সত্যেই হোক মোদের লক্ষ্য
২১। ৪০ বৎসর বয়স মুবারকে তৃতীয়বার সিনা মুবারক চাক করা হয়, ওহী নাযিল হয় এবং আনুষ্ঠানিকভাবে নুবুওওয়াত ঘোষণা করা হয়।
২২। নুবুওওয়াত প্রাপ্তির তৃতীয় বৎসর পর্যন্ত ভিতরে ভিতরে ইসলাম প্রচার করেন।
২৩।
৪৩ বৎসর বয়স মুবারকে প্রকাশ্যে ইসলামের প্রতি আহ্বান জানান। আবু লাহাব তখন বিরোধিতা করেছিল, ফলে ‘সুরা লাহাব’ নাযিল হয়।
২৪। নুবুওওয়াতের ৫ম বৎসরে কাফিরদের অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে আল্লাহ পাক-এর নির্দেশে ১৬ জন, কোন কোন মতে ১৫ জন নারী-পুরুষ নিয়ে আবিসিনিয়ায় প্রথম হিজরত করেন।
২৫।
নুবুওওয়াতের ৬ষ্ট বৎসরে হযরত হামযা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু ও হযরত উমর ফারুক রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু ইসলাম গ্রহণ করেন। তখন হতে প্রকাশ্যে ক্বাবা শরীফে নামাজ পড়া শুরু হয়। তখন মুসলমানের সংখ্যা ছিল যথাক্রমে ৪০/৫৭ জন।
২৬। নুবুওওয়াতের ৭ম বৎসরে চন্দ্র দ্বিখন্ডিত করেন।
২৭। নুবুওওয়াতের ৭ম হতে ১০ম বৎসর পর্যন্ত শিয়াবে আবু তালিবে অবস্থান করেছিলেন। এর দুই মাস পর আবু তালিবের মৃত্যু হয়, তার তিন মাস পর হযরত খাদিজাতুল কুবরা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা-বিছাল শরীফ লাভ করেন। এ দশম বৎসরকে বলা হয়, ‘আমুল হুযন’ অর্থাৎ শোকের বৎসর।
২৮।
নুবুওওয়াতের এ ১০ম বছরের শেষের দিকে হযরত খাদিজা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহার পর, হযরত সাওদা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা এবং হযরত আয়েশা ছিদ্দীক্বা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা (বয়স মুবারক ছিল ৬ বৎসর)-এর সাথে শাদী মুবারক সুসম্পন্ন হয়।
২৯। নুবুওওয়াতের এ দশম বৎসরেই তায়েফ গমন করেন ও প্রত্যাবর্তন করেন। এ সময় জ্বীন সম্প্রদায় ইসলাম গ্রহণ করে।
৩০।
নুবুওওয়াতের দশম বৎসরের শেষে মদীনা শরীফ থেকে লোকজন আগমন করেন ও হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর সাথে সাক্ষাৎ করেন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।