মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ করেন, “হে হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনি (উম্মতদেরকে) বলুন, আমি তোমাদের নিকট কোনো প্রতিদান চাই না। তবে আমার নিকটজন তথা হযরত আহলে বাইত শরীফ উনাদের প্রতি সদাচরণ করবে। ” (সূরা শূরা: আয়াত শরীফ ২৩)
হাদীছ শরীফ এ ইরশাদ হয়েছে যে, “হযরত জাবির রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বলেন, আমি সাইয়্যিদুনা রসূলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে দেখেছি, তিনি (বিদায়) হজ্জে আরাফার দিন উনার ‘কাসওয়া’ নামক উষ্ট্রীর উপর সওয়ার অবস্থায় খুতবা দান করছেন। আমি শুনেছি, তিনি খুতবায় বলেছেন, হে লোক সকল! আমি তোমাদের মাঝে এমন বিষয় রেখে যাচ্ছি, তোমরা যদি শক্তভাবে ধরে রাখো, তবে কখনো গুমরাহ হবে না। তাহলো মহান আল্লাহ পাক উনার কিতাব ও আমার ইতরাত তথা হযরত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনারা।
(তিরমিযী শরীফ, মিশকাত শরীফ)
মশহূর ও ছহীহ্ মতে, নুরে মুজাসসাম হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ৪ জন ছেলে ও ৪ জন মেয়ে আলাইহিমাস সালাম দুনিয়াতে তাশরীফ নিয়েছিলেন। নিচে নুরে মুজাসসাম হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ছেলে হযরত ইবরাহীম আলাইহিস সালাম উনার সম্পর্কে আলোচনা করা হলঃ
* হযরত ইবরাহীম আলাইহিস সালাম তিনি নুরে মুজাসসাম হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সর্বশেষ সন্তান।
* তিনি উম্মুল মু’মিনীন হযরত মারিয়া বিনতে কিবতিয়া আলাইহাস সালাম উনার পবিত্র রেহেম শরীফ-এ তাশরীফ নেন।
* তিনি অষ্টম হিজরীতে মদীনা শরীফ-এর উপকন্ঠে আলিয়া নামক স্থানে বিলাদত শরীফ লাভ করেন।
* উনার বিলাদত শরীফ-এর সপ্তম দিবসে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আকীকা মুবারক সম্পন্ন করেন।
উনার মাথা মুবারক মুন্ডন করে চুল মুবারক-এর ওজন পরিমাণ রূপা ছদকা করেন এবং নাম রাখেন হযরত “ইবরাহীম” আলাইহিস সালাম।
* হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার বর্ণনা মতে, হযরত ইবরাহীম আলাইহিস সালাম ১৮ মাস দুনিয়াবী হায়াত মুবারক-এ ছিলেন।
* হযরত ইবরাহীম আলাইহিস সালাম দশম হিজরীর মাহে রবিউল আউয়াল শরীফ-এর ১০ তারিখ মঙ্গলবার বিছাল শরীফ লাভ করেন।
* নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম স্বয়ং উনার জানাযার নামায পড়িয়েছেন।
মহান আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীন তিনি আরো ইরশাদ করেন, “হে আহলে বাইতগণ! মহান আল্লাহ পাক তিনি চান আপনাদের থেকে অপবিত্রতা দূর করতে এবং আপনাদেরকে পূর্ণরূপে পূত-পবিত্র রাখতে।
” (সূরা আযহাব : আয়াত শরীফ ৩৩)
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বলেন, “রসূলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ করেছেন, তোমরা আল্লাহ পাক উনাকে মুহব্বত করো। কেননা, তিনি তোমাদের প্রতি খাদ্যসামগ্রীর মাধ্যমে অনুগ্রহ করে থাকেন। আর আমাকে মুহব্বত করো আল্লাহ পাক উনার মুহব্বতে, যেহেতু আমি আল্লাহ পাক উনার হাবীব। আর আমার আহলে বাইত উনাদেরকে মুহব্বত করো আমার মুহব্বতে। ” (তিরমিযী শরীফ)
তাই উপরোক্ত আয়াত শরীফ ও হাদীছ শরীফ-এর মাধ্যমে সহজে উপলদ্ধি করা যায় হযরত আহলে বাইত আলাইহিমুস সালাম উনাদের সম্পর্কে জানা ও উনাদের মুহব্বত করা ঈমানের অংশ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।