আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বিএসএফের সহায়তায় বাংলাদেশের ভেতরে ঢুকে মাছ ধরছে ভারতীয়রা


জৈন্তাপুর সীমান্তে বিএসএফ বাংলাদেশের ২শ’ গজ ভেতরে প্রবেশ করে ভারতীয় নাগরিকদের দিয়ে ডিবির হাওর ও কেন্দ্রী বিলে মাছ ধরতে সহযোগিতা করছে। এক মাস ধরে এ এলাকায় বিএসএফ ও বিডিআরের মধ্য একাধিকবার গোলাগুলি, বিডিআরকে ধরে নিয়ে যাওয়া এবং সীমান্তে বিএসএফ ভারী অস্ত্র ও সৈন্য বৃদ্ধি অব্যাহত রাখায় এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। গতকাল সকাল ৯টায় জৈন্তাপুর ডিবির হাওর ও কেন্দ্রী সীমান্তের ১২৮৪ নং পিলারের পাশে ভারতীয় মুক্তাপুর এলাকার বিএসএফের সহযোগিতায় ভারতীয় নাগরিকরা বিলে মাছ ধরতে এলে বিডিআর তাদের মাছ ধরতে বাধা দেয়। বিডিআরের বাধা উপেক্ষা করে তারা মাছ ধরা অব্যাহত রাখে এবং ধীরে ধীরে লোকবল বৃদ্ধি করে। অপরদিকে বিএসএফ সীমান্তে ভারী অস্ত্র ও সৈন্য সমাবেশ করতে থাকে।

একপর্যায়ে ১০/১২ জন বিএসএফ সদস্য বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট পরিহিত অবস্থায় বাংলাদেশের সীমান্ত পিলারের প্রায় ২শ’ গজ ভেতরে প্রবেশ করে। তখন বিডিআর বিএসএফকে ভারতীয় সীমান্তে চলে যেতে অনুরোধ করে। কিন্তু বিএসএফ বিডিআরের বাধায় সাড়া না দিয়ে ভারতীয় নাগরিকদের মাছ ধরতে উত্সাহ দিতে থাকে। বিডিআর বাহিনী হ্যান্ড মাইকে বারবার তাদের ভারতের সীমান্তে চলে যাওয়ার অনুরোধ করে এবং পতাকা বৈঠকের আহ্বান জানায়। এতে বিএসএফ সাড়া দেয়নি।

স্থানীয় এলাকাবাসী উত্তেজিত হয়ে লাঠিসোটা নিয়ে বিএসএফ ও ভারতীয় নাগরিকদের দাওয়া করে। সকাল থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত এ অবস্থা চলতে থাকে। একপর্যায়ে ধাওয়া খেয়ে বিএসএফ ও ভারতীয় নাগরিকরা চলে যেতে বাধ্য হয়। এদিকে স্থানীয় ডিবির হাওর এলাকার আবদুল মনাফ ও সুলোমান মিয়া জানান, ’৭১ সালে অস্ত্র হাতে নিয়ে আমরা যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছি। বাংলাদেশের এক ইঞ্চি ভূমিও কাউকে দেব না, প্রয়োজনে আবারও আমরা অস্ত্র হাতে নেবে।

এ রকম মনোভাব নিয়ে বিডিআরকে সহযোগিতা করেন বৃদ্ধ মুক্তিযোদ্ধাসহ শত শত এলাকাবাসী। তারা সরকারের কাছে সীমান্তের বিরোধপূর্ণ ভূমির বিষয়ে ভারতের সঙ্গে মীমাংসা করে শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করার সুযোগ করে দেয়ার জন্য অনুরোধ করেন। উল্লেখ্য, গত ৪ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু করে প্রতিনিয়ত ডিবির হাওর এলাকায় বিডিআর ও বিএসএফের মধ্যে উত্তেজনা চলে আসছে। এসব ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্থানীয় নারী ও শিশুরা বাড়িঘর ছেড়ে নিরাপদে চলে গেছে। শ্রমিক ও কৃষকরা এলাকায় অবস্থান করছেন।

বর্তমানে অনেকেই বেকার হয়ে পড়েছেন।
 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.