পাখি এক্সপ্রেস
শিবিরকে নিষিদ্ধ করা এখন রাষ্ট্রের প্রধান কাজ হওয়া উচিত। এর কোন বিকল্প নেই। পাশাপাশি জাফর ইকবাল স্যারকে বলা যেতে মগজধোলাই মেশিন নিয়ে একটি গল্প লিখতে। গল্পের সূত্র ধরে একটা মেশিন বানিয়ে নতুন প্রবেশ করা শিবির সমর্থকদের মগজ ধোলাই করার জন্য ছাত্রলীগের বেকার অছাত্রদের দ্বায়িত্ব দেয়া যেতে পারে। তবে বাই ডিফল্ট সব গুলা রিফাইনড আইটি এক্সপার্ট হবে এবং প্রধানমন্ত্রীর ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচীর বাস্তবায়ন করবে।
শিবির বিষয়টা যেহেতু বেশ আলোচিত, সেহেতু শিবিরকে নিষিদ্ধ করলে দেশের ভালোই একটা পরিবর্তন দেখা যাবে। সব পরিবর্তনযে চোখে দেখা যাবে, তা কিন্তু না। কিছু পরিবর্তন লাল-নীলনকশার ষড়যন্ত্রও হতে পারে। বেশ কয়েকজন জ্যোতিষের সম্মিলিত মতামতের ভিত্তিতে নিষিদ্ধ পরবর্তী সম্ভাব্য অবস্থা নিয়ে আজকের এই বুলেট প্রতিবেদন :
নিষিদ্ধ প্রক্রিয়ার পাল্লা শিবিরের প্রতিকূলে যেতে শুরু করলেই সৌদি আরবের ইন্টারনেট স্পীড ডাউন হয়ে যাবে। এমনকি অতিরিক্ত লোডিঙয়ের কারণে মারাত্মক বিপর্যয়ও নামতে পারে।
সৌদি সরকারের সাথে পররাষ্ট্র যোগাযোগে দেশ বিবেচনায় বাংলাদেশ র্যাংকিংয়ে শীর্ষে উঠে আসবে। জামায়াত নেতারা অধিকাংশই নামাজ কাজা করবেন এবং দুরুদশরীফ পড়ার পরিমান বাড়িয়ে দেবেন। কয়েকজন জ্যোতিষ এক্ষেত্রে শিবির নেতাদের আশ্রয়ের জন্য জামায়েতর দৌড়ঝাপের কথা বললেও অন্যরা তা নাকচ করে দিয়ে জামায়াত নেতাদের" চাচা আপন প্রাণ বাঁচা" এবং "জান বাঁচানো ফরজ" এ দুটি হাদিস পাঠের আমলের কথা জানান।
সৌদি এয়ারলাইন্স বাংলাদেশ থেকে বিমান ভাড়া নিয়ে তাদের ফ্লাইট পরিচালনা করবে। এক্ষেত্রে ইন্ডিয়ার সাহায্য নেয়ারও সম্ভাবনা আছে।
প্রায় মসজিদের খুৎবার বয়ানে শিবির বিরোধী ভূমিকা উঠে আসবে। শিবির করে এমন মসজিদের ইমাম বা মুয়াজ্জিন খুঁজে পাওয়া খুব কঠিন হবে।
কওমী এবং প্রাইভেট ক্যাডেট মাদ্রাসা সমূহের সাইনবোর্ডে ব্র্যাকেটে লেখা থাকবে "শিবির মুক্ত" অথবা "জঙ্গীবাদ মুক্ত শিক্ষাব্যবস্থা"।
শিবির নেতাদের মধ্যে যাদের নিকটাত্মীয়দের কেউ আওয়ামীলীগের সাথে সম্পৃক্ত তারা রাতারাতি হাতের কাছের যেকোন কমিটিতে পদ পেয়ে যাবেন। এক্ষেত্রে হকার্স লীগ এবং স্বেচ্ছাসেবক লীগই অগ্রাধিকার পাবে।
ছাত্রলীগের কল্যাণে বঙ্গবন্ধু খুব ব্যস্ত হয়ে যাবেন। তিনি প্রায় সকালের নাস্তা ঠিকমতো করার সুযোগ পাবেন না। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর দেয়ালে, যাতায়াত পথে, ক্লাশরুমে এমনকি টয়লেটের দেয়ালেও লেপ্টে থাকবেন এবং ঝুলে থাকবেন।
খুব কম সময়ের মধ্যেই প্রধানমন্ত্রী ছাত্রলীগের কোন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষন দিতে গিয়ে তাদের কানমলা বক্তব্য দিবেন এবং আকারে ইঙ্গিতে নিজের ঘরে চুরি না করার পরামর্শ দিবেন।
দিগন্ত টেলিভিশনের সংবাদ পাঠিকাদের মাথা থেকে কাপড় নেমে যাবে।
বিটিভিতে মন্ত্রী এমপিদের শ্যালিকাসহ অন্যান্য স্বজনের আনাগোনা বেড়ে যাবে। বস্তাপচা সব জঙগিবাদ সচেতনার অনুষ্ঠান প্রচার হবে।
ব্লগের কি অবস্থা হবে ==>>
ব্লগারদের মধ্য থেকে হাতেগোনা কিছু ব্লগারের আড়ালে প্রচুর নিকের ইন্নালিল্লাহ ঘটে যাবে। তারা বেকার হয়ে যাবে এবং নিকটবর্তী চা দোকানের বেঞ্চির খুঁটি দুর্বল হয়ে যাবে।
যারা এতোদিন প্রকাশ্যে না পারলেও ছাত্রলীগের উপর খেদ ঝাড়তে গিয়ে "ছাত্রলীগতো শিবিরের চাইতেও খারাপ" টাইপের মন্তব্য করতেন, তারা "বুকের উপর থেকে পাথর নেমে গেলো" টাইপের পোস্ট লিখবেন।
কিছু রমনী সুখী হতে শুরু করবেন। যাদের স্বামী এতোদিন শিবির পাহারায় ব্লগ করতেন তারা বেডরুমে ফিরে যাবেন এবং বর্ষার আগেই আশুলিয়ার দিকে বেড়াতে যাবেন।
কেবলমাত্র শিবির বিরোধী ভূমিকা নিয়ে সেলিব্রিটি (!!) বনে যাওয়া আইডল ব্লগারদের জনপ্রিয়তায় ভাটা নামবে। তাদেরকে আর হাসিমুখে ব্লগাড্ডা অথবা পিকনিকে দেখা যাবে না।
ব্লগে গল্প কবিতা বেশি বেশি আসবে এবং বেশি বেশি আলোচনা হবে।
বেকার হয়ে যাওয়া ব্লগারদের মাঝে যদি কাব্য প্রতিভা থেকে থাকে তবে অদূর ভবিষ্যতে "এসোসিয়েশন অব ক্রিয়েটিভ ব্লগার্স" নামের সংগঠনের প্রসব হতে পারে।
শেষমেষ যা ঘটবে ==>>
সরকার শিবিরকে নিষিদ্ধ ঘোষনার সময় আইনগত ফাঁকফোঁকর ভালোভাবে যাচাই করবে না। যারফলে কিছুদিন পরই হাইকোর্ট সুপ্রীমকোর্ট থেকে রায় আসতে শুরু করবে।
তারপর চলবে গাড়ি যাত্রাবাড়ি।
========================
(রাজশাহী যাবার কথা ছিলো।
কিন্তু চলমান পরিস্থিতিতে পরিকল্পনা বাতিল করেছি। এখন যাচ্ছি রঙপুর। বাসে বসে ব্লগিং করতে ভালোই লাগছে। )
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।