আমি ভাল নই!
স্বাধীন বাংলা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ নেতা, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক তারুণ্যের রক্তে স্বাধীনতার উš§াদনা ছড়ানো বক্তা, বঙ্গবন্ধুর øেহভাজন নূরে আলম সিদ্দিকীর ভাষায়, হেরেমের রক্ষিতাদের হীরা-মানিক-মুক্তায় সাজানো যায়, যৌবনের উš§াদনায় প্রাণভরে সোহাগ করা যায়, কিন্তু স্ত্রীর মর্যাদা দিয়ে প্রাসাদে তোলা যায় না। আওয়ামী লীগের রাজনীতির হেরেমের রক্ষিতা বলে তিনি কৌতুকভরে মস্কোপন্থি সিপিবি, ন্যাপ-ছাত্র ইউনিয়নকে বোঝান। কিন্তু হেরেমের রক্ষিতারা তো রাজনৈতিকভাবে দেউলিয়া হয়ে আজ আওয়ামী লীগের প্রাসাদেই আশ্রয় নিয়েছে। সরকার ও দলে তাদের দাপট। এটা দেখতে কেমন লাগে? নূরে আলম সিদ্দিকী দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলেন, মাঝে-মধ্যে মনে হয় যা করেছি তার সবটাই যেন মরীচিকা! স্বাধীনতা উত্তরকালে ছাত্রলীগের যারা বঙ্গবন্ধুর হƒদয়ে ঠাঁই নিয়েছিলেন তাদের কেউই বর্তমান নেতৃত্ব বা সরকারে প্রতিষ্ঠিত নয়।
বিনীতভাবে এটাই বলতে পারি, আওয়ামী লীগকে আওয়ামী লীগের ধারায় প্রবাহিত করতে যে চেষ্টা করেছি তাই আমার জন্য কাল হয়েছে। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলে নেতাকর্মী বহিষ্কার হয় এবং ফিরিয়ে আনার রেওয়াজ রয়েছে। কিন্তু আওয়ামী লীগ করলে তিল তিল দহনে ক্ষত-বিক্ষত হয়ে শেষ হতে হয়, আপনি কি একমত? নূরে আলম সিদ্দিকী বলেন, অন্য দলে বহিষ্কার করে ডাকে, ফিরিয়ে এনে কাজে লাগায়। আওয়ামী লীগে দীপ্তহীন আগুনের নির্দয় দহনে দগ্ধভূত হয়ে রাজনীতি থেকে নির্বাসিত হতে হয়। বিক্ষিপ্তভাবে যারা অন্য দলে গেছেন তারা মানসিক শান্তি পেয়েছেন কিনা জানি না তবে অন্তত ক্ষমতার আস্বাদ পেয়েছেন।
অন্যদিকে যারা বঙ্গবন্ধুর চামড়ায় ঢোল আর হাড্ডি দিয়ে ডুগডুগি বাজাতেন তারা আজ দোর্দণ্ড প্রতাপে রাজনীতি ও ক্ষমতা পেয়েছেন। আর এদিকে দলে অসংখ্য, অগণিত নেতাকর্মী শুধু যোগ্য স্থান বঞ্চিতই নন, রাজনীতি থেকে হয়েছেন নিষ্ক্রিয়, অচ্যুত না হয় হতাশ। তিনি বলেন, তাকে এই অপ্রাপ্তি অতীব ব্যথিত করে না। কারণ বঙ্গবন্ধুর অপত্যøেহ, আন্তরিকতা, জেলে একসঙ্গে ১৭ মাসের একান্ত সান্নিধ্য লাভসহ দীর্ঘ সাহচর্য তাকে উজ্জীবিত রাখে। রাখে বলেই উপক্ষো, অনাদর, অবহেলা, অবমূল্যায়ন সহ্য করেও তিনি আদর্শবিচ্যুত হননি।
কোনো দলে যাননি। জিয়া-এরশাদের সঙ্গে যোগ দেননি। এমনকি ব্যবসা-বাণিজ্যেও কারো অনুকম্পা লাভ করেননি। কত শাসক এলো-গেল আল্লাহর রহমতে তাকে দুর্নীতির কলঙ্কের তিলক পরাতে পারেনি। রাজনৈতিক অঙ্গনে তার আদর্শবান, দুর্নীতিমুক্ত চরিত্র বড় অহংকার বলে তিনি মনে করেন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।