আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ছোট্ট আরেক রাজপুত্র...

উঁকি দাও ফুল!

আমাদের ছেলেবেলা ছিল অপু-দুর্গার ছেলেবেলার দখলে। পথের পাঁচালী পড়তে গিয়ে অপু আর দুর্গার সাথে নিজেকে একাকার করে নাই, এমন মানুষ কমই দেখেছি। প্রথমবার যখন লিটল প্রিন্স পড়ি, পুরোটাই তাই অতিদ্রুত ভুলে গেছিলাম অনায়াসে। খালি মনে ছিল ক্ষুদে এক রাজকুমার, থাকত এক অ্যাস্টেরয়েড-এ, অনেকগুলো বিচিত্র চরিত্রের সাথে তার দেখা হয়েছিল, আর বেশ মনে গেঁথেও ছিল মাতালের ওই গল্পটা। সেই যে এক মাতাল, আরও বেশি বেশি করে সে মদ খাচ্ছে– যেন সে ভুলে থাকতে পারে।

কী ভুলে থাকতে চাও ভাই মাতাল? বলে লজ্জা, ভীষণ লজ্জা ভুলে থাকতে সে মদ খায়। কিসের লজ্জা? কেন, এই যে আমি মাতাল, তারই লজ্জা! মাতলামির ঘোরে বেচারা ভুলে থাকে তার এই মাতাল হবার লজ্জাটি। সত্যি কথা বলতে কী, ছোটবেলায় প্রথমবার পড়ে বাকি সব দ্রুত বিস্মৃতির অতলে যাবার সহজ কারণ এইটুকুই, বাকি সবের অন্তর্লীন মানে আমি কিছুই ধরতে পারিনি, কেবল ওই মাতালের গল্পটাতে হাস্যরসের আড়ালে যে একটা ঘোর ডাইলেমা আছে, সেটাই আমার বালক-মনে প্রতিদিন-ই আরেকটু করে আবিষ্কার হচ্ছিল। অবমাননা কি করে আরও বেশি অবমাননা ডেকে আনে, চারপাশের সর্বনাশাক্রান্ত মানুষগুলোর দিকে একটু সময় করে তাকালে তা বুঝতে বেশিক্ষণ লাগে না। মরিয়া মানুষগুলো আরও বেশি পতনের চাদর গায়ে জড়িয়ে নেয় অনায়াসে, বস্তিতে যে নারী তার জীবনের ক্রোধের প্রকাশ করে তুমুল গালিতে, অপরের চোখে তার সামাজিক মর্যাদাহীনতা তাকে তো আরও অপভাষীই করে তোলে! তাও কিন্তু নিজেকে ক্ষুদে সেই রাজপুত্রকে বলে চিনতে পারি নাই।

মনে হয়েছে অন্য কোন রাজপুত্রের কাহিনী। ফুটপাথে লিটল প্রিন্সের জহুরুল হকের করা অনুবাদটা একসময় খু্ব সহজলভ্য ছিল। যতবার পেতাম, কিনে নিতাম, প্রচুর বিলিয়েছি, নিজেও পড়েছি অনেকবার। শিশুপাঠ্য বই একে বলে!? এর গভীরে যে শ্লেষ, সম্পর্কিত হবার যে আকাঙ্খা, জীবনের যে আকুতি আর বিচ্ছিন্নতার যে উপলদ্ধি, কিছুতেই তা তো ওদের বোঝার কথা নয়; পরিবারে বাবা-মার নিরাপত্তার বর্মের আড়ালে থাকা শিশুরা নয়, মায়ের আঁচল থেকে বেড়ুনো কিশোরদের যোগ্য বই এটা। ক্রমশঃ বড়দের ছায়া সরে যেতে থাকা, নিজেই 'বড়' হয়ে উঠতে থাকা সেই সময়গুলোতে, বড়দের ‘সময় নেই’ এর সেই পর্বগুলোতে বোধ হয় কিশোরের অভিমান আর উপলদ্ধি দুয়েরই উপযুক্ত খোরাক জোগায় লিটল প্রিন্স।

কিন্তু আরও বেশি করে, বড়দের বই-ই এটা। বড় হতে হতে-ই তাই নিজেকে লিটল প্রিন্স বলে চিনেছে আমার মত যারা আশির দশকে বালক ছিল। যেমন ধরো, এই কাহিনীর ক্ষুদে রাজকুমারের বাস একটা গ্রহানুতে। নিজের গ্রহের এক ফুলের সাথে অভিমান করে সে বেড়িয়ে পড়েছে পর্যটনে। পৃথিবীতে আসার আগে আর যে যে চরিত্রের সাথে তার দেখা হয়, তারাও সবাই থাকে এমনি এক একটা ক্ষুদ্র গ্রহানুতে।

কারা তারা? তাদের কেউ মাতাল (সে মাতাল কারণ তার মাতলামির লজ্জা ভুলতে বিরতিহীন পান করে চলেছে), কেউ ব্যবসায়ী (ছোট্ট সেই রাজকুমারের সাথে যখন তার দেখা, নিজের সম্পত্তির নিকাশ করছে সে। পঞ্চাশ কোটি ষোল লক্ষ বাইশ হাজার সাতশ’ একত্রিশ পর্যন্ত গুনেছে, তা গুনছেটা কী? না, আকাশের তারা। বলো তো, যে সম্পদ কেউ ভোগ করতে পারবে না, তা গুনতে থাকা আর আকাশের তারা গোনার তফাত কি? জুপেরির ব্যবসায়ী তাই আকাশের তারাই গোণে, আর ভাবে সে খুব গুরুত্বপূর্ণ একটা কাজ করছে, এক মুহুর্ত তার নষ্ট করার মত সময় নাই!), কেউ কর্মক্লান্ত হুকুমের দাস বাতিওয়ালা (তার দুনিয়ায় এত এত দ্রুত সূর্যাস্ত হতে থাকে, বিশ্রামের সময় কৈ তার!), কেউ দেমাগী তারকা (দয়া করে তুমি হাততালি দিয়ে একটু প্রশংসা করো না, আর বলো না যে তুমি আমার খুব ভক্ত! আমি তবে টুপি খুলে মাথা নুইয়ে তোমার সালামটা নেই!), কেউ ভূগোলবিদ (বস্তুজগতের সব খবর জ্ঞান আকারে লিখে রেখেছে, কিন্তু ছোট্ট এই মানুষ আর তার সাধের ফুলটুকুর কথা লিখতে সে নারাজ, এরা যে এফেমেরাল!): এতক্ষণে কি বিচ্ছিন্ন গ্রহানুগুলোতে বাসের কোন তাৎপর্য ধরা পড়ল? পাঠক-বুড়োখোকা, তোমাকে নিয়েই তো লেখা এই বইটা। তাইতো! আমরাই সেই ছোটাছুটি করা ট্রেনযাত্রীরা, কিসের জন্য ছুটছি তা নিজেরাই জানি না। “নিজের যায়গায় কেউ কখনো সুখী না”।

এত এত ছোটাছুটির ফলে আমাদের তো সময় নেই, তাই সওদাগর তৃষ্ণানিবারক বড়ি বানায়, যা খেলে এক সপ্তায় নাকি আর তৃষ্ণা পাবে না। হিসেব করে নাকি দেখা গেছে গড়ে তিপান্ন মিনিট বেঁচে যায় ওতে। ‍“নিজের মত করে ‍‍‍‍‌‌‌তিপান্ন মিনিট সময় পেলে আমি তো ঝর্নার ধারে গিয়ে আয়েস করে পানি-ই খেতাম” বিস্মিত রাজপুত্র ভাবে। পৃথিবী ভ্রমনের শুরুতেই রাজপুত্র দেখা পেল এক সাপের। রাজপুত্র তাকে যখন বলল, মানুষজন সব কই? মরুভূমির মাঝে খুব একা লাগে! সাপের সোজাসাপ্টা জবাব, মানুষজনের মধ্যে তোমার আরও বেশি একা লাগবে! সাপ খুব হেঁয়ালি করে কথা বলে, রাজকুমারের এই অনুযোগে সাপ বলে: আমি সব হেঁয়ালির সমাধানও করি।

অমনি কী এক রহস্যময় গোপন যোগাযোগ ঘটে যায় দু’জনের মাঝে! তারপর আসে সেই অবিস্মরণীয় শেয়াল। রাজপুত্রকে সে ভালবাসতে শেখায়। ভালবাসার যাতনা শেয়াল জানে, রাজপুত্রকে তাও শেখায় সে। ভালবাসা কী? ধরো, শেয়াল রুটি খায় না, কিন্ত রাজপুত্র যখন থাকবে না, তখন গমের সোনালী শীষের ঢেউ তাকে রাজপুত্রের কথা মনে করিয়ে দেব। শেয়ালের কাছে ভালবাসা হল প্রকৃতির সব কিছুকে আপন করতে শেখা, যা কিছু আপন, তার জন্য দায়িত্বশীল হতে শেখা।

এটাও আজব না যে, আমার পড়া খুব কম অসাধরণ শিশুপাঠ্য গ্রন্থই শিশুদের দায়িত্ববান হতে প্রত্যক্ষভাবে উৎসাহিত করে! কারণটা খুব সহজ। দায়িত্বের উস্কানি প্রায়ই সাহিত্যের বারোটা বাজায়। সাহিত্য আর দায়িত্ব একসাথে করার জন্য প্রায় তলস্তয়ীয় মেধা আর সাহস দুটোই লাগে। আতোয়াঁ সাঁ দু জুপেরি কিন্তু নিসংকোচে দায়িত্বের কথা বলেন, কেন তোমাকে দায়িত্বশীল হয়ে উঠতে হবে তার উত্তর তার কাছে সহজ: তুমি যে ফুলটাকে ভালবাস! এই পৃথিবীতে লক্ষ লক্ষ পুষ্প থাকতে পারে, কিন্তু তোমারটি তো অনন্য। জুপেরিঁ তাই রীতিমতো ছবি এঁকে এঁকে দেখিয়েছেন কিভাবে আর সব ফুলের চারার থেকে বাওবাবকে আলাদা করে চিনতে হবে, বাওবাব চারা অবস্থাতেই কেন উপরে ফেলতে হবে, আগ্নেয়গিরিগুলোর যত্ন নিতে হবে, আর দৃষ্টান্ত হিসেবে এঁকে দেন কোন এক গ্রহানুবাসী তার প্রাত্যহিক দায়িত্বে অবহেলা করায় কীকরে তার পুরো গ্রহটাই বিপন্ন হয়েছিল! ওই দৃষ্টান্তের ছবিটাই নাকি সবচে' ভাল হয়েছে, জুপেরিঁ বুক ফুলিয়ে তা জানিয়েও দেন।

“হয়তো তোমরা আমাকে বলবে এই বইয়ে বাওবাব গাছের মত সুন্দর ছবি আর নেই কেন? ... ছবিটার প্রয়োজনের প্রেরণাই-শক্তিই আমাকে পরিচালিত করেছিল যে, তাই। ‍” আর আশ্চর্য, গল্পের ঘোরের মাঝে ঢুকে পড়লে কখনোই জুপেরীকে উপদেশপ্রবণ বলে মনে হবে না, গড়িয়ে দেয়া সুতোর বলের মত অনায়াসে সে বিস্তৃত হতে থাকে। অবশ্য আর সব নীতিবাগিশের ধরনে শিশুকে ঠিক সত্য কথা বলিবে, সৎ কর্ম করিবে বা এই জাতীয় সদুপদেশ দেননি জুপেরিঁ, বরং তার তাড়না কিশোরকে এক ধরনের আত্মন্মোচনের দিকে ঠেলে দেয়, জুপেরির গল্পটা কিশোরকে আসলে 'বড়' হয়েই উঠতে বলে। এই মারতে আসবে যে! জুপেরি বার বার বরং বড়দের বিরুদ্ধে বলেছেন, তাদের বড় হয়ে ওঠা মানে তো বস্তুর রূপ, রঙ রস হারিয়ে দামই একমাত্র নির্ধারক হয়ে ওঠে। সময় নেই বলে নিজের কাছ থেকেই ক্রমশঃ দূরে সরে গিয়ে তারা একেকটা বিচ্ছিন্ন গ্রহানুর বাসিন্দা হয়।

ছবিটাকেও তারা বাইরে দিয়েই বুঝতে চায়, তাই শিশুর কল্পনায় যা একটা হাতি গিলে ফেলা আজদাহা, তাই তাদের সাদা চোখে একটা হ্যাট ছাড়া আর কিছুই না। এ কারণেই সর্পদংশন আমার কাছে খুব প্রতিকী মনে হয়, আক্ষরিক অর্থে এর মানে হয় তার জীবনাবসান। এই আধুনিক রূপকথায় ক্ষুদে রাজকুমার এই জীবনাবসানেই আবার ফিরে যাচ্ছে তার নিজের গ্রহানুতে। কিন্ত ফিরে যাবার আগের রাজকুমার আর এ কি একই রাজকুমার? না তো! যে ফিরে যায়, আর যে এসেছিল তারা দু’জন তো এক লোক নয় মোটেই। এতগুলো বিচ্ছিন্ন গ্রহানুর মানুষদের সঙ্গের অভিজ্ঞতা কি তাকে আর বালক থাকতে দেবে? পৃথিবীর বাগানের হাজারটা ফুলের সাথে আমার নিজস্ব ফুলটার তফাত করার যে জ্ঞান শেয়ালের কাছ থেকে সে অর্জন করল, তাও তো তাকে আগের সেই রাজকুমার রাখবে না।

ফলে মৃত্যুর এখানে একটা রূপক মানে দাঁড়ায়, নিজের ফুলটার কাছে ফেরত যাবার অর্থে রাজপুত্র তখন এক রূপান্তরিত মানুষ, যে ভালবাসতে শিখেছে। আর রূপকথার রূপক বাদ দিলে পৃথিবীর অর্থে তো দাঁড়ায় তার বালকত্বের অবসান ঘটেছে। সে এখন প্রবেশ করেছে বড়দের জগতে। আর ওই কারণেই বিষ খুব জরুরি রূপক। কিশোর থেকে তরুণে রূপান্তরের পর্বটা খুব বিষাক্ত নয় কি? তাই হয়তো রাজপুত্রের কিশোরত্বের অবসান হয় সর্পদংশনে।

এক পৃথিবীর বিচ্ছিন্নতার তেতো বিষাক্ত জ্ঞান নিয়ে এইবার কিশোর তুমি ঢুকে পড় বড়দের জগতে, সেইখানে এক একটা খুপরীর মাঝে বসে আছে ভারিক্কী বড় মানুষেরা, তারা যখন ছুটছে, তখনও খুপরির অভিশাপটা থেকে তাদের মুক্তি নাই। পাঠক বুঝতে পারবেন, জুপেরি এমন বড়দের দুনিয়া চান না বলেই ছোটদের জন্য এই বইটা লেখা, যেন তারা একদিন এমন বড় হয়ে ওঠে যে, নিষ্পাপতা থেকে অভিজ্ঞতার পর্ব সেরে যেন আবার তাদের নিষ্পাপ রূপান্তরটাই ঘটে। আশির দশকের বালক-পাঠক আমার কাছে বইটার সেই তাৎপর্য ধরা পড়ে নাই, যেটা হয়তো আজকের স্পর্শকাতর কম বয়েসী পাঠকের কাছে মূহুর্তেই ধরা পড়বে। কারণ? কারণ সময়ের পার্থক্য। মধ্যবিত্ত বাবারা (মার তো প্রশ্নই আসে না) “উহু বিরক্ত করো না” বা “আহ্, আমার সময় নাই তো” বলতে ঠিক তখনো শেখেনি, সিবলিং রাইভালরি বলে কোন রোগও তো তখনো এই ঢাকা শহরে আসে নাই, কাজেই আমরা যদি অল্প বয়েসে এই বইটার মানে ধরতে না পারি, খুব হয়তো দোষ দেয়া যাবে না, ফরাসি দেশের বাসিন্দা জুপেরিঁর মহাদেশে এই সময়হীনতার মহামারী তো শুরু হয়েছে আরো শ’খানেক বছরেরও আগে, আমাদের দেশে বোধহয় নব্বই এর দশকের পর।

আজ তাই এত এত যন্ত্র আমরা বানাই আমাদের সময় বাঁচাতে, দিন শেষে ঠিকই আমাদের সময়ে যেন কারা চুরি করে নিয়ে যায়। বড় হতে হতে বহুবার তাই বইটার কাছে ফিরতে হয়েছে। বাংলা অনুবাদ আমার জানা মতে হয়েছে পাঁচ-পাঁচটি! প্রথমবার জহুরুল হক, ষাটের দশকে বোধহয় করেছিলেন। তারপর আসাদ চৌধুরী। বাংলা একাডেমি বের করেছিল '৮২ সালে।

ঢাকাস্থ অলিয়সঁ ফ্রঁসেজ একটা অনুবাদ প্রকাশ করে, সম্ভবত অখাদ্যতম বাংলার নিদর্শন এটা, বেরিয়েছিল '৯৫ এর পর কোন একটি বইমেলায়। সামহয়্যার ব্লগে পুতুল করেছেন আরেকটা অনুবাদ। পঞ্চমটা নৃ। আমার ব্লগে। আসছে বইমেলায় প্রকাশ পাবে এটি, আমার প্রিয়তম বইটির অনুবাদক হবার তালিকায় যুক্ত হওয়ায় নৃ-কে জানাই ঈর্ষাতুর অভিনন্দন।

আজকের কিশোররা ক্ষুদে ওই রাজপুত্রকে নিজেকে বলেই চিনতে পারবে, অনায়াসে। আমার কাছে তাই যে ছিল আরেক রাজপুত্র, ওরা তাকে আর অপর ভাবতে পারবে না। বলতে গেলে সদ্যই আমরা এই হৃদয়হীন, খুপরিবদ্ধ জগতে ঢুকে পড়েছি, আমাদের আস্ত সমাজটাকে নিয়ে। জানি না, হয়তো পথের পাঁচালির যুগ অপসৃয়মান। ***** কাহিনীটা তো এই আলোচনার চেয়ে অনেক সোজা ছিল, পাঠকরা এই প্রশ্ন করতেই পারে।

ওর উত্তরও জুপেরি দিয়ে রেখেছেন জ্যোর্ত্যিবিদ নিয়ে কাহিনীটায়, ওই যে আমিও তো বড় হয়েছি, তোমরাও। এখন যদি বলি, বইটা ভাল, তোমরা বিশ্বাস করবে না। যদি বলি, এর মাঝে এত এত জটিল কথা আছে, এর অত অত মানে হয়, আমার পক্ষে অমুক অমুক পণ্ডিত এই এই বলেছেন; অমনি সবাই একমত হবে।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।