভুলিনি আমাদের মুক্তিযুদ্ধে তোমার অবদানের কথা। বাংলাদেশের মানুষের অন্তরে তুমি রবে চিরদিন। তোমার কর্ম আমাদেরকে মানুষের প্রতি মানুষের যে দায়িত্ব_সে সম্পর্কে প্রতিনিয়ত অনুপ্রেরণা যোগাবে। মানুষ থেকে মনুষ্যত্বের মানুষে রূপান্তরিত করবে। http://www.biplobiderkotha.comView this link
জর্জ হ্যারিসন বিশ্ব পপ সঙ্গীতের পুরোধা।
তিনি বিংশ শতাব্দীর একজন কিংবদন্তি গায়ক এবং গিটারিস্ট। এ পরিচয়ের বাইরেও তাঁর বিচরণ ছিল। তিনি ছিলেন সঙ্গীত পরিচালক, রেকর্ড প্রযোজক এবং চলচ্চিত্র প্রযোজক। তিনি ছিলেন বিখ্যাত ব্যান্ড সঙ্গীত দল দ্য বিটল্স এর অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সদস্য।
‘দ্য কনসার্ট ফর বাংলাদেশ’ ১৯৭১ সালে ১ আগষ্টে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক শহরের মেডিসন স্কয়ারে যুদ্ধ কবলিত বাংলাদেশকে রক্ষার জন্য এবং সাহায্যের হাত বাড়াতেই কনসার্টটি আয়োজনের উদ্যোগ নিয়েছিলেন বিট জেনারেশনের সৃষ্টিকারী বিটলস-এর জর্জ হ্যারিসন।
পণ্ডিত রবি শংকরের (ভারত উপমাহাদেশের কিংবদন্তী সেতারবাদক) অনুরোধে জর্জ হ্যারিসন এই বেনিফিট সঙ্গীত অনুষ্ঠানের (কনসার্ট ফর বাংলাদেশ) আয়োজন করেছিলেন। এই কনসার্ট থেকে সংগৃহীত ২,৫০,০০০ ডলার বাংলাদেশের উদ্বাস্তুদের জীবন বাঁচানোর জন্য দেয়া হয়।
সেই কনসার্ট হয়ে গেল কিংবদন্তী । এইটি দেশের স্বাধীনতার সমর্থনে, দেশে চলমান জেনোসাইডের প্রতিবাদে সেই সময়ের সারা বিশ্ব কাপানো সংগীত শিল্পীরা অংশগ্রহণ করেন এই কনসার্টে । মুলত শরনার্থীদের আর্থিক সহযোগিতা এবং স্বাধীনবাংলা বেতার কেন্দ্রের সাহায্যার্থে এই কনসার্টের উদ্যোগ নিয়েছিলেন সেতার সম্রাট রবিশংকর।
সেই উদ্যোগ শুধু আর্থিক সহযোগিতায় সীমাবদ্ধ থাকেনি। বরং বাংলাদেশের অস্তিত্বের কথা, চলমান গণহত্যার কথা, লক্ষ লক্ষ দেশান্তরী শরনার্থীর কথা সারা বিশ্বকে জানিয়ে দিয়েছিল, পাকিস্তানের হত্যাযজ্ঞের বিরুদ্ধে এবং বিশ্ব জনমত গঠনে ভূমিকা রেখেছিল। বরং সেই সময়ে আমেরিকান সরকার বাংলাদেশের জন্মের বিরোধিতা করলেও ওই দেশের জনমত ছিল বাংলাদেশের পক্ষে। জাতিসংঘের ইউনিসেফ জর্জ হ্যারিসনের সেই অবদানের স্মরণে একটি বিশেষ ফাণ্ড তৈরী করেছে ‘দ্য জর্জ হ্যারিসন ফান্ড ফর ইউনিসেফ’।
মূলত: লীড গিটারিস্ট হলেও বিটলসের প্রতিটি এলবামেই জর্জ হ্যারিসনের নিজের লেখা ও সুর দেয়া দু’একটি একক গান থাকতো যা তাঁর প্রতিভার পরিচায়ক ছিল।
ওই সমস্ত গানগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল-ইফ আই নিডেড সামওয়ান, ট্যাক্সম্যান, হোয়াইল মাই গীটার জেন্টলী উইপস্, হেয়ার কামস্ দ্য সান এবং সামথিং।
জর্জ হ্যারিসনের জন্ম ১৯৪৩ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি। তিনি ২০০১ সালের ২৯ নভেম্বর মারা যান।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।