সত্যেই হোক মোদের লক্ষ্য
৩১। নুবুওওয়াতের একাদশ বৎসরে প্রথম আকাবা হয়।
৩৪২ নুবুওওয়াতের একাদশ বৎসরে স্বশরীরে মি’রাজ শরীফ সংঘঠিত হয়।
৩৩। নুবুওওয়াতের দ্বাদশ বৎসরেই হযরত মাসআব ইবনে উমাইর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু-কে দ্বীনের তালিমের জন্য মদীনা শরীফে পাঠান।
৩৪। নুবুওওয়াতের ত্রয়োদশ বৎসরে বাইয়াতে উকবা সংঘঠিত হয়। এ বছরেই মুসলমানগণ মদীনা শরীফে হিজরত করেন। এ বৎসরেই হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হযরত আবু বকর ছিদ্দীক রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুকে নিয়ে হিজরত করেন এবং ছাওর গুহায় অবস্থান করেন। এর মধ্যে বিভিন্ন ঘটনা সংঘঠিত হয়।
পবিত্র মদীনা শরীফে
প্রথম হিজরীঃ হিজরতের সময় পথিমধ্যে বরিদা বিন হাসিব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে হত্যা করতে এসে নিজেই ৭০জন বাহিনীসহ ইসলাম গ্রহণ করে। অতঃপর কুবায় ১৪দিন অবস'ান করেন এবং সেখানে মসজিদ নির্মাণ করেন। মদীনা শরীফ গমনকালে বতনে ওয়াদি নামক স'ানে ১০০ জন ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমকে নিয়ে জুময়ার নামাজ আদায় করেন এবং সেখানে মসজিদ নির্মাণ করেন। মদীনা শরীফে প্রবেশ করে ৭/৮ মাস হযরত আবু আইউব আনছারী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু-এর গৃহে অবস্থান করেন। এ সময় মসজিদে নববী ও উম্মুল মু’মিনীনগণের কক্ষসমূহ নির্মাণ করা হয়।
এরপর হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সেখান হতে নিজ অবস্থানে যান। এ সকল কক্ষের প্রত্যেকটি দৈর্ঘ্য ১০ হাত, প্রস্থ ৬ হাত এবং উঁচু একজন মানুষ দাঁড়িয়ে হাত উঁচু করে স্পর্শ করতে পারতো। এরপর আযানের প্রবর্তন হয়।
দ্বিতীয় হিজরীঃ ক্বিবলা পরিবর্তন, শাবান মাসে ক্বিবলা পরিবর্তনের আয়াত শরীফ নাযিল হয়। রমজান মাসে বদর যুদ্ধ সংঘঠিত হয়।
এ যুদ্ধে মুসলমানদের সংখ্যা ছিল ৩১৩ জন। আর কাফিরদের সংখ্যা এক হাজার। এ বৎসর যিলহজ্ব মাসে হযরত ফাতেমা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা-এর শাদী মুবারক অনুষ্ঠিত হয়। এ বৎসরই রোজা ফরজ হয়, ফিৎরা দেয়া ওয়াজিব হয়, জামায়াতের সাথে ঈদুল ফিৎরের নামায শুরু হয়।
তৃতীয় হিজরীঃ ওহুদ যুদ্ধ সংঘঠিত হয়, হযরত হাসান রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু জন্ম গ্রহণ করেন।
হযরত হাফসা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু-এর সাথে শাদী মোবারক সুসম্পন্ন হয়। উত্তরাধিকার আইন জারি হয়। এ বৎসর মুশরিক নারীদেরকে বিয়ে করা হারাম করা হয়। হযরত জয়নব রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা-এর সাথে শাদী মুবারক সুসম্পন্ন হয় এ বৎসরই।
চতুর্থ হিজরীঃ হযরত ইমাম হুসাইন রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বিলাদত লাভ করেন।
এ বৎসরই মদ্য পান হারাম হয়, চোরের হাত কাটার দন্ডবিধি জারী হয়। হযরত যায়েদ ইবনে ছাবেত রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুকে হিব্রু ভাষা শিক্ষার জন্য প্রেরণ। রাজির যুদ্ধ, বীরে মাউনা যুদ্ধ, বদরের দ্বিতীয় যুদ্ধ, সারিয়ায়ে বনী ছালমা, সারিয়ায়ে ইবনে উনাইছ ইত্যাদি সংঘটিত হয়। হযরত উম্মে সালমা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা-এর সাথে এ বৎসরই শাদী মুবারক সুসম্পন্ন হয়।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।