ভবন ধসের ৯৬ ঘণ্টা পরও সাভারের রানা প্লাজার ধ্বংসস্তূপের মধ্যে এখনো প্রাণের সন্ধান অব্যাহত আছে। ধ্বংসস্তূপের মধ্যে উদ্ধারকর্মীরা এখনো বেঁচে থাকা মানুষের ক্ষীণ কণ্ঠের আকুতি শুনছেন। তবে তাঁদের জীবিত উদ্ধার করার সম্ভাবনা প্রায় শেষ হয়ে এসেছে বলে বলছেন উদ্ধারকর্মীরা। তার পরও হাল ছাড়ছেন না কেউ।
৭২ ঘণ্টা পার হলে ভারী যন্ত্র ব্যবহার করে ধ্বংসস্তূপ সরানোর কথা।
মনে করা হয়, এরপর আর বেঁচে থাকার সম্ভাবনা থাকে না। অথচ ৭২ ঘণ্টা পরও ধ্বংসস্তূপ থেকে জীবিতদের উদ্ধার করা হচ্ছে।
গতকাল শনিবার রাতে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) বলেছে, বর্তমানে যেভাবে সুড়ঙ্গ করে উদ্ধার অভিযান চলছে, এভাবেই তা চলবে ভোর ছয়টা পর্যন্ত। এরপর শুরু হবে অনুসন্ধান। অনুসন্ধানে কারও বেঁচে থাকার কোনো লক্ষণ পাওয়া গেলে আবার শুরু হবে উদ্ধার অভিযান।
যখন আর কোনো প্রাণের স্পন্দনই পাওয়া যাবে না, তখনই ব্যবহার হবে ভারী যন্ত্রপাতি।
আজ সকাল ছয়টার পর যান্ত্রিক ও সাধারণ পদ্ধতিতে ধ্বংসস্তূপের মধ্যে অনুসন্ধান শুরু হয়। অনসন্ধান এখনও অব্যাহত আছে। পাশাপাশি ভারী যন্ত্রপাতি প্রস্তুত রাখা হয়েছে। কিন্তু এর ব্যবহার কেবলই পিছিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
এদিকে পরবর্তী করণীয় ঠিক করতে আজ সকাল আটটার দিকে উদ্ধার সমন্বয় কমিটির বৈঠক শুরু হয়েছে। সকাল ১০টা পর্যন্ত বৈঠকের সিদ্ধান্ত জানা যায়নি।
আজ সকাল পর্যন্ত সাভারে ভবনধসের ঘটনায় মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৬৩। উদ্ধার করা লাশের মধ্যে ৩৪৬টি হস্তান্তর করা হয়েছে। এ পর্যন্ত জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে দুই হাজার ৪৩৩ জন।
গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত ২৯ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। এঁদের অনেকেই অক্ষত থাকলেও পানিশূন্যতা, আতঙ্ক আর অক্সিজেনের অভাবে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।
উদ্ধারকর্মী ও বেঁচে আসা মানুষেরা জানিয়েছেন, ধ্বংসস্তূপে প্রচুর লাশ পড়ে আছে। বিশেষ করে, পেছনের সিঁড়িগুলোতে লাশের স্তূপ পড়ে আছে। লাশে পচন ধরায় আশপাশে ব্যাপক দুর্গন্ধ ছড়িয়েছে।
গতকাল দুপুরে অল্প বৃষ্টি হলে দুর্গন্ধ আরও বেড়ে যায়। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।