আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

জামাতের খাৎনা ও তত্ত্বাবাধায়কের লীলা খেলা (রিপোস্ট)



অবশেষে জামাতের খাৎনা সম্পাদিত হল। সম্পাদন করল জামাত নিজেই। তাদের জেহাদী জোশ আর মালে গনিমাৎ-এর হিসাব নিকাশ গড়মিল করে নিবন্ধিত হল জাতীয় নির্বাচন কমিশনে। জানিনা খাৎনার চিৎকারে নিজামীর অত্নরাত্না কেঁপে উঠেছিলো কিনা!! মুজাহিদীর সাথে সাথে প্রধান উপদেষ্টা দুঃখিত হয়েছিলেন কিনা!! শুধু এটুকু জানা যে কাগজে কলমে জামাতের খাৎনা সম্পাদিত হয়েছে। জামাত অত্যন্ত শক্তিশালী এবং সংগঠিত একটি দল।

তারা কাগজে কলমে বদলে গিয়েছে বলে যে তাদের আচরন বদল হবে- এটি অবিশ্বাস্য এবং আকাশ কুসুম কল্পনা মাত্র। তবে এই খাৎনার ফলে জামাতের প্রধান সুবিধা হল তারা এখন আওয়ামী লীগের সাথে মহাজোটেও শরিক হয়ে জামাত আদায় করতে পারবে। কারন এখন এটি আর ধর্মভিত্তিক দল নয়। জামাতের এখন প্রধান কাজ হবে চারদল থেকে ডিগবাজী খেয়ে চৌদ্দ দল বা মহাজোটে শরিক হওয়া। কারন রাজনৈতিক দলগুলোর নিবন্ধন নির্বাচন কমিশন করলেও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এবং গণতান্ত্রিকমনার সার্টিফিকেট একমাত্র চৌদ্দ দলই দেয়।

এরশাদ গণতান্ত্রিক দলের সার্টিফিকেট পেয়ে গেছেন। ইনশাল্লাহ জামাতও পাবেন। সেই নেতৃবৃন্দ, সেই রাজনৈতিক দল, সেই পুরানো নৈরাজ্যের দিকে ক্রমশ এগিয়ে যাচ্ছে দেশ। মাঝখানে এক টিকিটে দুই ছবি( অবশ্যই বিশেষ ধরনের ইংরেজী ছবি)-এর মত জাতি দেখে নিচ্ছে তত্বাবধায়ক সরকারের লীলা খেলা। কখনও প্রধান উপদেষ্টা খেলছেন, কখনও খেলছেন হোসেন জিল্লুর... সোনাধনরা খেলে যাও.... (এই লিখাটি ২০০৮ সালের অক্টোবর মাসের ২১ তারিখে লিখেছিলাম।

জামায়াতের কার্যক্রম দেখে আবার লিখলাম। আমরা একটি চক্রে আটকে আছি। এই চক্র থেকে কবে মুক্তি পাবো জানিনা। তবে সুদিন আসবেই। আর সুদিনের অপেক্ষায় আমরা বেঁচে থাকি।

আমাদের সন্তানরা বড় হয়। এই দেশ ছাড়া তাদের যাওয়ার যে আর কোন জায়গা নেই...)

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.