আমরা মানুষ পৃথিবীর শ্রষ্ঠ জীব কিন্তু পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ মা ভক্ত প্রাণীটি যদি হাস হয় তাহলে। হাসই একমাত্র প্রাণী যে ডিম থেকে ফুটে বের হবার পর যে জিনিসটিকেই দেখবে তাকেই সে মা বলে বিবেচনা করে থাকে । অন্য অনেক প্রানীয় আছে যারা প্রথম চোখ তুলে যাকে দেখে তাকেই মা বলে ধরে নেই কিন্তু সেটা কখনওই একটি হাসের মতো নয়। অন্য প্রাণীরা যারা প্রথম দিকে অন্য কিছুকে মা বলে ভাবলেও বড় হয়ে বুঝতে পারে সে আসলে তার মা নয় কিন্তু হাসের ক্ষেত্রে এমনটা ঘটে না । আপনি যদি একটা পুতুলকে তার সামনে রেখে দেন তার জন্মের সময় তাকেই সে মা বলে বিবেচনা করবে।
গ্রাম দেশে দেখা যায় হাস পাওয়া যাচ্ছে না মুরগি দিয়েই হাসের বাচ্চা ফুটিয়েছে । মুরগির পিছনে পিছনে হাসের বাচ্চা ঘুরছে। দৃশ্যটা দেখতে ভালই লাগে। টিভিতে একটা প্রোগ্রামে চোখে পড়েছিল এক লোক হাসের বাচ্চার জন্মের সময় তার কাছে রেখেছিল ডিম গুলো । এখন লোকটা যেখানেই যাচ্ছে গোটা দশ হাসের বাচ্চা তার পিছনে পিছনে যাচ্ছে ।
এমনকি সে যখন বিছানায় ঘুমাচ্ছে হাসের বাচ্চা গুলো তার সাথে সেই বিছানায় ঘুমিয়ে। সবখানে হাঁস গুলো তার পিছু পিছু। আর হাঁসের ভালবেসে জুটি বাধার কথা তো বিখ্যাত। এই জন্যই তো প্রিয় নজরুল বলেছেন মোরা আর জনমে হংস মিথুন ছিলাম। অনেক দেশে হাসকে ভালোবাসার প্রতীক বলে বিবেচনা করা হয়ে থাকে।
মানুষ পৃথিবীর শ্রষ্ঠ জীব হলেও আমরাই জন্মের সময় সবথেকে অসহায় থাকি। আমরা তো জানতোও পারি না তখন আমাদের চারপাশে কি হচ্ছে। আমার মানুষদের সম্পর্ক সবক্ষেত্রেই জটিল হয়ত বেশি বুদ্ধি বলেই আমাদের এই অবস্থা। মা কে চরম ভাবে ভালোবাসলেও তার সাথে কিছু নিয়ে একটা জট বেধেই যায় আর মা কে চরম অবজ্ঞা করে এমন সংখ্যা নেহাত কম নয়। আমাদের মাঝে মা ভক্ত বলে যেমন সুনাম আছে তেমন বদনামও আছে ।
অতিরিক্ত মা ভক্ত স্ত্রীকে সমস্যায় ফেলে। অতিরিক্ত শ্বাশুরী ভক্তি আবার জননীকে কষ্ট দেয়। আমাদের জীবনটাই জটিলতায় ঘেরা । কারন আমরা হাঁস নয়। ও হাঁস বলতে আবার রাজ হাঁসকে বুঝবেন না।
রাজ হাঁস পাতি হাসের মতো আবার এতো মা ভক্ত নয় এর মাঝে কিছু দুষ্টু স্বভাব আছে। চাঞ্চ পেলে আপনাকে কামড়াতে দ্বিধা বোধ করবে না।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।